কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজকে আমরা ‘ওয়াট ইফ…?’ সিরিজটির সিজন ১ এর এপিসোড ১- ‘‘ওয়াট ইফ… ক্যাপ্টেন কার্টার ওয়্যার দা ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার?” নিয়ে কথা বলবো। ‘ওয়াট ইফ…?’ অ্যানিমেটেড সিরিজটিতে ওয়াচার নামক একটি চরিত্র গল্পাকারে বিভিন্ন ইউনিভার্সের কাহিনী শুনিয়ে দর্শকদের মার্ভেলের বিভিন্ন ঘটনা ভিন্নভাবে ঘটলে কী হতো, তা দেখায়। সিরিজটির সিজন ১ মার্ভেল স্টুডিওসের ফেইজ ৪ এর অন্তর্গত।

---

বিষয়	নাম
সিরিজের নাম	ওয়াট ইফ…?
সিজন	১
এপিসোড	১
পরিচালক	ব্রায়ান অ্যান্ড্রুজ।
লেখক	এ.সি. ব্র্যাডলি।
শ্রেষ্ঠাংশে	হেইলি অ্যাটওয়েল, সেবাস্টিয়ান স্ট্যান, জশ কিয়াটন, ডমিনিক কুপার প্রমূখ।
মুক্তির তারিখ	১১ আগস্ট, ২০২১
স্ট্রিমিং সার্ভিস	ডিজনি প্লাস
মূল ভাষা	ইংরেজি
কান্ট্রি অফ অরিজিন	যুক্তরাষ্ট্র

---

_{স্ক্রীনশট:- HQflix}

মূল কাহিনীঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, স্টিভ রজার্সকে সুপার সোলজার সিরাম প্রয়োগ করার জন্যে নির্বাচিত করা হয়, কিন্তু সে সিরামটি নেয়ার আগেই ‘হাইড্রা’-এর একজন গুপ্তচরের কাছ থেকে আহত হয়, কারণ মার্গারেট “পেগি” কার্টার উপরতলায় না গিয়ে নিচতলায় থেকে যেতে চেয়েছিলো। কার্টার ঐ গুপ্তচরকে হত্যা করে নিজে সিরামটি গ্রহণ করে। পেগি সুপার সোলজার হবার পরেও তাকে মাঠপর্যায়ের কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু যখন সে হাওয়ার্ড স্টার্কের তৈরি ঢাল ব্যবহার করে হাইড্রা থেকে টেসার‍্যাক্টটি উদ্ধার করে এনে দেয়, তখন এসএসআর নেতা ফ্লিন তাকে ক্যাপ্টেন কার্টার হিসেবে পদোন্নতি দিতে বাধ্য হয়। স্টার্ক টেসার‍্যাক্টটা ব্যবহার করে স্টিভ রজার্সের জন্যে একটি “হাইড্রা স্টম্পার” স্যুট তৈরি করে দেয়। কার্টার আর রজার্স একত্রে অনেকগুলো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে, কিন্তু একটি হাইড্রা ট্রেন বিস্ফোরণের সময় স্টিভ নিখোঁজ হয়ে যায়। কার্টার ও বাকিরা রজার্সকে আবার খুঁজে পায় যখন তারা একটি হাইড্রা বেইস আক্রমণ করে। সেখানে রেড স্কাল একটি পোর্টাল খোলে, আর তা থেকে একটি অক্টোপাস-জাতীয় জন্তু বের হয়ে তাকে হত্যা করে। ক্যাপ্টেন কার্টার সেই জন্তুকে ঠেলে সরাতে গিয়ে সেই পোর্টালে প্রবেশ করে। প্রায় ৭০ বছর পর, টেসার‍্যাক্ট ব্যবহার করে খোলা আরেকটি পোর্টাল দিয়ে পেগি কার্টার বেরিয়ে আসে, ও তার সাথে নিক ফিউরি ও ক্লিন্ট বার্টনের দেখা হয়।

_{স্ক্রীনশট:- HQflix}

ব্যক্তিগত মতামতঃ
এই এপিসোডে আমরা “ক্যাপ্টেন আমেরিকা- দা ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার” মুভিটির একটি অন্যরকম পরিণতি দেখতে পাই। আমরা এর মাধ্যমে বুঝতে পারি যে, একতলা থেকে দোতলা না যেতে চাওয়ার মাধ্যমেই গল্পটা কতটা বদলে যেতে পারে। এই গল্পটা বেশ সুন্দর ছিলো, তবে মুভির ঘটনার সাথে অনেকটা একই রকম হয়ে গিয়েছে এটা। খুব বেশি পরিবর্তন হয় নি। এটা বাদ দিলে বেশ ভালো এপিসোড ছিলো। ক্যাপ্টেন কার্টারের সাথে স্টিভ রজার্সের প্রেম একটু ভিন্ন মাত্রা লাভ করেছে। সবমিলিয়ে এটাকে একটি আধাঘন্টার মার্ভেল মুভি বলাই যায়।

আশা করি আমার এই রিভিউটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি এই বিষয়ে এখনও অভিজ্ঞ নই, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন ভুল করে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।
--------- | ---------

---

যদি আপনাদের আমার পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।

---

💗ধন্যবাদ💗