দীর্ঘ একমাস পরে নিজ গ্রামের বাসায় এসেছি গতকাল। বিশেষ একটি দরকারেই বাসায় এসেছিলাম। বাসায় এসে খুব একটা যে ভালো লাগছে না তা কিন্তু না মাথার মাঝে সারাদিন ঘুরপাক খাচ্ছে সময় চলে যাচ্ছে। অনেকে জানান সামনে আমার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এর জন্য পড়াশোনা নিয়ে অনেক ব্যস্ত তারপরেও লেখালেখি অনেকটা ভালো লাগে তাই প্রতিদিন কোন না কোন লেখা এবং মনের অভিব্যক্তি নিয়ে আপনাদের সামনে আসি। এখানে লেখালেখি করে আপনাদের পজিটিভ মন্তব্যে খুবই ভালো লাগে তাই হাজার চাপ এর মাঝেও এখানে লেখালেখি থেমে রাখেনি এবং বিস্কুট চ্যানেলে আপনাদের সঙ্গে আড্ডা জমে তো অন্য রকমের সবমিলে মনের অভিব্যক্তিটা সম্পূর্ণভাবে আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়। তাই দিন শেষে অনেকটা মনের প্রশান্তি চলে আসে।

অনেকদিন পর বাসায় এসেছি ছোট বোন দের আবদার তাদের অভিভাবক আজকে তাদের স্কুলে যেতে হবে। সেখানে অভিভাবক সমাবেশ বলে। অন্যথায় তারা চুপি চুপি দুজনে পরামর্শ করে যে ভাইরাস নিয়ে যাওয়া হবে না স্কুলের রেজাল্ট খারাপ এগুলো যদি ভাইয়া জানতে পারেন বাসায় এসে বকাবকি করবে। ওরা বারান্দায় গল্প করতেছে এবং আমি চুপিচুপি শুয়ে থেকে হাসতেছি এবং আমাদের কথা শুনতেছি। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে তো তাই গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই সময় পায়না সন্তানদের স্কুলে গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। গ্রাম অঞ্চল গুলোতে সচেতনতা অনেক অভাব। আমি তাদের দুজনকে আমার রুমে ডেকে বললাম বললাম, আমাদের গল্প সব শুনেছি তোমরা রেজাল্ট খারাপ করেছো। সমস্যা নাই আজকে কিছু বললাম না তোমাদের মন ভালো দেখে। তবে দেবো না ভাইয়া কিছু বলবে না। পরবর্তী পরীক্ষা গুলো যেন খারাপ না হয়। আর আমি কখন বেরোবো?

অল্প সময়ের মাঝে গোসল সেরে বের হলাম। এবং দুজনকে সঙ্গে নিয়ম ওদের স্কুলে গেলাম অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষকের কথা শুনতে শুনতে ভুলেই গেছি পকেটে মোবাইল ছিল। তবে আমি অন্য রকমের একজন মানুষ বড়দের মাসে গেলে আমি সব সময় নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করি যাতে তারা কোনোভাবেই আমাকে বেয়াদব বলতে না পারে। শিক্ষকরা তো অনেক জ্ঞানী মানুষ হয় তারা অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলছিল এবং তাদের কথার গভীরে গিয়ে আমি কথাগুলো বলতে করছিলাম । তবে একটা জিনিস আমি খেয়াল করেছি আমার দুই বোন আমার পাশে বসে তারা আমাকে অনুকরণ করতে ছিল কিন্তু আশেপাশের মেয়েরা দিকে তাকাচ্ছিল এবং নিজেরাই কথা বলছিল কিন্তু এরা আমার কাছে চুপচাপ হয়ে বসে স্যারদের কথা শুনছিল। বিষয়টা আমি গভীরভাবে খেয়াল করলাম যে আমাদের বড়দের একটু পরিবর্তন হওয়া চাই তাহলে ছোটদের পরিবর্তন হওয়ার কথা বলতে হবেনা। আমি যেখানেই যাই না কেন সেখানে থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করি।

সব মিলিয়ে সারাটা দিন অনেক সুন্দর কেটেছে। বাড়িতে এসছিলে মনে হয় প্রাণ ফিরে পায় কিন্তু পড়াশোনার একটু প্রেশারের বাড়িতে এসেও জানি আমার মন পড়েছিল বগুড়াতে।