বন্ধুর জন্মদিন উদযাপন করলাম
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। " আমার বাংলা ব্লগ" এর সকল সদস্যদের জানাই আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভাল আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমরা সবাই জানি,বন্ধু একটা মানুষের জীবনের অনেকটা জুরে থাকে। বন্ধুহীন মানুষ খুব কমই খুজে পাওয়া যাবে না হয়তো বা,কারন মানুষ যেমন সমাজ ছাড়া চলতে পারে না ,ঠিক অনেকটাবন্ধুর ক্ষেত্রেও তাই। আজ আমার বন্ধুর জন্মদিন,ভালোবেসে হয়তো বা খুব বেশি কিছু করতে পারিনি হয়তো বা সেইটা আমার মনের খামতি,মনে হচ্ছে আরও একটু কিছু করতে ভালো লাগতো,কিন্ত বন্ধু হিসেবে ও আমার একটু চেষ্টাতেই ও মহাখুশি। একজন সৎ বন্ধু একটা লাইব্রেরির সমান। যাই হোক কথা, কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আজকের অনুভূতির গল্প…
আমার বন্ধু,
আয়োজন
আসলে আয়োজন টা ছিলো আচমকায়,ও রকম কোনো পরিকল্পনা ছিলো না।আমি জানি আজকে ওর জন্মদিন তাই ওকে কিছুই জানাইনি। বুঝতেও দেইনি। শুধু বলেছিলাম সন্ধার পরি তুই ফ্রি আছিস? আমার সাথে একটূ এক জায়গাত যেতে হবে কাজ আছে। ও বল্লো হ্যা যাবো। মানে ওকে আমি পরিষ্কার ধারনা দিলাম যে ওর জন্মদিন আমি মনে রাখিনি ভুলে গেছি। তারপর ওলে বললাম আমি তুই রুমে থাক আমি আশি। তারপর আরও আমাদের বন্ধু বান্ধবদের ডাকলাম সবাই মিলে প্ল্যান করলাম আজকে সাকিব কে সারপ্রাইজড করবো। যেমনি ভাবা অমনি কাজ, চলে গেলাম বাজারে। আগেই বলে রাখি, আমরা মেসে থাকি, গেলাম বাজারে কেক,মোম থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছু নিয়ে আসলাম। তারপর সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে আবার চলে গেলাম বাজারে, সাকিবকে কিচ্ছু বুঝতে দেইনি। ও রুমে পড়াশুনা করতেছিল।
সেই মুহুর্ত যখন.........
সময় ১২ টার আগেই আমরা একটা রুম সাজিয়ে রেখেছিলাম, ১২ টা বাজতে যখন আর ৪৫ সেকেন্ড বাকী,খুব তড়িঘড়ি করে সাকিবকে আমার রুমে ডেকে নিয়ে আসলাম গিয়ে। ওকে আচমকায় এমন ভাবে ডাকছি ও ভেবেছিলো যেন কন সমস্যা হইছে। তারপর আমার রুমে ও ঢোকা মাত্রই ১২ টা বেজে গেছে সবাই ওকে উইশ করতেছিলো। ও আসলে কখনো ভাবেওনি যে আমরা ওর জন্মদিন মনে রেখে এমন কোনো কিছু আয়োজন করব। ও আসলে অবাক হয়ে গিয়েছিল সবকিছু দেখে।
সত্যি কথা বলতেই হবে, সাকিব বন্ধু হিসেবে ও অনেক ভালো। অনেক ইনোসেন্ট একটা ছেলে। সেইটা অনেক টাও ওর চেহারা দেখেও বোঝা যায়।
যথারীতি
কেক কাটা হয়ে গেলো, ছোট্র পরিসরেই সব আয়োজন । দেন আমরাও কমে যাই না,হয়ে গেলো ফটোগ্রাফি। শুরু করতে দিলাম ফটোগ্রাফি এর মধ্যে কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আমি মোটেও ভুলিনি।
এবার আমি একটি সেলফি নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবা এই উদ্দেশ্যে। তারপর এইভাবেই চলতে থাকে আমাদের ছোট্র আয়োজনে বড় আনন্দঘন মুহুর্ত।
এবার আমাদের খাবার আয়োজন।
পরের বার যখন বাজারে গেলাম তখন আমরা রান্নাবান্নার জন্য বাজার করলাম। রাতে আজকে জম্পেশ আয়োজন হবে খারাপ লাগছে ব্যস্ততার মাঝে ছবি উঠাতে পারিনি।কিন্ত খুব মজা লাগছিল যে সবাই মিলে একসাথে রান্না বান্নার কাজ করছিলাম।
সাকিব আমাদের কে পেয়ে ও অনেক খুশি সেইটা আমরা জানি তবুও মজা তো নিতেই হবে Than ওকে কিছু ডেয়ার দেয়া হলো সেই ডেয়ার দেয়ার কথারগুলো শেয়ার না করি পাবলিক প্লেসে সেইটায় বেটার হিহিহি।
আসলে মেস লাইফের এইসব মজা আসলে জীবনে দুইবার আসে না। এই জীবন টা এক অন্য রকম রোমাঞ্চকর ,সেইট বুঝতে হলে উপভোগ হিসেবে নিতে হবে। পড়াশুনার চাপ থাকবেই তাই বলে কি জীবনে অবসাদ আনা যাবে?? মোটেও না। জীবন টা ভয়ংকর সুন্দর,আমাদের শুধুমাত্র সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে হবে।
যাই হোক,
আমার বন্ধুর জন্য সবাই দোয়া করবেন, ওর জীবন টা যেন ও সুন্দর করে গুছিয়ে নিতে পারে।
আর আমাদের জন্য দোয়া করবেন সামনে আমাদের উচ্চ-মাধ্যমিক ফাইনাল এক্সাম।
ভাই আপনারা খুব আনন্দের সাথে আপনার বন্ধুর জন্মদিন উদযাপন করেছেন। তাই আপনার বন্ধু কে আমার পক্ষ থেকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা, শুভ জন্মদিন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনার বন্ধুর জীবনের পথ চলা যেনো সহজ ও সুন্দর হয় তার জন্য দোয়া করি আর আপনার বন্ধুকে আমার তরফ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা দিবেন।সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপু, আপনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছি।
যাদের প্রকৃত বন্ধ থাকে তারা আসলেই অনেক লাকি। বন্ধুরা বিপদে-আপদে সব সময় সঙ্গ দেয়। আপনার বন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আশা করি তারা আগামী দিনগুলো অনেক সুন্দর কাটবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার কাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের জন্য।