ফোটোগ্রাফি 📸 || রেনডম ছবি নিয়ে একটি অ্যালবাম 🦊
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরে বাসার বাহিরে যাওয়া হচ্ছে না। তাই নতুন কোন ফটোগ্রাফি করা হচ্ছে না। তবে আমার ফোনে ধারণকৃত এখনো অনেক বহু ফটোগ্রাফি রয়েছে যেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। সেই ফটোগ্রাফি থেকেই একটি ছোট্ট অ্যালবাম আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আশা করছি আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। আমি যখনই ভালো কোন জিনিস দেখি তখন এই আমার ফোন বের করে সেসব জিনিসের ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।
এইতো বেশ কয়েক মাস আগে আমার সম্পূর্ণ ফ্যামিলি আমার বাসায় ছিল অর্থাৎ ঢাকায় যে বাসা আমি ভাড়া থাকি এবং এখান থেকে বাংলার তাজমহল খুব কাছেই অবস্থিত। সেখানে আমরা স্বপরিবারে গিয়েছিলাম এবং কিছু সময় উপভোগ করেছিলাম। তখনই এই ছবিটি ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম।
গত বছরে আমার পরিবারের সকলে মিলে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলাম। কক্সবাজার যাওয়ার পরে সেখান থেকে মহেশখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মহেশখালী কক্সবাজারের একটি চমৎকার উপজেলা এবং সেখানেও দর্শনীয় অনেক স্থান রয়েছে। সেখান থেকেই এই ছবিটি ক্যামেরা বন্দি করেছি।
মহেশখালী প্রবেশের দ্বারপ্রান্তেই এই ছবিটি আমি ক্যামেরাবন্দি করেছি। ব্যক্তিগতভাবে এই উদ্বেগ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কারণ প্রত্যেকটি জেলায় এবং উপজেলায় এ ধরনের স্ট্যাচু তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে মূলত সেই উপজেলা কিংবা জেলার দ্বারপ্রান্ত বা প্রবেশদ্বার বলা হয়।
আমরা সকলেই জানি চাঁদের জন্যই পৃথিবীতে জোয়ার ভাটার সৃষ্টি হয়। আমরা যখন মহেশখালীতে পৌঁছে ছিলাম তখন সেখানে পানির স্তর অনেকটাই নিচে নেমে গিয়য়েছিলো। মহেশখালীতে ছোট একটি বন রয়েছে এবং সেই বনটি এখান থেকেই অনেক চমৎকার লাগছিল।
কক্সবাজারের সবথেকে ভালো বিষয় কি জানেন! কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতের পাশে যদি আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন মনে হবে সব দুঃখ কষ্ট আপনার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। শুধুমাত্র নীরবতা এবং সমুদ্রের গর্জন। এই অনুভূতিটা কখনোই ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব হয় না, এই জায়গাটি সেটারই প্রমাণ।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় বেশ কিছু নামিদামি মন্দির রয়েছে এবং কথিত কথায় এটাও শুনতে পেয়েছিলাম, সেখানে নাকি অনেক স্বর্ণের মন্দির রয়েছে। তবে বর্তমানে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এই ছবিটি পাহাড়ের একদম উঁচু থেকে তোলা হয়েছে এবং এই পাহাড়ে উঠতেও আমাদের বেশ কষ্ট পোহাতে হয়েছিল। তারপরও ছবিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ফোটোগ্রাফি 📸 || রেনডম ছবি নিয়ে একটি অ্যালবাম 🦊
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করে তুলে ধরেছেন। গত বছর আপনারা পরিবারসহ কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলেন জানতে পেরে সত্যি বেশ ভালো লাগলো। সত্যি বলতে কক্সবাজারের মহেশখালী বেশ দারুন একটি উপজেলা। আপনারা সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফার মাধ্যমে আমাদের মাঝে সবকিছু তুলে ধরার জন্য।
সব সময় ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি ভাই। আসলে এই ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক আগে থেকেই একটি নেশা বলতে পারেন।
আপনি বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেন। আজকের ফটোগ্রাফি দেখেও মুগ্ধ হলাম। বাংলার তাজমহলের ফটোগ্রাফি টা বেশ ভালো লেগেছে। যদিও কখনো যাওয়া হয়নি তবে দেখছি এরিয়া টা খুব সুন্দর। আপনারা সবাই মিলে নিশ্চয়ই দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। মহেশখালীর ফটোগ্রাফি গুলোও দারুন ছিল। সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
মহেশখালী উপজেলাটা সত্যি অনেক চমৎকার এবং চারিদিকে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
অসাধারণ ছবি এবং বর্ণনা দিয়েছেন ভাইয়া! দেখে মনে হচ্ছে আপনি প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোর প্রতি বিশেষ ভালোবাসা অনুভব করেন।
মহেশখালীর বন এবং জোয়ার ভাটার প্রভাব সম্পর্কে আপনার বর্ণনায় প্রকৃতির এক অনন্য রূপ ফুটে উঠেছে। সেই সাথে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের নিঃসীম নীরবতা এবং গর্জন সত্যিই মনের সব কষ্ট ভুলিয়ে দেয়।
মহেশখালীতে স্বর্ণের মন্দির এবং পাহাড়ের উপরে তোলা ছবির বর্ণনাও চমৎকার। পাহাড়ে উঠার কষ্টের পর এমন সুন্দর ছবি পাওয়া সত্যিই এক অমূল্য অভিজ্ঞতা। আপনার এই অভিজ্ঞতা ও ছবি আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য!
[@redwanhossain]
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এ সময় নতুন কোনো ফটোগ্রাফি করতে না পারলেও, আপনি আপনার আগের তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এরকম ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই অনেক ভালো লাগে। বাংলার তাজমহলের ফটোগ্রাফি টা দেখে তো আমি জাস্ট মুগ্ধ হলাম। শুধু তাজমহল না অন্য সবগুলো ফটোগ্রাফি মনোমুগ্ধকর ছিল। আপনার তোলা সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে ভাইয়া। পরিবারের সাথে বিভিন্ন জায়গায় গেলে কিন্তু অনেক ভালো সময় কাটানো যায়। আপনি পরিবারের সাথে অনেক জায়গায় গিয়েছিলেন। আর ওখান থেকে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। যেগুলো এই অ্যালবামে দেখে ভালো লাগলো।
চেষ্টা করি আপু সব সময় ভালো কিছু ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
বাহ্! দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই। আসলে সবসময় তো ফটোগ্রাফি করার সুযোগ হয়ে উঠে না, তাই ফোনের গ্যালারিতে থাকা ফটোগ্রাফি গুলো হচ্ছে আমাদের বিপদের বন্ধু। কারণ ফোনের গ্যালারিতে থাকা ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে আমরা পোস্ট করে ফেলতে পারি। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করলাম। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ফোনে এবং ল্যাপটপে এখনো বহু ছবি রয়েছে যেগুলো, আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
দিন খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি বিশেষ করে মহেশখালী ভ্রমণের মুহূর্তগুলোর ফটোগ্রাফি অসাধারণ লেগেছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আসলে যেখানেই যাই না কেন ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি।
ভাইয়া আপনার তোলা প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে তাজমহল এবং মন্দির,সমুদ্র সৈকত এগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি ফটোগ্রাফির সাথে বেশ সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও ধন্যবাদ।