---

কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সকলেই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন।বেশ কিছুদিন ধরে আমি একটা একটা বিষয়ে আলোকপাত করার পর চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম ও কয়েকটা সমাধান নিয়ে ভেবেছি। বিষয়টি হচ্ছে পরিবেশ দূষণ দূর করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষন ও করা সম্ভব হবে অনেকাংশে। নিম্নে বিষয়টি তুলে ধরা হলো :-

_{উপরোক্ত ছবিটি Pixabay থেকে নেওয়া হয়েছে}

---

কিছু সমস্যা আর সেগুলা সমাধানের চিন্তাধারা আমার মাথায় ঘুর্নিপাক খাচ্ছিল। বাসার আশেপাশে বেশ কয়েকটা পরিত্যক্ত নালা ডোবা ও জলাশয় প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা হচ্ছে ময়লা ফেলার কাজে । বিষয়টা দেখে আমার মোটেও ভালো লাগেনি। তাই একটু চিন্তা করে দেখলাম যে, এই সমস্যাটিকে বহুমুখী সমাধানে রূপান্তর করা যায়। প্রথমে সেই পরিত্যক্ত আবর্জনা পূর্ণ জলাশয় গুলো থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে নিতে হবে। এখন সেই অপরিষ্কার পানি যেহেতু পানের বা গৃহস্থ কোন কাজের জন্য উপযুক্ত নয় সেজন্য সে পানিটাকে ক্লোরিনেশন এর মাধ্যমে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর সেই পানিকে তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার থেকে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন কে আলাদা করে ফেলব। আলাদা করার ফলে সেখানে দুইটি গ্যাস উৎপন্ন হবে একটি হাইড্রোজেন গ্যাস এবং অপরটি অক্সিজেন। এখন এই হাইড্রোজেন গ্যাসটিকে সংরক্ষণ করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। আর অক্সিজেন সংরক্ষণ করার মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার বাজারজাত করা সম্ভব। আর সেই পরিত্যক্ত জলাশয় গুলো শুকিয়ে আসলে সেখানে বৃক্ষ রোপন করে সে জায়গাটাকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা যাবে।

---

_{উপরোক্ত ছবিটি Pixabay থেকে নেওয়া হয়েছে}

---

এই পুরো প্রক্রিয়ার ফলে বেশ কয়েকটা সমস্যা দূর হবে তার মধ্যে প্রধানত হল পরিবেশ দূষণ হ্রাস পাবে। আমাদের চুলার গ্যাসের জন্য আমরা যে জ্বালানি ব্যবহার করি সেটি হচ্ছে মিথেন কিন্তু মিথেন পোড়ালে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অপরদিকে, হাইড্রোজেন গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবে সেটা সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব কারণ হাইড্রোজেন পরবর্তীতে বায়ুতে উপস্থিত অক্সিজেনের সাথে পুনরায় বিক্রিয়া করে পানিতে রূপান্তরিত হবে। যা অবশ্যই একটি পরিবেশ ও প্রকৃতিকে বাঁচাতে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হবে। আর যে অক্সিজেন উৎপন্ন হবে সেটাকে সংরক্ষন করে অক্সিজেন সিলিন্ডার এর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। একই সাথে, অক্সিজেন সিলিন্ডারের বাজার মূল্যও হ্রাস পাবে। আর পরিত্যক্ত জায়গা গুলোতে গাছ লাগানোর মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে কারণ এমনিতেই এখন প্রতিটি দেশে বন জঙ্গল কেটে বাড়ি ঘর তৈরি করা হচ্ছে । যার ফলে বনভূমি হ্রাস পাচ্ছে এবং গাছপালা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমানে উত্তর কোরিয়া সহ বিভিন্ন দেশে এই উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে তাই পরিবেশকে বাঁচাতে এই পুরো প্রক্রিয়াটা ক্ষুদ্র হলেও বিশালাকার পরিবর্তন আনতে পারবে বলে আমি মনে করি।

_{যদি আপনারা আমার এই চিন্তাভাবনার মধ্যে কোন ভুল খুঁজে পান তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।}

ধন্যবাদ