~"||মেছের ছাদে বড় ভাই বন্ধুদের সাথে পিকনিক ||"~ (১০% লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ)।
০৪ জৈষ্ঠ্য , ১৪২৯ খ্রিষ্টাব্দ
১৮ মে,২০২২সাল
মেছের বড় ভাইদে বন্ধুদের সাথে পিকনিক খাওয়ার অনুভূতি।
হ্যালো
পুরুষ আমি পিছনে ফিরে দেখার সুযোগ নেই আর, তাই যখন যেখানে যাই সেখানেই খুঁজে নিতে হয় নতুন পরিবার।
বর্তমানে আমি দুই মেছে অবস্থান করছি এই মেছে প্রতি মাসে প্রায় একবার করে এমন পিকনিক হয়ে থাকে। আমার বিষয়টি খুব আনন্দিত লাগে কেননা আমরা সময় বাবা-মাকে ছেড়ে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই এখানে একা একা জীবন যাপন করি। কেউ হয়তো বা পড়াশোনার জন্য আবার কেউ চাকরির জন্য আজ ঘরছাড়া। তাদের বা আমাদের সকলের মায়া ত্যাগ করে আমরা আজ ঘরছাড়া হয়ে অনেকটাই প্রবাসের মতো জীবন যাপন করছি। কিন্তু আমরা আমাদের এই মায়া ত্যাগ করে যে যার জায়গা থেকে পরিশ্রম করে যাচ্ছি আমরা যেন সকলেই সফল হতে পারি সৃষ্টিকর্তার কাছে সবসময় এত টুকুই চাওয়া থাকবে। ব্যক্তিগতভাবে এখানে আমি একটা পরিবার পেয়েছি এখানকার বড় ভাই গুলো আমাকে আমার পরিবারের মানুষের মত আগলে রাখে ব্যাপারটি আমি খুবই আনন্দ অনুভব করি।
এইবারের এই পিকনিকের আয়োজন টি ছিল আমাদের মেসে এই মাসে বিশেষ কিছু নতুন সদস্য যোগ হয়েছে। এই সদস্যদের আমরা সকলেই একে অপরকে সঠিকভাবে তিনি না এজন্যই একটা খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করে তাদের পরিচয় পর্ব টা সেরে নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া তৈরি করা হয়। যাতে করে সবাই সবার সাথে অন্তত সম্পর্কটা আরো ভারী হয়ে যায় কেউ যেন আর অপরিচিত না থাকে। আর এক ভাবে বলা যায় বলতে পারেন এটা নতুনদের বরণ করে নেওয়ার জন্যই এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। নতুন পুরাতন সকল এই অনুষ্ঠানটি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছে তা আমি সকলের মুখের হাসি দেখেই বুঝে ফেলে ছিলাম।
এবারের এ পিকনিক দিয়েছিল অনেক সাজানো-গোছানো গতবারের তুলনায় এবার পিকনিকের খাওয়া-দাওয়া তো ছিলি বেশ চমৎকার। এবারের পিকনিকে ছিল খাসির মাংস দই মিষ্টি সালাত এবং লেবু। আমার কাছে এই পিকনিক কি সত্যি অনেক স্পেশাল হয়ে আছে কেননা এই পিকনিকে আমাকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আমি অনেক ছোট মনে হলেও বড় ভাইয়েরা আমাকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং তারা আমাকে অনেক বিশ্বাস করে এজন্য আমার অনেক ভালো লাগে। আর আমি একটু এরুম দায়িত্ব খেতে বেশি ভালোবাসি তাইতো সত্যি অনেক ভালো লাগে আমার। নিজ হাতে সকলকে খাওয়াতে পারলে বিশেষ করে কোনো বড় মানুষকে খাওয়াতে পারলে অনেক ভালো লাগে আমার।
পরিশেষে মুক্ত আকাশের নিচে বসে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করাটা বেশ উপভোগ করেছি আমি। এই রাতটি ছিল চাঁদনী রাত জ্যোৎস্নাময় এমন রাতে খোলা আকাশের নিচে কতদিন দিয়ে খাওয়া হয়না তার কোন হিসেব নেই। বাড়িতে থাকতে বাড়ির আঙিনায় বসিয়া এমন খোলা আকাশের নিচে মাঝেমাঝেই খাওয়া হতো কিন্তু এখানে আসার পর অনেকদিন হলো সেই ফিল টা দিতে পারেনি। কিন্তু আজ মনে হচ্ছিল বাড়িতে মায়ের হাতের রান্না খাচ্ছি। আসলে বাহিরে থাকার সুবাদে মায়ের হাতের রান্না খাবো বেশি মিস করি। মায়ের হাতের রান্না এ যেন এক অমৃত স্বাদ লেগে আছে তা কখনোই বলে বুঝাবার মত নয়।
তো বন্ধুরা আশা করছি আমার এই পোষ্টটি আপনাদের সকলের অনেক ভালো লেগেছে। যদি আপনাদের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য করে অনুগ্রহপূর্বক আমাকে জানাবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
Join the Discord Server for more Details
জীবন পাতার শেষ হওয়া একটা পাতার সংরক্ষণঃ
মেসে সবার সাথে কাটানো মুহূর্ত এবং বন্ধুদের এবং বড় ভাই ব্রাদারের সাথে পিকনিক করার মুহূর্ত টা অসাধারন ছিল। এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে সবাই পছন্দ করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মেছে সবার সাথে একসাথে পিকনিক করার মজাই আলাদা। আপনার পোস্ট দেখে মেছের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
এভাবে সব সময় পাশে থাকতে চাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
দেখে তো মনে হচ্ছে সবাই মিলে খুবই মজা করলেন। বিশেষ করে ছাদের উপরে সবাই মিলে পিকনিক করার মজাটাই আলাদা। আর আপনারা তো মেসেজ ছাদের উপরে বড় ভাইদের সাথে খুব সুন্দর একটি পিকনিকের আয়োজন করলেন। সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া আর পিকনিক করতে আমারও খুব ভালো লাগে। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ও খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু এই দিনটিতে সবাই মিলে অনেক মজা হয়েছে।
মেসের ছাদে বড় ভাইদের সঙ্গে পিকনিক করার মুহূর্ত টা আমার কাছে চমৎকার লেগেছে । বড় ভাইদের সঙ্গে তেমন একটা পিকনিক করা হয় না তবে পিকনিক মানেই আনন্দ। আপনি পোস্টটা আমাদের মাঝে অনেক গুছিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন দেখে আমি খুবই আনন্দিত এছাড়াও আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বড় ভাই এবং বন্ধুদের সাথে অনেক ভালো একটি সময় কাটিয়েছি এই চাঁদনী রাতে।
আসলে মেছে আকার একটি সবথেকে বড় মজা হচ্ছে এই ধরনের পিকনিক করা। মেসের ছাদে বড় ভাইদের সাথে পিকনিক করার খুবই চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। আর আপনিতো দেখছি একসাথে দুইটি মেসে থাকেন তাহলে তো পিকনিক এর পরিমাণ টা আরো বেশি হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার।
মেসে থাকতে আমরা বড় ভাইদের সাথে অনেক পিকনিক করেছি। অনেক মজা লাগে সবাই একসাথে অনেক মজা করেছি। আপনার গল্পটা পড়ে ভাল লাগল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন মেসের লাইফটা অনেকটা প্রবাস জীবনের মতো। মা-বাবার ভালোবাসার মায়া ত্যাগ করে, কেউ পড়ে থাকে পড়াশোনার জন্য, কেউ বা পড়ে থাকে চাকরির জন্য। তবে আপনার আজকের ম্যাচের আয়োজন ছিল অসাধারণ। আর আপনি ঠিকই বলেছেন নতুন বরণের মতো একটা অনুষ্ঠান। যেখানে থাকবে না কোন অপরিচিতর। আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
মেসের জীবনটা যেমন আনন্দের ঠিক তেমনই আবার বেদনার।
দারুন একটা বিষয় শেয়ার করলেন। এইরকম পিকনিক গুলো আমার কাছে অনেক মজা লাগে। আমারও অনেক ইচ্ছে করে এইরকম পিকনিক করতে। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলেও অনেক মজা লাগে। এইরকম একটা মুহূর্ত দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পিকনিক মানেই হৈ হুল্লোড় আর আনন্দ ঘনো একটি মুহূর্ত।
মেসে পিকনিক করার মজাই আলাদা।যদিও আমার মেসে থাকার কোন অভিজ্ঞতা নাই। তারপর ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো অন্যরকম ভালো লাগা।যাই হোক বড় ভাইয়ের বন্ধুদের সাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
সত্যি অনেক ভালো একটি সময় কাটিয়েছি আমি।
পিকনিকের নাম শুনলেই কেন জানি অনেক ভালো লাগা কাজ করে। ছোটবেলার স্মৃতি গুলো সামনে এসে দাঁড়ায়। ছোটবেলায় স্কুলে যখন পড়তাম তখন পিকনিক গুলো তো অনেক মজা করতে পারতাম কিন্তু বড় হয়ে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে সেগুলো আর হয় না। যাইহোক ভাইয়া দেখে মনে হচ্ছে আপনারা অনেক মজা করেছেন এবং অনেক মজার খাবার খেয়েছেন। দেখে খুব ভালো লাগছে সবকিছু শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে পিকনিক কথাটার মাঝে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে।