ঘুনে ধরা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি। (১০% লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ)।
১৬ চৈত্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
৩০ই মার্চ ,২০২২সাল
ঘুনে ধরা এই সমাজের বেহাল দশা
হ্যালো
অর্থের বা ঘূষের কাছে হেরে যাচ্ছে যোগ্যরা।
বর্তমান সময়ে চাকরির বাজার টা যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকরি পাওয়াটা যেন অনেক কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সমাজে। আরে বর্তমান সমাজ যুবক শ্রেণীর কিছু বেকার কেমন চোখে দেখে যেন তারা সমাজের মানুষ না তাদের পরিচয় তারা শুধু একজন বেকার। এবং সমাজের এই দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অনেক যুবক যাচ্ছে নষ্ট হয়ে। অনেকেই হয়ে যাচ্ছে মাদকাসক্ত শুধুমাত্র সমাজের এমন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। একজন যুবক কতটা কষ্ট বুকে চাপা রেখে এ সমাজের বুকে চলাফেরা করে সমাজের এমন দৃষ্টিভঙ্গি তারা মেনে নিয়ে।
একজন যুবক যখন তার পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য খুঁজে ফিরে হয়রান। প্রতিটি অফিস-আদালতের সামনে দিনের পর দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে যখন চাকরি পায় না। তখন তারা এক ভীষণ হতাশায় ভোগে তাদের মনে হয় এই জীবনে তারা হয়তো বা কোনো কিছু অর্জন করতে পারেনি। চাকরির ধরনটাও এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে বর্তমান সময়ে যাদের মামা খালু নেই চাকরি পাওয়াটা তাদের জন্য অনেকটাই জটিল। সাধারন একটা চাকরি পেতে হলো এখন মামা বা খালু ধরে চাকরি নিতে হয়। একজন যোগ্য ব্যক্তির যতটা যোগ্যতা থাকলে কেন সেটার যোগ্যতা দিয়ে চাকরি ক্ষেত্রে ততটা এগিয়ে না থাকে একজন অযোগ্য ব্যক্তি তার মোবাইল এর বিনিময় খুব সহজেই সেই জায়গাটি দখল করে নিতে পারে।
আমার কাছে এমন ব্যবস্থাপনা টি খুবই ভয়ঙ্কর মনে হয়। এমন ভাবে চলতে থাকলে আমাদের এই দেশ আমাদের এই জাতি একদিন হুমকির মুখে পড়ে যাবে। কেননা আমরা যদি একজন ট্রেনের চালককে হেলিকপ্টার চালাতে দেয় তাহলে হয়তোবা সে তার আসনে বসে অল্প দূর এগিয়ে যেতে পারবে কিন্তু তার সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না। এখানে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তেমনি করে একজন শিক্ষিত যোগ্য ব্যক্তি জায়গা দখল মামা খালুর সুপারিশের বিনিময় অন্য একজন অযোগ্য ব্যক্তি পেয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সে ট্রেন চালকের মত দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ও এখানে অনেক বেশি থাকে। একজন অযোগ্য ব্যক্তি কখনো একজন যোগ্য ব্যক্তির জায়গা পূরণ করে দিতে পারে না।
সমাজের আর একটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে অর্থের বিনিময়ে চাকরি আমরা যেটা কে বলি ঘুষ। এই ঘুষের বিনিময়ে চাকরি পাবার কারণে ও যোগ্যতা এখনো অনেক পিছিয়ে। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আছে যারা অনেক সংগ্রাম করে টিউশন করে বা পার্টটাইম কোন কাজ করে তারা পড়াশোনা শেষ করেছে। এবং তারা পড়াশোনাতেও অনেক ভাল ফলাফল করেছে। তারা যখন পরীক্ষা দিতে যায় কোন চাকরির সে ক্ষেত্রেও তারা ভালই করে থাকে কেননা তারা অনেক সংগ্রাম করে পড়াশোনা করে এসেছে। কিন্তু যখন চাকরি পাবে তার আগ মুহূর্তে কিছু বড়লোক বাবার সন্তানরা যারা কখনোই পড়াশোনা করেনি শুধু রঙিন দুনিয়ায় আড্ডাবাজি করে ভার্সিটি সেই সবুজ চত্বরে ধান্দাবাজি করে করিয়েছে তারা সেই মধ্যবিত্ত ব্রিলিয়েন্ট যোগ্য ব্যক্তি জায়গা দখল করে নেয়।
এভাবে চলতে থাকলে হয়তো আমাদের জাতি একদিন মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়বে। আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই বদলাতে হবে সমাজের উন্নয়নের জন্য হলেও। জাতিকে উন্নয়ন করতে হলে প্রাপ্য জায়গায় প্রাপ্য মানুষদের বসাতে হবে যোগ্যদের জায়গা যোগ্য দেড়ি দিতে হবে। তাহলে এই জাতি এবং সমাজ এক দিন সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে বলে আমি মনে করি।
ধন্যবাদ সবাইকে সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
Join the Discord Server for more Details
জীবন পাতার শেষ হওয়া একটা পাতার সংরক্ষণঃ
শুধু ঘুষ নয় , স্বজনপ্রীতি এবং দূর্নীতির কারনে আজ আমাদের সমাজ প্রায় শেষের পথে। এখান থেকে কখনও উত্তোরন করতে পারবো কিনা জানি না। হয় তো আমরা দেখে যেতে পারবো না। আরো দিন যাবে সামাজ আরো পিছিয়ে পরবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
এইসব বিষয় থেকে যদি আমরা বের হয় না আসি তাহলে আমাদের জাতি হুমকির মুখে পড়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।