বর্তমান পৃথিবীর অবস্থা (১০% লাজুঁক শেয়াল মামার জন্য)
২৭ফাল্গুন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
১২ই মার্চ ,২০২২সাল
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা,
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বর্তমান সময়ের নৈতিকতার অবক্ষয়ের কিছু কারণ এবং বিপর্যয় সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সেই সাথে আমার পাঠক বন্ধুদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনার প্রতি নিহত আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
![]() |
---|
ভালবাসাহীন বিদ্বেষপূর্ণ পৃথিবীতে যুদ্ধের অনিবার্য ক্ষতি সম্পর্কে আমরা কেউই সচেতন নই। আমরা সবাই অবগত নিজ দেশ এবং নিজের উন্নয়ন কিভাবে করা যায়। এটা আমাদের মাঝে বিকেন্দ্রীকরণ করে রেখেছে। আমাদের মস্তিষ্ককে করেছে বিকৃত বুদ্ধি স্বল্পপ্রাণ এবং স্থূলবুদ্ধি! আমরা সবাই মুখে মুখে বলি সমাজের উন্নতি হোক সমাজের উন্নতি হোক কিন্তু কিভাবে সমাজকে বাঁচিয়ে রাখা যায় সেই চিন্তা আমরা কখনোই করি না। যদি আমরা মুখে বলে সমাজের উন্নয়ন হয় প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেকটা ব্যক্তি চায় শুধু তার নিজের উন্নয়ন হোক।
সমাজ মানুষকে টিকে থাকার সুবিধাই শুধু দেয় না, তা থেকে বঞ্চিতও করে। মানুষকে বিকশিত করার আগ্রহ জাগিয়ে তোলার তেমন কোনো চেষ্টা আমাদের সমাজ করে না। তাই মানুষের নিজের চেষ্টায় বিকশিত হওয়ার আপন আপন পথ নির্মাণ করতে হয়। এবং সত্যের পথ বেছে নিতে হয়। যদি সমাজ মানুষকে বড় করে তোলার দায়িত্ব পালন করতো তাহলে আমাদের সমাজের মানুষ হয়ে উঠত উদারহৃদয়, নিরহংকারী,সুকৃতিমায়, বিবেক সম্পন্ন, প্রেম ও সৌন্দর্যের দিকে এক সার্থক মানুষ।
আমাদের বিকাশতার জন্য সমাজ দায়িত্ব পালন করে না আমাদের নিজের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হয়। সমাজ শুধু আমাদের টিকে থাকা এবং এক বদ্ধ থাকার একটি পথ দেখিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা সেই সমাজকে করেছি ত্রুটিপূর্ণ। যার ফলে আকাশ থেকে আবারও আগুন ঝরতে শুরু করেছে। আমার মনে হয় আমাদের নেতৃত্বস্থানীয় বড় সাহেবদের আগে মানবিকতা এবং মনুষ্যত্বের গ্রন্থপঞ্জি নিখুঁতভাবে পরে দেখা দরকার। কারণ সমাজ এবং দুটি দেশের মাঝে কলহ কখনো চাষাভুষার কারনে শুরু হয় না ।শুধু হয় দুটি সমাজ বা দুটি দেশের বড় সাহেবদের ত্রুটির কারণে। তাই বিকশিত জীবনের জন্য আমাদের প্রকৃতির জীবজন্তু এবং গাছপালার বেড়ে ওঠা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সেগুলো বাস্তব জীবনে কাজে লাগানো দরকার।
আজ দুটো দেশের মাঝে যেমন অভিজ্ঞতার অভাব হয় সেটা ভালবাসা দিয়েও জয় করিয়ে নেওয়া যেত কিন্তু আমরা সে সুযোগ হারিয়ে ফেলি সামান্য ভুলের জন্য। মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা পারমাণবিক অস্ত্র পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ এর পরিবর্তে তাদের হৃদয়ে গোলাপ নিক্ষেপ করতে পারতাম কিন্তু আমরা তা না করে জবরদস্তি করে নিজেদের আয়ত্তে রাখতে চাই অসহায়দের। সত্যিই কি আমাদের সমাজ জবরদস্তির কথা বলে? কখনোই না সমাজ চাই সে সুন্দর সুজলা সুফলা থাক সে কখনোই চায় না তার ওপরে আগুনের লাভা এসে পড়ুক। আজকে এখানেই শেষ করছি কি সমাজ এবং সমাজের মানুষ সুন্দর এবং ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হোক। আমাদের মাঝ থেকে দুর্ভোগ অংশে বিদ্বেষ ক্রোধের আগুন। যুলুক সবার মুখে ভালোবাসার হিমবাহ।
Join the Discord Server for more Details
জীবন পাতার শেষ হওয়া একটা পাতার সংরক্ষণঃ
আপনার কথায় আমি সহমত জানাই ভাই। আপনার আজকের পোস্টটি অনেক ভাল লেগেছে আমার কাছে। খুবই সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাই।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
হ্যা ভাই,, সত্যিই সমাজ বেবস্থা তার এখন বেহাল দসা। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আসলে আপনার চিন্তাধারা আমার বেশ ভালো লাগলো। আসলেই সমাজকে সকলে উন্নতি করতে চায় কিন্তু আমরা আসলেই সমাজকে কিভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায় সে চিন্তা করি না। আসলে এখানে কেউ কারো অবস্থান করে দেয় না নিজের প্রচেষ্টায় নিজের চেষ্টায় নিজের অবস্থান করতে হয়। আমরাও চাই সমাজ এবং সমাজের মানুষ সুন্দর এবং ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হোক।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
সত্যি ভালোবাসা নামক এই জিনিসটা আমাদের সমাজে। সবাই মুখে মুখে ভালোবাসি কথাটি বললেও অন্তর থেকে কেউই ভালোবাসা শব্দটা প্রকাশ করে না। আপনার এই গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে। এরকম আরো কিছু জানার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার কাঙ্খিত মন্তব্যের জন্য। আপনার আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।