বর্তমানে সঠিক বুঝতে পারছি না বাংলাদেশে কোন ঋতু চলছে, কারণ যখন তখন বৃষ্টি আবার যখন তখন প্রচন্ড রোদে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। তারপরও আমি আমার বাগানকে সবসময় সতেজ রাখার জন্য সকাল এবং বিকেল নিয়মিত পানি দিয়ে যাচ্ছি। তবে কিছুদিন আগে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক ফুল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার পরও যেসব ফুল রয়েছে, সেসব ফুল এবং বাগানের কিছু দৃশ্য আমি ক্যামেরাবন্দি করেছি। আজ আমি আমার বাগানের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সামনে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

বর্তমানে আপনি যে ফুলটা দেখতে পারছেন, আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এই ফুলকে বিস্কুট গুলো বলা হয়। এই ফুলের অনেক প্রকারভেদ হয়ে থাকে। এই ফুলের অনেক ধরনের মধ্যে লাল এবং সাদা টি বেশিরভাগ সচরাচর সব জায়গায় দেখা যায়। এই ফুলকে আমার ব্যক্তিগতভাবে অনেক পছন্দ করি, এই ফুলের গাছ গুলো সাধারণত চার থেকে পাঁচ ফিট লম্বা হয় এবং ফুল গুলো সাধারণত ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হতে পারে।

আমার বাগানে অনেকগুলো পাতাবাহারের গাছ রয়েছে তার মধ্যে এই পাতাবাহারের গাছটি অন্যতম। এই পাতাবাহারের গাছ কে ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক পছন্দ করি, কারণ যেকোন তাহলে দেওয়ালের নিচে রোপন করলে সে দেওয়াল বেয়ে উপরে উঠতে থাকে। বর্তমানে আপনি দেখতে পাচ্ছেন, একটি দেওয়ালের প্রায় সম্পূর্ণ জায়গা জুড়ে এই পাতাবাহারের গাছ টি দখল করে রেখেছে এবং দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।

গোলাপ ফুল পছন্দ করে না পৃথিবীতে এমন মানুষ অনেক কম পাওয়া যাবে। আমার বাগান ও বিভিন্ন ধরনের গোলাপ ফুল রয়েছে কিন্তু বর্ষার কারণে গোলাপের গুলোর অবস্থা একদম করুন হয়ে গিয়েছে। তারপরও কিছু কিছু গাছের মধ্যে অনেকগুলি কলি এসেছে। গোলাপের কলিটির আমি ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।

আমাদের উত্তরাঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় এই ফুলকে পেয়াজ ফুল বলা হয়। এই গাছের অনেকাংশ পেঁয়াজ গাছের মতো জন্য এই গাছকে পেঁয়াজ গাছ বলা হয়ে থাকে। এই গাছের ফুল গুলো দেখতে অতি চমৎকার হয়ে থাকে যদিও এই ফুলগুলোর স্থায়িত্বকাল অনেক কম।

গাঁদা ফুল কে চেনেন না এমন বাঙালি খুব কমই পাওয়া যাবে। এই ফুলের অনেকগুলো প্রকারভেদ রয়েছে তবে গাঁদা ফুলের গাছের পাতায় ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। গাঁদা ফুলের গাছের পাতা রক্ত বন্ধে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

আমার ফটোগ্রাফী গুলো কেমন হয়েছে তা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আপনারা চাইলে আমার বাগানের একদিন রিভিউ আমি প্রকাশ করব, সকলকে ধন্যবাদ।