পঞ্চাশ বছর পরে আবার চন্দ্র অভিযান

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আজ একটি ভিন্নধর্মী পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজ আমি চন্দ্র অভিযান সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কিছু মতামত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এ ছাড়াও নতুন কিছু খবর দিতে চলেছি, আবার নাসা চন্দ্র অভিযান করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে কিন্তু সেটা কেন এবং তাদের উদ্দেশ্য কি সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করব।

আমরা সকলেই জানি ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ইলেভেনের মাধ্যমে নীল আর্মস্ট্রং প্রথম চাঁদের মাটিতে পা রাখেন। এরপর থেকেই মানুষের চাঁদে যাওয়ার প্রতি একটা প্রতিযোগিতা লেগে যায়। মূলত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল এর আগে থেকেই রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে একটি অঘোষিত যুদ্ধ বলা চলে। এরপরে চাঁদে আরো অনেকগুলো মিশন লঞ্চ করা হয়েছিল এবং সর্বশেষ অ্যাপোলো ১৭ এর মাধ্যমে মানুষ সর্বশেষ চাঁদের বুকে পা রাখেন। এরপর পেরিয়ে যায় ৫০ টি বছর কিন্তু এই ৫০ বছরে চাঁদ নিয়ে মানুষের কৌতূহল যেন অনেকটাই কমে গিয়েছে। কেন মানুষ চাঁদের বুকে যেতে চাইছিল না এই বিষয়ে অনেক ধরনের গুঞ্জন শোনা যায় আবার কেন মানুষ এই পঞ্চাশ বছর পরে আবার চাঁদে যাওয়ার জন্য একটি প্রতিযোগিতা করছে, এই বিষয়গুলো ভাবার বিষয়!

এই বিষয়টি সঠিকভাবে বোঝার জন্য আমাদের কিছু বছর পিছনে যেতে হবে। বর্তমানে চীন একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে এবং তারা একটি এলিমেন্ট এর সন্ধান পেয়েছে যা আমাদের এই পৃথিবীতে এনার্জির সমস্যাটি সমাধান করতে পারে। সেই এলিমেন্ট এর নাম হিলিয়াম থ্রি আইসোটোপ অর্থাৎ এমন একটি আইসোটোপ যেখানে নিউক্লিয়াস ফিকশনের মাধ্যমে আমারা শক্তি উৎপাদন করতে পারবো কিন্তু নিউক্লিয়ার বর্জ্য উৎপাদন হবে না। তাহলে তো বেশ ভালই হয়। এই বিষয়টি জানার পর থেকেই আর চাঁদে যাওয়ার আকর্ষণ কেন বেড়ে গেল সে বিষয়টিও বলছি।

একটু আগেই যেই হিলিয়াম থেকে আইসোটোপের কথা বললাম এই এলেমেন্ট পৃথিবীতে পাওয়া যায় না বললেই চলে। এই এলেমেন্ট ভরপুর রয়েছে চাঁদের মাটিতে অর্থাৎ চাঁদে কোন বায়ুমণ্ডল নেই। যার কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি চাঁদের মাটিতে পড়ে। লক্ষ লক্ষ বছর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সেই চাঁদের মাটিতে জমেছে, সে গুলো আইসোটোপের রূপান্তর হয়েছে। এই হিলিয়াম থ্রি আমাদের ভবিষ্যতের জ্বালানি মেটাতে পুরোপুরি সম্ভব কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন। পৃথিবীতে তো মানুষ অনেক ধরনের গবেষণা করছেন এবং বর্তমানে কল কারখানা এবং বিভিন্ন ধরনের এক্সপেরিমেন্ট এর মাধ্যমে পৃথিবীর পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এমত অবস্থায় চাঁদেও কি এসব এক্সপেরিমেন্ট করে এলিমেন্ট নিয়ে এসে সমাধান করা কি আসলেই যুক্তিযুক্ত.?

যাইহোক বর্তমান সময়ে ফিরে আসি। নাসা একটি নতুন অরবিটের সন্ধান করে এবং এই অরবিটের কারণেই পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব অনেক কম সময়ে পরিভ্রমন করা যেতে পারবে। এছাড়াও সেই অরবিটের কারণে চাঁদের সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে পারবে অর্থাৎ যাদের যে অংশটুকু আমরা দেখতে পারি না সেই অংশটুকু পর্যন্ত আমরা দেখতে পারবো। এই মিশনের নাম হচ্ছে আর্টেমিস মিশন। আর্টেমিস ১ এর একটি যাত্রা বর্তমানে সাকসেসফুল হয়েছে এবং সেটি মানুষবিহীন একটি যাত্রা ছিল। সেই অরবিটে প্রদক্ষিণ করে চাদের পিছনের অংশটুকু পরিক্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। এখন সেই একই অরবিট ধরে নাসার নভোচারী কে পাঠাতে চাই।

এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে আর্টেমিস ২। এই মিশনে চারজন নভোচারী থাকবেন তার মধ্যে একজন থাকবেন নারী নভোচারী এবং তারা অলরেডী ঘোষণা করে দিয়েছে। এই মিশনটি লঞ্চ করা হবে আগামী বছরের শেষের দিকে।

তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিভিন্ন জায়গায় মিশনে পাঠানো ভালো কথা বিভিন্ন নতুন এলিমেন্ট সম্পর্কে আমরা জানতে পারব কিন্তু চাঁদের বুকে যদি খনন করা হয় তাহলে সেই বিষয়ে আমি অনেকটাই অসন্তুষ্ট থাকবো। কারণ পৃথিবী তো প্রায় ধ্বংসের পথে এগিয়ে গেছে এবং চাদে যদি কোন ক্ষতি হয় তাহলে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি অনেকটাই বেড়ে যাবে এবং ঘূর্ণন গতি বাড়ার সাথে সাথে পৃথিবীর সমস্ত কিছু ধ্বংস হতে খুব বেশি একটা সময় লাগবে না বলে আমি মনে করছি। আপনার কি মতামত তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

এইদিকে চীন, রাশিয়া কোন দেশে কিন্তু বসে নেই। তারাও তাদের চন্দ্র অভিযান মিশন শুরু করেছে। কিন্তু আমরা সকলেই জানি চীনা বুদ্ধিমানেরা তারা গোপনীয়তা সাথে এই মিশনগুলো লঞ্চ করে। যাইহোক এই বিষয়ে বিস্তারিত পরে আলোচনা করব। আজকের মেইন টপিক হচ্ছে ৫০ বছর পরে মানুষ আবার চাঁদের দিকে যাচ্ছে এবং চাঁদকে নতুনভাবে গবেষণা করার জন্য। তবে ১৯৬৯ সালে যেসব চন্দ্র অভিযান চন্দ্রপৃষ্ঠে পাঠানো হয়েছিল সেগুলো কিন্তু বর্তমান টেকনোলজি চেয়ে অনেকটাই দুর্বল ছিল। এবার চাদে যাওয়া হলে অবশ্যই ভালো ভালো কিছু গবেষণা আমরা দেখতে পারব। যাইহোক আজকের মতো এখানেই শেষ করছি সবাইকে ধন্যবাদ।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: পঞ্চাশ বছর পরে আবার চন্দ্র অভিযান

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......