আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল। লাজুক শিয়ালের জন্য ১০% বেনিফিশিয়ারি।
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন । আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ্র তাআলার মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি ইনশাল্লাহ। যে যেখানেই থাকুক না কেন সবাই অনেক অনেক ভাল থাকুক এই আশা রাখি সবসময় আল্লাহতালার কাছে। তিনি আমার সকল বন্ধুবান্ধব এবং সকলকে যেন সর্বদা ভালো রাখে। আপনাদের জন্য আছে সব সময় আমার দোয়া এবং ভালোবাসা। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার তোলা কিছু ফটোগ্রাফি এবং আমার প্রিয় বাংলাদেশের কয়টি ঋতু সম্পর্কে আলোচনা করব।
এই সুন্দর শস্য শ্যামলা রুপালী সোনালী আমাদের এই বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের কোনায় কোনায় যেন ভরে আছে স্নেহ মায়া-মমতা। মায়ের মমতা পাই যেন আমার এই দেশ থেকে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা গর্বিত নাগরিক কেননা আমরা একজন স্বাধীন দেশের নাগরিক। স্বাধীনতা আমাদের এমনি এমনি আসে নাই এই স্বাধীনতা আমাদের অর্জন করতে হয়েছে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। এবং হাজার হাজার মা বোনেরা তাদের ইজ্জত বিলিয়ে দিয়েছে আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে। বন্ধুরা স্বাধীনতার গল্প না হয় অন্য একদিন করা যাক। প্রকৃতিগত দিক থেকে আমাদের এই দেশ ছয়টি টি ঋতুতে বিভক্ত। এবং এই ছয়টি ঋতুর নাম হল গ্রীষ্মকাল,বর্ষাকাল, শরৎকাল, বসন্তকাল, হেমন্তকাল, ও শীতকাল।
এই ঋতু গুলোর মধ্যে শীতকাল আমার সব থেকে বেশি প্রিয়। কেননা শীতকালে অনেক কিছু পাওয়া যায় এবং এই ঋতুতে অনেক মজা হয় অনেক মস্তি হয়। বিশেষ করে শীতকাল টি আছে ইংরেজি মাসের ডিসেম্বরে। আর এই সময়তে সবার মোটামুটি পরীক্ষাগুলো শেষ হয়ে যায় এবং অন্যরকম একটি আনন্দ সবার মাঝে বিরাজ করে। এই সময় ভোরের চিত্রটি অনেক অনেক অসাধারণ হয়। ভোরবেলা বিছানা থেকে উঠে বাইরে বের হলে দেখা যায় শিশির এ সে যাওয়া পুরো মাঠ। এই দৃশ্যটি অনেক উপভোগ করি আমি। বাইরে বের হলে মুখ দিয়ে হাওয়া ছাড়লে মুখের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হয়।
আরো শীতকালে পাওয়া যায় খেজুরের রস। শীতের সময় গ্রামের মানুষ কোমরে দড়ি বাধা এবং গাছে লাঠি দিয়ে সেলাই করে খেজুরের রস সংগ্রহ করে। বিশেষ করে মুরুব্বী শ্রেণীর মানুষগুলোর জন্য আমরা খেজুরের রস বেশি খেতে পারি। কারন তারাই খেজুরের রস সচরাচর আহরণ করে থাকে। শীতকালে সকালে রোড টিও অনেক মিষ্টি হয়। সকালবেলা গ্রামাঞ্চলে ঘরের ভেতর থেকে বের হলে সবাই একত্রিত হয়ে মিষ্টি রোদ উপভোগ করা হয়। আর এই রোদ টি যেন আসলেই মিষ্টি লাগে।
শীতকালে আরও নানান ধরনের শাকসবজি পাওয়া যায়। যেগুলো আমরা অন্য ঋতুতে সচরাচর পায় না। বিশেষ করে আলু এবং সরিষার দৃশ্যটি দিয়ে মাঠ ভরে যায়।
পিঠা উৎসব এর সবচেয়ে বড় উৎস হলো ভাপা পিঠা। যেটা পালন করা হয় এই শীতকালে। আরো অনেক ধরনের পিঠা পুলির ধুম পড়ে যায় এই ঋতুতে। শহরের অলিগলিতে দেখা যায় ভাপা পিঠা সহ আরো অনেক ধরনের পিঠা পুলির দোকান। শীতকালের সকালের সূর্য উঠা থেকে বিকেলের সূর্য ডোবার দৃশ্য টি অসাধারণ। বিকেলের আকাশ লাল হয়ে যায় সূর্য ডোবার সময় লাল হয়ে যায় এ দৃশ্যটি আমি অনেক উপভোগ করি। বন্ধুরা সব কিছু মিলিয়ে আমার শীতকাল টি বেশ ভালই লাগে। আপনাদের যদি কোন ঋতু সম্পর্কে ভালোলাগা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমার পোস্টে মন্তব্য করে জানাবেন।
আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।
Join the Discord Server for more Details
শীতকাল মানেই পিঠা উতসব।এর সাথে সুন্দর শাকসবজি আছেই। বাংলাদেশে শীতকাল যেন একটু বেশি সুন্দর।খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।ভাল লাগ্ল।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আলমগীর ভাই ছবিতো আপনি অনেক ভালো তোলেন। কিন্তু এত অল্প ছবি দেখলে তো মন ভরে না। পরবর্তীতে আরো বেশি ছবির প্রত্যাশা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাই আপনার কাঙ্খিত মন্তব্যের জন্য।
প্রকৃতির ছবি গুলো, আপনার ক্যামেরায় এনে সুন্দর করে উপহার দিলেন।ভাল ছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ