কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আজকে আমরা ‘ওয়াট ইফ…?’ সিরিজটির সিজন ২ এর এপিসোড ৭ - ‘‘ওয়াট ইফ… হেলা ফাউন্ড দা টেন রিংস?” নিয়ে কথা বলবো। ‘ওয়াট ইফ…?’ অ্যানিমেটেড সিরিজটিতে ওয়াচার নামক একটি চরিত্র গল্পাকারে বিভিন্ন ইউনিভার্সের কাহিনী শুনিয়ে দর্শকদের মার্ভেলের বিভিন্ন ঘটনা ভিন্নভাবে ঘটলে কী হতো, তা দেখায়। সিরিজটির সিজন ২ মার্ভেল স্টুডিওসের ফেইজ ৫ এর অন্তর্গত।

---

_{স্ক্রীনশট:- HQflix}

---

বিষয়	নাম
সিরিজের নাম	ওয়াট ইফ…?
সিজন	২
এপিসোড	৭
পরিচালক	ব্রায়ান অ্যান্ড্রুজ ও স্টিফেন ফ্র্যাঙ্ক।
লেখক	এ.সি. ব্র্যাডলি ও ম্যাথিউ কাউন্সি।
শ্রেষ্ঠাংশে	কেট ব্ল্যানচেট, জেফ বার্গহ্যাম, ইড্রিস এলবা, ফিওডর চিন, লরেন টম প্রমূখ।
মুক্তির তারিখ	২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
স্ট্রিমিং সার্ভিস	ডিজনি প্লাস
মূল ভাষা	ইংরেজি
কান্ট্রি অফ অরিজিন	যুক্তরাষ্ট্র

---

*** মূল কাহিনীঃ হেলার রক্তপিপাসা দেখে ওডিন হেলার ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তাকে পৃথিবীতে নির্বাসনে পাঠায়, ও হেলার মুকুটে জাদু করে যাতে একমাত্র দয়াশীল কেউ-ই হেলার ক্ষমতা লাভ করতে পারবে। হেলা নিজেকে প্রাচীন চীনে আবিষ্কার করে, আর তার সামনে আসে শু ওয়েনয়ু ও তার বাহিনী। হেলা তার মুকুট তুলতে ব্যর্থ হয়, আর হেলাকে ওয়েনয়ু টেন রিংসে নিয়োগ দিতে চায়। কিন্তু হেলা তার টেন রিংস চুরি করতে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে টা লো- তে আশ্রয় নেয়, যেখানে তাদের নেত্রী, জিয়ায়ী তাকে টা লোর কলাকৌশল শেখাতে রাজি হয়। জিয়ায়ী হেলাকে বুঝতে সাহায্য করে যে সে আসলে কী চায়- হেলা আসলে চায় নিজের স্বাধীনতা, তার বাবার থেকে স্বাধীনতা, নিজের সিদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা। যখন হাইমডাল আর হেলাকে দেখতে পারে না, তখন ওডিন হেলাকে খুঁজতে ও টেন রিংস ধ্বংস করতে পৃথিবীতে আসে। হেলা ওয়েনয়ুর সাথে ওডিনের বিরুদ্ধে লড়ে, কিন্তু সে হারতে থাকে। একদম শেষ মুহূর্তে হেলা সর্বোচ্চ দয়াশীলতার পরিচয় দেয়, যার ফলে সে আবার তার মুকুট পরার সুযোগ লাভ করে ও ওডিনকে হারাতে পারে। ওডিন হেলার বিকাশ বুঝতে পারে, ও অ্যাসগার্ডের সিংহাসন তার কাছে হস্তান্তর করে। হেলা অ্যাসগার্ডের বাহিনী ও ওয়েনয়ুর সাথে জগতের সব স্থানে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ডাক পৌছানোর কাজ শুরু করে। ***

_{স্ক্রীনশট:- HQflix}

---

ব্যক্তিগত মতামতঃ
এই এপিসোডে আমরা “থরঃ র‍্যাগনারক” ও “শ্যাং চি অ্যান্ড দা লেজেন্ড অফ দা টেন রিংস” মুভির কাহিনীকে ভিন্নভাবে ঘটতে দেখেছি। এই এপিসোডটি অনেক ভালো ছিলো, কারণ এই এপিসোডের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পেরেছি যে হেলার মতো নির্দয় একজন মানুষও আসলে ভেতর থেকে ভেঙে পরা খুব সাধারণ একজন মানুষ, যাকে ওডিন অপব্যবহার করে এই নৃশংস হত্যা-যন্ত্রে পরিণত করেছে। দিনশেষে হেলা শুধু চেয়েছিলো তার সার্বভৌমত্ব, যা হেলা এখন পেয়েছে। আরো সুন্দর একটি দিক হলো শ্যাং চির বাবা ও মা- উভয়েই হেলাকে তার নতুন পথ দেখাতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে মৃত্যুর দেবী এখন প্রাণের দেবীতে পরিণত হয়েছে। সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি এপিসোড ছিলো এটা।

আশা করি আমার এই রিভিউটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি এই বিষয়ে এখনও অভিজ্ঞ নই, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন ভুল করে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।
--------- | ---------

---

যদি আপনাদের আমার পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।

---

💗ধন্যবাদ💗