---

কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আমরা এতটা পথ একসাথে এগিয়ে আসতে পারে পেরেছি। দেখতে দেখতে এখন কনটেস্ট ৯ চলছে। শীতের ছোঁয়া লাগার সাথে সাথেই এমন একটি বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেস্ট আয়োজন করায় আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। শীতকালীন পিঠার মধ্যে আমার অনেক গুলোই প্রিয় পিঠা আছে। কিন্তু তারমধ্যে ক্ষীরের দুধ পুলি আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। এর কারণ হচ্ছে পিঠাটি মুখে দেওয়ার পর নিমিষেই গলে যায়। পুরো বিষয়টিতে দুধ মুখ্য ভূমিকা রাখে বলে স্বাদ আরো বেড়ে যায়। আর সিরার মধ্যে ডুবিয়ে খেলে তো কথাই সে এক অনন্য চমৎকার মজা।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার তৈরি শীতের পছন্দের পিঠার রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি :-

_{উপরোক্ত ছবিটি ক্যানভা(canva) দিয়ে তৈরি করা হয়েছে}

---

উপকরণ
১. কুড়ানো নারিকেল
২. আখের গুড়
৩. ময়দা
৪. চালের গুঁড়া
৫. গুঁড়া দুধ
৬. দুধ
৭. সুজি
৮. চিনি
৯. তেজপাতা
১০. এলাচ
১১. খেজুর
১২. কাঠবাদাম
১৩. ঘি
১৪. কিসমিস
ধাপ ১
প্রথমে একটি কড়াইয়ে ঘি ব্রাশ করে নিতে হবে এরপর তাতে আগে থেকে কুড়িয়ে রাখা নারিকেল এবং আখের গুর দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।

ধাপ ২
৫ মিনিট অনবরত নাড়ানোর পর যদি নারিকেলটা শুকিয়ে আসে তাহলে তাতে গুঁড়া দুধ এবং এলাচ ও দারুচিনি দিতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ নাড়ার পর নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে।

ধাপ ৩
এখন পাশের চুলায় তরল দুধ গরম করে নিচ্ছি। দুধ গরম হয়ে গেলে তাতে সুজি,ঘি আর এক চিমটি লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেই। মেশানো হলে তাতে ময়দা ও চালের গুঁড়া যুক্ত করি।

ধাপ ৪
ময়দা এবং চালের গুঁড়া দেওয়ার পর ভালো করে নেড়ে চেড়ে মিশাতে হবে।

ধাপ ৫
এবার তাড়াতাড়ি ময়দার মিশ্রন টি থেকে অল্প অল্প করে ছিড়ে নিয়ে গোল আকৃতির করে বাতির আকার দিতে হবে তাতে।

ধাপ ৬
এখন এতে নারিকেলের মিশ্রণটি দিয়ে এর মুখ বন্ধ করতে হবে। তারপর সেটাকে দুইটি ছাপার মাঝে রেখে ছাপ দিতে হবে।

ধাপ ৭
ক্রমান্বয়ে সবগুলো পিঠা ছাপ দিয়ে ডিজাইন করে নিলাম।

ধাপ ৮
এখন আরেকটা হাঁড়িতে দুধ জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করতে হবে। সিরা এটি করার জন্য এতে ১৫০ গ্রাম চিনি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে ঘন করে জ্বাল দিতে হবে। তারপর দুধের মধ্যে এলাচ ও ঘি দিতে হবে।

ধাপ ৯
একে একে করে দুধের মধ্যে পিঠাগুলো ছেড়ে দিতে হবে। কয়েক মিনিট জ্বাল দেওয়ার পর চুলা বন্ধ করে শরীর ঢেকে রেখে দিতে হবে। 20 মিনিট পর আমাদের ক্ষীরের দুধ পুলি তৈরি হয়ে যাবে।

ধাপ ১০
চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে এতে খেজুর ,কিসমিস এবং কাঠবাদাম দিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে।

---

_{ক্ষীরের দুধ পুলি}

ডিভাইস	Realme Narzo 20

---

যদি আপনাদের আমার পিঠাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।

---

💗ধন্যবাদ💗