একজন লেখক এবং বড় ভাইয়ের সঙ্গে কাটানো গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময়। 10% benificiary for @shy-fox .
হ্যালো আমার প্রিয় স্টিমিট বন্ধুগণ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তাআলার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের ভালোবাসায় এবং দোয়ায় অনেক ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজ আমি শেয়ার করব বড় ভাইয়ের কিছু পরামর্শ মূলক আলোচনা এবং তাঁরই দেওয়া কিছু অনুপ্রেরণা। তিনি আমার জীবনে এক বটবৃক্ষের মতো হয়ে এসেছেন। তিনি সফল একজন মানুষ বলে মনে হয় আমার। তিনি সফল এজন্যই বললাম, তিনি একজন ভালো মানুষ এবং উদার মনের অধিকারী তিনি।
আমি বলছি আমার প্রিয় আবুবক্কর ভাই এর কথা। তাকে আমরা সচরাচর ভাই বলেই ডাকি কিন্তু তিনি আসলেই একজন অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষ। আমাদের থেকেও অনেক সিনিয়র স্টুডেন্ট তাকে ছাড় ছাড় বলে ডেকে মুখে ফেনা তুলে এমন। কিন্তু তার সাথে আমার এমন একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে যে তাকে আমি ভাই বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারি। তারও কখনো আমার প্রতি কোন অভিযোগ নেই এই ডাকে। মনে হয় তিনি ও বেশ উপভোগ করেন আমার এই ডাক দিতে। ভাই ডাক এর মধ্যে মনে হয় আলাদা ধরনের একটা তৃপ্তি আছে। তোমাকে যেন এই ডাকটি সবার প্রিয়। আর যদি হয় সেটি ভালোবাসার কোনো মানুষ বা সিনিয়র কোন মানুষ তাহলে তো কোন কথাই নেই। ভাই যে অমূল্য সম্পদ ওই যে একটা গান আছে না ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন। কথাটা অনেকটাই সত্যি ভাই সবার জীবনে অনেক বড় সম্পদ। এই কথাটি সেই বুঝতে পারবে যার জীবনে ভাই নামক এই মূল্যবান জিনিস কি আছে।
আপনাদের তো বলাই হল না তার সাথে আমার পরিচয়টা হয় কিভাবে। আমার এক বন্ধু নাম আলামিন সে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করত। সে পড়াশোনায় অনেক ভাল ছিল পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার সম্পর্কেও অনেক ভালো জ্ঞান ছিল তার। সব সময় বিভিন্ন ধরনের পেজের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। ধারাবাহিকতায় আবু বকর ভাইয়ের সঙ্গে তার পরিচয়টা হয়ে ওঠে। আবু বক্কর ভাই একজন লেখক তিনি লেখালেখি অনেক ভালো করেন। তার লেখা অনেক বইটি মধ্যে বাজারে পাবলিস্ট হয়েছে। তার বইয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অভিযাত্রী এটিএম যেটি চাকরির জন্য বিশেষ করে খুব উপকারী। আরো হচ্ছে এডমিশনের জন্য অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য এবং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অভিযাত্রী বাংলা ব্যাকরণ। এই বইটি অনেক সুন্দর এবং বিশ্বমানের। তারপরও তিনি বিভিন্ন শহরে গিয়ে বিভিন্ন কোচিং এ ক্লাস নিয়ে থাকেন। তো আলামিনের সংগে পরিচয় হবার পর সে তার বইগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার প্রচারণার একটা অংশ জুড়ে কাজ করা শুরু করে। এভাবেই তার সাথে আলামিনের একটা ভালো পরিচয় হয়ে ওঠে।
আলামিনের সঙ্গে ভাইয়ের ওই সময় প্রায় রোজ কথা হতো। একসময় আবু বকর ভাই আলামিন কে বলে তোমার শহর অর্থাৎ বগুড়াতে আসবে। আলামিন সঙ্গে সাক্ষাৎ করাটাই তার মূল উদ্দেশ্য ছিল। তো সেই সুবাদে আমাদের প্রিয় বড় ভাই আবু বক্কর ভাই বগুড়া থেকে আসে। আরেকটি কথা তখন আমি আলামিন একই ম্যাচে ছিলাম। তো আবু বকর ভাই আসার পর তার সঙ্গে আমার আর আল-আমিনের বেশ ভালই গল্প-স্বল্প হলো। তিনি তার জীবন সম্পর্কে অনেক গল্প আমাদের শুনালেন কিভাবে তিনি এই পথে এসেছেন কিভাবে কত সংগ্রাম করতে হয়েছে তার এই পর্যায়ে আসতে। অনেক গল্প-স্বল্প হলো তার সাথে সেই রাতে। ভাই অনেক জার্নি করে এসেছেন এ জন্য তাকে আর বেশি সময় না দিয়ে বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিলাম। কেননা তিনি আমাদের মাঝে বেশ কয়েকদিন থেকে যাবেন তার সঙ্গে আরো অনেক সময় পাওয়া যাবে গল্পগুজব করার।
পরের দিন সকালবেলা বের হলাম ঘুরতে। ভাইকে ঘুরেফিরে বগুড়া শহর টা ভালোভাবে দেখালাম। ভাই আমাদের শহর থেকে অনেক খুশি। কেননা বগুড়া শহর টা অনেকটা শিক্ষার পরিবেশ এবং শিক্ষার গুণগত মানের দিক থেকে অনেকটা ভালো একটি শহর। ভাই যেহেতু শিক্ষার এই দিকটি নিয়ে একটু বেশী সেনসিটিভ তাই তিনি এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। ভাইকে অনেক কলেজ এবং স্কুল দেখালাম তিনি এসব দেখে অনেকটাই মুগ্ধ হয়ে গেছেন। তিনি আমাদের আরো অনেক ভালো ভালো পরামর্শ দিলেন কিভাবে এগিয়ে যেতে হবে। ভাইয়ের কথাগুলো শুনে আমার খুব ভাল লাগল। আমিও ভাইয়ের সঙ্গে পার্সোনালি আলাপ করা শুরু করে দিলাম। আমার সঙ্গে কথা বলার পর ভাইয়ের নাকি আমাকে বেশ ভালো লেগেছে আলামিন কে কথা কয়রে বলেছিল। তারপর থেকে আমার সাথে ও ভাইয়ের একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ঘোরাফেরা শেষে সন্ধ্যেবেলায় একটু বাইরে খাবার প্ল্যান করা হলো। বগুড়াতে বিখ্যাত একটা চপের দোকান আছে। আর সেটা হল বগুড়ার জন্য আমার নামে পরিচিত। এইজন্য আমার চাপ বগুড়ার ম্যাচের খুব কম ছেলেপেলে আছে যারা খাইনি। জন্য আমার হাতে অন্যরকম একটা জাদু আছে মনে হয়। তার চাপ যদি কেউ একবার খেয়ে থাকে তো সে বারবার তার ছাপ খাইতে আগ্রহী হবে বলে আমার মনে হয়। তিনি অনেক ভালো ভাবে চাপ তৈরি করতে পারেন। তার পাপের মধ্যে আলাদা ধরনের একটি টেস্ট খুঁজে পাই আমরা। ভাইকে সেখানে নিয়ে গেলাম তাপ খাওয়ার জন্য। সারাদিন ঘোরাফেরার ফলে ভাইয়ের সঙ্গে একটা আন্তরিকতা চলে আসে। মজা করেছিলাম সেদিন ভাইয়ের সঙ্গে অনেক। চাপ খাইতে গিয়ে ভাই রসিকতা করে বলেই ফেললেন আর লস না ক্যা বেডা খাবি না তো কখন খাবি। ভাইয়ের এমন কথা শুনে তো আমি তার ফ্যান হয়ে গেলাম। কেননা এক দিনেই তার সঙ্গে মনে হয় একটা আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে আমাদের। ও হ্যা খাবার দেওয়ার আগে আমাদের আরো কিছু বড় ভাইকে সাথে নিয়ে ছিলাম ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব বলে।
খাওয়া শেষে যখন রাতে আবার মেসেজ ফিরে তখন ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমরা কিভাবে আগাবো কিভাবে এগিয়ে গেলে আমরা সহজেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পাবো। এ ব্যাপারে ভাই অনেক ভালো ভালো কথা বলতে ছিল এবং অনেক সুন্দর দিক নির্দেশনা দিচ্ছিল। ভাইয়ের কিছু পরামর্শ আমার মনে দাগ কেটে গেছে আসলে এ কথাগুলো তিনি অনেক সুন্দর বলেছেন। তার প্রথম কথা ছিল আমরা এই বয়সে অন্যদিকে ঝুকে দেওয়ার একটি তাল থাকে। যেমন প্রেমের প্রতি আমাদের বেশি আসক্ত থাকে। তিনি আমাদের সুন্দর করে বুঝালেন যে দেখ তোরা যদি একটা ভালো পজিশনে যাস তো তোরা যদি একটা বয়সে চলে আসিস তোরা বিয়ে না করতে চাইলেও তাদের বাবা-মা তাদের পাশে একটা মেয়ে জোর করে হলেও এনে বসিয়ে দেবে। এই প্রেম ভালোবাসা নিয়ে এত চিন্তা ভাবনা করার কিছু নেই এটা প্রকৃতিগতভাবেই তোদের কাছে সময় হলে চলে আসবে। তোদের উচিত এখন তোদের ছাত্রজীবনে বেশি গুরুত্ব দেওয়া। আরো অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন তিনি।
যাই হোক তার সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে আমার আসলে অনেক ভালো লেগেছিল। তিনিও একজন পজিটিভ মাইন্ডের মানুষ। তিনি সবসময় মানুষের ভালো দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তিনি আমাদেরকে তার কথার মাধ্যমে অনেক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আমিতো আর সবসময় মঙ্গল কামনা করি এবং তার এই লেখালেখির স্কিল টা যেন আরও ডেভলপমেন্ট হয় এই কামনা করি। আপনারা সবাই ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন যেন তিনি একজন সফল লেখক হিসেবে এদেশে পরিচিতি পায়। ধন্যবাদ আপনাদের সকলকে আমার ব্লগ টি সম্পূর্ণ পড়বার জন্য।
আমি একজন সাধারন মানুষ আমার ভুলত্রুটি গুলোকে অনুগ্রহপূর্বক আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Join the Discord Server for more Details