শিল্প মেলায় কিছু আনন্দঘন মুহুর্ত (10% beneficiaries to shy-fox)
সবার উপর শান্তি বর্ষিত হোক |
---|
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের ভালোবাসায় এবং আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। সেই সাথে স্টিমিট এর সকল বন্ধুদের কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেননা আজ আমার বিশেষ খুশির একটা দিন। আজকের দিনটা আমি অনেক ভালো কাটিয়েছি। অনেকদিন পর এমন সুন্দর একটি সময় কাটালাম। আজকের দিনটি আমার কাছে একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনটি যেন অন্যরকম এক আনন্দ অনুভূতির দিন। এই দিনটি আমার জীবনের ডাইরির পাতায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আজ আমরা বন্ধুরা মিলে বেশ একটা লম্বা সময় পর একত্রিত হয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে অনেক হইহুল্লোড় করে সময়টা পার করলাম।
শিল্প মেলায় কিছু আনন্দঘন মুহুর্ত
অনেকদিন হলো কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি তবে স্কুল জীবনে স্কুলের প্রশাসনিকভাবে প্রত্যেকবার শিক্ষা সফরে যাওয়া হয়তো কোন একটি দর্শনীয় স্থানে কিন্তু স্কুল পেরিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে দেশে দুর্যোগ নেমে এসেছে যার কারণে কোথাও বড়োসড়ো আয়োজন করে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং চলছে তার মাঝেই নিজের জন্য একটু সময় বের করে নিলাম এবং মেলায় কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। তুমি অনেকদিন হলো অনেক বিরক্তকর সময় কাটতে ছিল তবে আজকে বাণিজ্য মেলা থেকে ফিরে এসে মনে একটি শান্তির স্বস্তি পেলাম।
এখানে অনেক চমৎকার একটি খেলা খেললাম একটি লোহার দ্বন্দ্ব দিয়ে বেলুন ফুটো করা। যদি চারটা বেলুন ফুটো করা যেত তাহলে একটা পুরস্কার পেতাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনটা পর্যন্ত করতে পেরেছিলাম।
এখানে ছোট ছোট বাচ্চারা অনেক সুন্দর আনন্দের সহিত খেলাধুলা করতে ছিল আমি এখানে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দেখলাম তাদের আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো এবং ক্যামেরাবন্দি করে নিলাম কিছু ছবি। এখানে এটা ভারী কাগজ দিয়ে তৈরি এবং পাশের অংশগুলো কাঠ দিয়ে মোড়ানো ছেলেমেয়েরা কাগজের উপর দিয়ে ঝলকানি খাচ্ছিল দেখে মজাই লাগতেছিল।
ছোটবেলায় আমরা যে খেলনা গুলো যে খেলা গুলো তে উঠে আনন্দ করতাম এখন সেগুলোর পরিবর্তন হয়েছে। আমার দেখা খেলনা গুলোর মধ্যে কিছু নতুন খেলনা হচ্ছে একটি সার্কেলের মধ্যে অক্সিজেন ঢুকিয়ে ছোট ছেলে মেয়েদের প্রবেশ করিয়ে পানির উপরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং তারা অধীর উৎসাহে খেলা করছে।
এখানে একটি ট্রেন স্থাপন করা হয়েছে যেখানে টিকিটের বিনিময় দু চার পাক খাওয়ানো হয়। তবে জায়গা যদিও ছোট ট্রেনটি অনেক ডেকোরেশন করা তাই কিছু সময়ের জন্য আনন্দ উপভোগ করা যায়।
এখানে যে ছবিটি প্রদর্শন করেছে এটা হল একটি দোলনার ছবি যখন আমি ছোটবেলায় মেলায় যেতাম তখন এই দলটি দেখেছিলাম তবে সেটা কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির ধারায় মেশিনের সাহায্যে ঘোরানো হয়। তুমি এখানে উঠলে গায় ছম ছম করতো। |
---|
ব্যতিক্রম ধরনের একটি দোলনা নৌকা। দলনা সত্যিই অসাধারণ লেগেছে আমাকে। নৌকার মাঝে বসে নৌকা মেশিনের সাহায্যে চালিয়ে দেয় এবং দুদিকে দুলতে থাকে। চরকা দোলনার নৌকার ধারণাটি একটু আলাদা এখানে যত সাহস নিয়ে উঠে না কেন বুকের মাঝে কেন জানি হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।
ছোটবেলায় যখন মেলায় ঘুরতে যেতাম তখন অনেক বায়না করতাম এই খেলনা গুলোতে ওঠার জন্য কিন্তু এইবার মেলায় গিয়ে কেন জানি ইচ্ছে হচ্ছিল না এই খেলনা গুলো তে উঠে একটু এনজয় করি। আমি চারিদিকে ঘোরাঘুরি করলাম এবং ছেলেমেয়েদের আনন্দ দেখলাম। এদিকে ওদিকে তাকিয়ে ফ্রেমে আবদ্ধ করিয়ে নিলাম কিছু ছবি। আমি যেখানেই যাই আমি চেষ্টা করি সেই মুহূর্তগুলো আমার ইস্টিমেট বন্ধুদের সঙ্গে একটু ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কিছু বই এবং তার রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরা আছে। কর্ণারে বুকশেলফে দেখলাম কিছু বই রাখা আছে এবং বই পড়ার জন্য শেয়ার এবং টেবিল দেওয়া আছে বিষয়টি আমার কাছে সম্পূর্ণরূপে ভালো লেগেছে। তাই এখানে ক্যামেরাবন্দি হয়ে গেলাম।
আমি কিছু ভিডিও করেছি পরবর্তীতে চেষ্টা করবো ভিডিও গুলো এডিট করে আপনাদের সামনে নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ আপনাদের সকলকে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ জোগানোর জন্য।
Photographer | @alomgirkabir50 |
---|---|
location | @bogura |
আপনার শিল্প মেলার আনন্দঘন মুহুর্তের ছবিগুলো গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন, সেইটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
আমাদের গ্রামে বৈশাখ মাসে ৩ দিন ব্যপী বৈশাখী মেলার আয়জোন করা হয়। সেখানে অনেক মজা করি কিন্তু গত বছর মেলা হয় নাই করোনার জন্য। এই বারও হবে নাকি কে জানে।
যাইহোক, আপনার পোস্টের কোয়ালিটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর ভাবে সব কিছু উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই আপনাদের সাপোর্ট এবং ভালোবাসা পেলে সামনের দিনে আরো ভালো কিছু হবে ইনশাল্লাহ।
শিল্প মেলা আমার কাছে তো বেশ ভালো লাগে। আমাদের এখানেও মেলা হয়। আমি প্রতিবারই মেলায় যাই। মেলাতে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। মেলার প্রত্যেকটা জিনিস দেখতে যেন ভালো লাগে। আর বাচ্চাদের খেলার বিষয়গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনি মেলার অনেকগুলো মুহূর্ত আমাদেরকে দেখিয়েছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার কাঙ্খিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শিল্প মেলা আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।যেসব যায়গা আপনি ঘুরে ঘুরে দেখেছেন , প্রত্যেকটা জায়গার ফটো গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন । আমরাও মনে হলো আপনার সাথে সাথে ঘুরে ঘুরে দেখেছি । খুবই ভালো লেগেছে, ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে । ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।