---

কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আজকে আমরা ‘অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড’ সিরিজটির সিজন ১ এর এপিসোড ৩ নিয়ে কথা বলবো। এটি জনপ্রিয় জাপানিজ গ্রাফিক নভেল মাঙ্গা সিরিজ “অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড” এর অ্যাডাপ্টেশন, এবং এর প্রযোজনা করেছে নেটফ্লিক্স।

বিষয়	নাম
সিরিজের নাম	অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড
সিজন	১
এপিসোড	৩
পরিচালক	শিনসুকে সাতো।
লেখক	ইয়োশিকি ওয়াতাবে, ইয়াসুকো কুরামিতসু, ও শিন্সুকে সাতো।
শ্রেষ্ঠাংশে	কেন্তো ইয়ামাজাকি, তাও সুচিয়া, ইয়ুকি মরিঙ্গা, কেইতা মাশিদা, আয়ামে মিসাকি, নিজিরো মুরাকামি, ইয়ুতুরো ওয়াতানাবে, শো আয়োয়াগি, আয়াকা মিয়োশি, আয়া আসাহিনা, দোরি সাকুরাদা, তসুয়ুশি আবে প্রমূখ।
মুক্তির তারিখ	১০ ডিসেম্বর, ২০২০
স্ট্রিমিং সার্ভিস	নেটফ্লিক্স
মূল ভাষা	জাপানিজ
কান্ট্রি অফ অরিজিন	জাপান

---

_{স্ক্রীনশট:- HQflix}

---

মূল কাহিনী

আগের এপিসোডের পর, আরিসু আর কারুবে তাদের খেলা শেষে ফিরে আসে এবং ছোটা আর শিবুকিকে সব কথা জানায়। কারুবে তাদেরকে তার পাওয়া রেডিওটা দেখায়, আর তারা বিচ জায়গাটা নিয়ে কিছু চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করে।
পরের দিন, আরিসু, কারুবে, ছোটা আর শিবুকি আরেকটি গেম এরিনার খোঁজে বের হয়, কারণ ছোটা আর শিবুকির ভিসার সময়কাল প্রায় শেষ হয়ে আসছিলো। তারা বোটানিক্যাল গার্ডেনে আরেকটি এরিনা খুঁজে পায়, আর সেখানে তারা আবিষ্কার করে যে শুধু তারা ৪ জন-ই সেই গেমের অংশগ্রহণকারী। তাদেরকে জানানো হয় যে এই গেমের কাঠিন্যের লেভেল হলো “৭ অফ হার্টস”। আরিসু বুঝতে পারে যে এই খেলাটি বিশ্বাস ও আস্থাভঙ্গের খেলা, আর ৭ নম্বর কার্ড মানে খেলাটি যথেষ্ট কঠিন হবে। তাদেরকে এরপর তাদের সামনে থাকা স্ক্রীনের মাধ্যমে একটি কলার, হেডফোন ও ভাইজর পরে নিতে বলা হয়, আর সামনে থাকা অস্ত্রের বিশাল স্তূপ থেকে অস্ত্র বেছে নিতে বলা হয়, যেখান থেকে কারুবে একটি ছোট ধারালো অস্ত্র বেছে নেয়। এরপর তাদেরকে এই খেলার নিয়ম জানানো হয়। এই খেলার নাম “হাইড অ্যান্ড সিক” অর্থাৎ “লুকোচুরি”, আর এই খেলায় ১জন হবে নেকড়ে আর বাকিরা ভেড়া। নেকড়ে ভেড়ার দিকে চোখে চোখ রেখে তাকালে নেকড়ে ভেড়া হয়ে যাবে, আর ভেড়া নেকড়ে হয়ে যাবে। নির্দিষ্ট সময় শেষে যে নেকড়ে থাকবে, সে-ই বেঁচে থাকবে, বাকিদের কলার বিস্ফোরিত হয়ে তারা মারা যাবে। আরিসু বুঝতে পারে যে এই খেলায় শেষ পর্যন্ত শুধু ১ জন ই বেঁচে থাকবে, আর বাকিরা মারা যাবে।
শিবুকি সবাইকে ধোঁকা দিয়ে নিয়ে নেকড়ে হয়ে লুকিয়ে যেতে চায়, কিন্তু কারুবে বুঝে ফেলে যে আসলে লুকাতে হবে নেকড়েকেই, আর তাই সে শিবুকির খোঁজে দৌড়ায়। বেশ কিছুক্ষন আক্রমণ করার পর ও বেশ কয়েকবার ভূমিকা বদল হওয়ার পর আরিসু নেকড়ে হয়, আর সে কারুবে আর শিবুকির কাছ থেকে পালিয়ে লুকিয়ে যায়। ছোটা শিবুকিকে বাধা দেয়, কারণ সে তার বন্ধুদের ক্ষতি চায় না। তারা সবাই তাদের হেডফোনের মাধ্যমে কথা বলে নিজেদের অতীত ভালো সময়ের কথা স্মরণ করে। তাদের বন্ধুত্বের কথা শুনে শিবুকি আবেগাপ্লুত হয়ে আর আরিসু কে খুঁজতে যায় না, আর কারুবে ও ছোটা আরুসুর কাছ থেকে লুকিয়ে যায়, কারণ সব সুখের স্মৃতি মনে পরার পর আরিসুও আর নেকড়ে হয়ে বেঁচে থাকতে চায় না। কারুবে, ছোটা আর শিবুকি- কেউ-ই আরিসুর সামনে যেতে রাজি হয় না। কিন্তু আরিসু শেষ পর্যন্ত কারুবে কে খুঁজে পায়, কিন্তু কারুবে তার দিকে আর তাকায় না, আর তার কাছ থেকে চিরবিদায় নেয়। আরিসুর চোখের সামনে কারুবের কলার বিস্ফোরিত হয়, আর কারুবে-ছোটা-শিবুকি মারা যায়। এপিসোডটি শেষ হয় কারুবের রক্তে রক্তাক্ত অবস্থায় আরিসুর একটি গগনবিদারী চিৎকারের মাধ্যমে।

_{স্ক্রীনশট:- HQflix}

ব্যক্তিগত মতামত

এই এপিসোডটা অনেক অপ্রত্যাশিত ছিলো। আমি আশা করি নি যে আমাদের সব মূল চরিত্র এত তাড়াতাড়ি মারা যাবে। আরিসুর চরিত্রের অভিনয়ের জন্য কেন্তো ইয়ামাজাকির প্রশংসা প্রাপ্য। আরিসু, কারুবে আর ছোটার ফ্ল্যাশব্যাক আর তাদের বন্ধুত্ব আমি উপভোগ করেছিলাম আগের এপিসোডগুলোতে, আর তাদের সবার মৃত্যুর পর আমি আসলেই কেঁদে দিয়েছি। আমি আগের এপিসোডের পরই বুঝেছিলাম যে হার্টস এর একটা গেম আমরা শীঘ্রই দেখতে যাচ্ছি, তবে এত তাড়াতাড়ি যে দেখবো সেটা আমি ভাবতেও পারি নি। আগের এপিসোডগুলোতে গেমগুলো সমাধানের মৃত্যুহীন সমাধান সম্ভব ছিলো, আর এই গেমের মৃত্যুহীন সমাধান কী হতে পারে সেটাও আমি এখনো ভাবার চেষ্টা করছি। যথারীতি আবহ সঙ্গীত আর পরিচালনা ভালো ছিলো, আর এই এপিসোডের ঘটনাক্রম অনেক হৃদয়স্পর্শী। সবমিলিয়ে, এই এপিসোডটি অনেক আবেগপ্রবণ ছিলো, অনেক ভালো ছিলো, কিন্তু অনেক মর্মান্তিকও ছিলো। এখন আরিসু একদম একা, তার আর কেউ নেই। এই অবস্থায় ঘটনা কীভাবে আগায়, আমি সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।

ধন্যবাদ

_{Posted using SteemPro Mobile}