ছোটগল্প || অপরিপূর্ণ ভালোবাসা (২য় পর্ব ) 💖 || [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]

ফাহিমা অনামিকার পাশে গিয়ে বসল, অনেকক্ষণ চুপ করে রইলো, ফামিমের জানতে ইচ্ছে করছিল তিশা কখন গিয়েছে এবং তিশা ফাহিমের বিষয়ে কি কি বলেছে।। কিন্তু সে বলতে পারছেনা, অনামিকা তাকে ক্ষ্যাপাবে বলে,। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পরেও অনামিকাই বলে উঠলো, ফাহিম দেখছিস ক্লাসের প্রথম বয় হওয়ার কি কি সুবিধা রয়েছে। মেয়েটিতো সম্পর্কে অনেক কিছুই বলল। স্যার নাকি তোর বিষয়ে অনেক কিছু বলেছে ক্লাসে এবং কোন সমস্যা হলে নাকি তোর কাছ থেকে দেখিয়ে দিতে বলেছে। ফাহিম বলে উঠল, এই সব ঝামেলা সেই প্রথম ইয়ার থেকেই হয়ে আসছে। তবে এই প্রথম কোন মেয়ে এভাবে সাহায্য চাইতে আসলো। অনামিকা অনেকটা বুঝতে পেরেছে এবং বলে উঠলো চিন্তা করিস না তোদের সেটিং হয়ে যাবে।

ফাহিমের মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেল, সে বলে উঠলো কাল দেখা হবে,, এই বলে সে ফাহিম বাসার দিকে রওনা হলো। বাসায় গিয়ে কোনভাবে ফ্রেশ হয়ে, আগে প্রথম ইয়ারের নোটগুলো খুজতে শুরু করল। অনেক খোঁজার পর সে নোট গুলো পেল এবং শুয়ে-শুয়ে সেই নোটগুলোকে বুকে জড়িয়ে রেখে তিশার কথা ভাবতে থাকলো।। ফাহিমের যেন আর কোন কাজ নেই, সব সময় তিশার বিষয়ে ভাবতে থাকে। এভাবেই সেই রাত অতিবাহিত হয়ে গেল। সকালে সে ব্যাগে করে সেই নোটগুলো নিয়ে আসলো এবং চিন্তা করছিল কখন ক্লাস শেষ হবে এবং কখন ক্যান্টিনে গিয়ে তিশার সাথে আরেকটু কথা বলতে পারব।

যথাসময়ে ক্লাশেস হল, ফাহিম অনামিকাকে বলল, বন্ধু তুই আমার সাথে একটু চল, আমার অনেক নার্ভাস ফিল হচ্ছে। অনামিকা হেসে উত্তর দিলো, তুই কি প্রপোজ করতে যাচ্ছিস যে তোর এত নার্ভাস ফিল হচ্ছে। এই বলে হাসতে হাসতে দুজনেই ক্যান্টিনের দিকে যেতে থাকে। তারা যেয়ে দেখে তিশা অপেক্ষা করছে। এরই মাঝে তারা একই টেবিলে বসে এবং সেখানে তিশা উপস্থিত হল এবং বলে উঠলো, ভাইয়া নোটগুলোকি সাথে এনেছেন? সঙ্গে ফাহিম সেগুলো বের করে দিল।

অনামিকা বলে উঠলো তিশা তুমি দাঁড়িয়ে কেন আছো! বস।। এরপর তিনজন মিলে কিছুক্ষণ কথা বলতে থাকলো। যদিও তিশা অনেক আনকম্ফোর্টেবল ফিল করছিলো। কারণ অনামিকা এবং ফাহিম দুজনেই তাদের অনেক সিনিয়র তারপরও অনামিকা বলল, আমরা তোমার বন্ধুর মতোই এতো নার্ভাস হাওয়া কিছু নেই। সেদিন ফাহিমের তরফ থেকে সবাই মিলে লঞ্চ করল এবং যাওয়ার সময় তিশাকে বলে উঠল। এই নোট আমাকে কালকের মধ্যেই ফটোকপি করে দিও। আমার কাজ আছে। কিন্তু ফাহিমের এর মূল উদ্দেশ্য ছিল তিশার সাথে আরেকবার কথা বলার। অনামিকা বুঝতে থাকে যে, ফাহিম তিশার প্রতি আস্তে আস্তে অনেক দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক এভাবে করেই সেই দিন কেটে গেল। আজ সেই দিন যেদিন আবারো তিশার সাথে দেখা হবে ফাহিমের কিন্তু অনেক অপেক্ষা করার পরও তিশা আসলো না।

ফাহিম অনেক চিন্তায় পরে গেল,, আজ তো তিশার আসার কথা কিন্তু কেন আসলো না? এই দিকে তিশার নাম্বার বা ফেসবুক আইডি কোনটাই ফাহিমের কাছে নেই। তার সাথে একটু যোগাযোগ করে তার খোঁজখবর নেবে সেই সুযোগ ও ফাহিমের নেই। এইভাবে করে পুরো রাতে না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিল ফাহিম। পরের দিন যখন ফাহিম ভার্সিটিতে গেল তখন দেখতে পেল তিশার হাতে ছোট্ট একটা ব্যাণ্ডেজ করা রয়েছে। এটি দেখে ফাহিম যেন আকাশ থেকে পরলো। ফাহিমের অনেক ইচ্ছে করছে তার কাছে গিয়ে তার সাথে একটু কথা বলবে, তার সাথে কি হয়েছিল সেটি জানবে কিন্তু কোনোভাবেই সে পারছিল না। এমন সময় অনামিকা বলে উঠলো......

চলবে.............

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ছোটগল্প || অপরিপূর্ণ ভালোবাসা (২য় পর্ব ) 💖

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......