হঠাৎ বড় ভাইয়ের ডাকে পিকনিকে উপস্থিত(১০% লাজুক শিয়াল মামার জন্য)
হ্যালো
হঠাৎ বড় ভাইয়ের ডাকে পিকনিকে উপস্থিত
আগামীকাল কোন প্রস্তুতি ছাড়াই পিকনিকে উপস্থিতি হতে হয়েছিল। গতকাল সকালে আবু বকর ভাই ফোন দিয়ে আমাদের মহস্থান জাদুঘরের উপস্থিত হইতে বলল। বগুড়াতে সাধারণত আমি এবং আমার বন্ধু আলামিনের সংগে আবুবক্কর ভাই এর যোগাযোগ ভালো হয় তাই তিনি আমাদের সেখানে ডেকে নিলেন। সেখানে গিয়ে অনেক আনন্দ করেছি। আবু বক্কর ভাই ঢাকা থেকে এসেছিলেন এবং রংপুর ইমরান কোচিং সেন্টার থেকে চারটি বাস নিয়ে শিক্ষার্থীরা এসেছিলেন।
সেখানে সবাই আবুবকর ভাইকে নিয়ে ওইগুলো শুরু করেছেন। তার একটি বিশেষ কারণ ছিল, কারণটি হলো আবু বকর ভাই বাংলা অভিযাত্রী বইয়ের লেখক এবং তিনি ইমরান কোচিং সেন্টারে বাংলা ক্লাস নিতেন। তাই সবাই সব সময় ভাইকে ঘিরেই আনন্দ নাচানাচি এবং ছবি তোলা নিয়েছিল এক বিরাট ব্যস্ততার সময়। প্রথমত রংপুর থেকে এসেছিল পুন্ড্রনগরের জাদুঘর এবং বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসর ঘর ভ্রমণ করার জন্য। রংপুর থেকে আসা বাসগুলো পুন্ড্রনগরের জাদুঘরের সামনে একটা জায়গায় পার্কিং করেছিল এবং সেখান থেকে সবাই মিলে 20 টাকা করে টিকিট কেটে জাদুঘরে প্রবেশ করে ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসগুলো দেখতে সবাই আগ্রহী হলো। সম্পূর্ণ জাদুঘরটি আমরা ঘুরে ঘুরে দেখলাম তবে দেখে অনেক ভালো লাগলো।
জাদুঘরে প্রবেশের পূর্বেই গেটম্যান সবাইকে মোবাইলে ছবি তুলতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু কেন যে ছবি তুলতে নিষেধ করেছিল সেটার হদিস খুঁজে পাইনি।তবে আমাদের বন্ধু বান্ধব একসঙ্গে হলে যা হয় আমি চুপিচুপি বেশ কিছু ছবি তুলেছি। তবে আমার খুব ইচ্ছে ছিল সব গুলো ছবি উঠিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি।
এটা ছিল কষ্টি পাথরে খোদাই করা মৌর্য যুগের একটি মূর্তি।
এই ছবিটা আমি খুব ভালো একটা তুলতে পারিনি ,এই ছবিটি ছিল সে আমলের পুন্ড্রনগরের মানচিত্র। মানচিত্রে উল্লেখ ছিল পুন্ড্রনগরের শাসকের প্রাসাদ এবং প্রবেশপথ এবং মহাস্থানগড়ের চারপাশে নির্মিত রাস্তাগুলো।
এগুলো ছিলো পোড়ামাটির ফলক। তবে আমি আর একটু সতর্ক হইলে আরো কিছু ছবি তুলতে পারতাম কিন্তু অনেকগুলো বন্ধুবান্ধবের ভিড়ের জন্য তা সম্ভব হয়নি।
সারাদিন অনেক ঘোরাঘুরি পরে আমরা সবাই একত্রে খেতে বসেছিলাম। তবে সারাদিন ঘোরাঘুরি পর খাওয়াটা অনেক জোশ ছিল। আর আবু বক্কর ভাই কিছুতেই আমাকে ছাড়ছে না , কারণ আমি সবার সঙ্গে অনেক সুন্দর মিশতে পারি এবং কথা বলতে পারি বলে ভাই সব সময় আমাকে কাছাকাছি রাখে।
বন্ধুবান্ধব তো রাগে ফায়ার হয়ে যাচ্ছে তাদের দিকে ক্যামেরা ঘুরাচ্ছি না বলে। তাই তাদের খুনসুটি ভাঙ্গাতে ক্যামেরার ফ্রেমে তাদেরকে বন্দি করে দিলাম খাওয়ার মুহূর্তে।
রান্না শেষে এবং খাবার দেওয়ার পূর্ব মুহূর্তে কিছু ছবি তুলেছিলাম।
Join the Discord Server for more Details
জীবন পাতার শেষ হওয়া একটা পাতার সংরক্ষণঃ
পিকনিকে কি খেয়েছেন সেটা জানতে পারলাম না? তবে এই ধরনের পিকনিক আসলেই খুব মজা হয়। আপনার জন্য কিছু পরামর্শ থাকবে পোস্ট লেখার পর সাবমিট করার আগে একবার ভালো করে চোখ বুলিয়ে নেবেন। তাহলে পোষ্টে ভুলের পরিমাণ অনেক কমে আসবে। আপনার এই পোস্টে বেশ কিছু ভুল আছে।
কিছু ভুলের কারণে আপনার চমৎকার ভাবে লেখা পোস্ট এর মান কমে যায়। আশা করি পরবর্তীতে এ বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আমি বানানগুলো ঠিক করে নিয়েছি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্য এবং বানান ঠিকের পরামর্শ দেওয়ার জন্য❤️❤️❤️
ডিম, মাছ,মুরগির রোস্ট এবং খাসির মাংস ছিলো। তার সাথে স্পেশাল ছিলো একটি করে প্রান আপ।
তাহলেতো জম্পেশ একটা খাওয়া-দাওয়া হয়েছে। আসলে খাওয়া-দাওয়া ছাড়া এই ধরনের পিকনিক খুব একটা জমে না।
জ্বি ভাই ঠিক বলেছেন। আর বাঙালি তো খাওয়া ছাড়া কিছু বোঝেই না। খাওয়া পাইলে সব ওকে।
আমার কাছে পিকনিক স্পটে পিকনিক করা ভাল লাগে না। পিকনিক করবো জঙ্গলে যেখানে নির্জন। হা হা হা। বড় ভাই ডাক দিয়েছিল বলেই খাওয়া টা ভাল হল। পিকনিক মানেই তো খাওয়া, লটারী, খেলা, গান৷ বাজনা। সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মহাস্থানগড়ে আমিও একবার গিয়েছিলাম। জায়গাটি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। প্রাচীন বাংলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই স্থানটিতে। প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবে সমৃদ্ধ একটি জায়গা। আমি অবশ্য আপনাদের মত পিকনিকে যাই নি। এমনিতেই ঘুরতে গিয়েছিলাম। যাই হোক অনেক মজা করলেন অপরিকল্পিত একটি পিকনিক এর মাধ্যমে। শুভকামনা রইল
মহাস্থান সত্যিই অনেক সুন্দর একটা জায়গা। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনার পিকনিক এর অভিজ্ঞতা খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।ভালোই মজা করেছেন তা আপনার পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই। 💞💞
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আবু বক্কর ভাই কি মনে হয় আমি চিনি। কোন একটা বই পড়েছিলাম অভিযাত্রি। অভিযাত্রী বই আমি আমার স্টুডেন্টকে এখনো পড়াই। বগুড়ার মহাস্থানগড়ের আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরো সুন্দর সময় কাটাবেন এই প্রত্যাশা করছি। দিনটি অনেক সুন্দর কাটিয়েছেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি আপু আপনি ঠিকই ধরেছেন। বাংলা অভিযাত্রী বইয়ের লেখকের সেই আবু বক্কর ভাই। সত্যিই অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পিকনিক হচ্ছে মনের খোরাক যোগানোর জন্য ভালো ঔষধ। যা সত্যিই মনে আনন্দ যোগায় ☺️
আপনার পিকনিকে যাওয়া দেখে সত্যিই আমারও যেতে ইচ্ছে করছে।☺️
খুব ভালো একটি জায়গা বাছাই করেছেন পিকনিকের জন্য 🥀
আপনার চমৎকার অনুভূতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই ♥️
পিকনিক এবং গান মানুষের মনের খোরাক বলে আমি মনে করি। আর ভ্রমণ তো আমি মনে করি সর্বোচ্চ একটি আনন্দের জায়গা । আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মহাস্থানগড়ে আমার কখনো যাওয়া হয়নি। তবে আপনার পিকনিক করাটা দেখে জায়গাটি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। এখানে যতটুক জানি প্রাচীন বাংলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এবং তাছাড়া প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবে সমৃদ্ধ একটি জায়গা আমাদের দেশের মধ্যে অনেক বিখ্যাত একটি জায়গা। আমি অবশ্য সময় করে একবার ঘুরতে যাব। যাই হোক অনেক মজা করলেন অপরিকল্পিত একটি পিকনিক এর মাধ্যমে এবং সেই আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল অবিরাম আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার কাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের জন্য ❤️