কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আজকে আমরা ‘ওয়াট ইফ…?’ সিরিজটির সিজন ২ এর এপিসোড ৩ - ‘‘ওয়াট ইফ… হ্যাপি হোগান সেইভড ক্রিসমাস?” নিয়ে কথা বলবো। ‘ওয়াট ইফ…?’ অ্যানিমেটেড সিরিজটিতে ওয়াচার নামক একটি চরিত্র গল্পাকারে বিভিন্ন ইউনিভার্সের কাহিনী শুনিয়ে দর্শকদের মার্ভেলের বিভিন্ন ঘটনা ভিন্নভাবে ঘটলে কী হতো, তা দেখায়। সিরিজটির সিজন ২ মার্ভেল স্টুডিওসের ফেইজ ৫ এর অন্তর্গত।

---

_{স্ক্রীনশট:- HQflix}

---

বিষয়	নাম
সিরিজের নাম	ওয়াট ইফ…?
সিজন	২
এপিসোড	৩
পরিচালক	স্টিফেন ফ্র্যাঙ্ক।
লেখক	এ.সি. ব্র্যাডলি ও ম্যাথিউ কাউন্সি।
শ্রেষ্ঠাংশে	জন ফ্যাভ্রো, ক্যাট ডেনিংস, কোবি স্মাল্ডার্স, স্যাম রকওয়েল, ক্রিস হেমসওয়ার্থ, মার্ক রাফালো, জেরেমি রেনার প্রমূখ।
মুক্তির তারিখ	২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
স্ট্রিমিং সার্ভিস	ডিজনি প্লাস
মূল ভাষা	ইংরেজি
কান্ট্রি অফ অরিজিন	যুক্তরাষ্ট্র

---

*** মূল কাহিনীঃ ক্রিসমাসের আগের রাতে, মূল অ্যাভেঞ্জার্সদের সবাই ব্যস্ত থাকায় হ্যাপি হোগানকে অ্যাভেঞ্জার্স টাওয়ারের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সব নিরাপত্তার ধাপ এড়িয়ে টাওয়ারে জাস্টিন হ্যামার তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে চলে আসে, যাতে সে এই সুযোগে টনি স্টার্কের প্রযুক্তি ও হাল্কের রক্ত নিয়ে নিতে পারে। মারিয়া হিল হ্যামারকে আটকাতে গিয়ে জখম হয়, তখন হাল্কের রক্ত বাঁচানোর সময় হোগান ভুলক্রমে নিজের রক্তে হাল্কের রক্তের নমুনা প্রবেশ করিয়ে ফেলে। এর ফলে সে ধীরে ধীরে বেগুনী রঙের হাল্কের মত একটি জীবে পরিণত হয়, কিন্তু তার বুদ্ধিমত্তা ও চেতনা বজায় থাকে। আর কাউকে না পেয়ে হ্যাপি ডার্সি লুইসকে একটি এ.আই. খুঁজে বের করে তা ব্যবহার করে টাওয়ার সিস্টেমকে রিবুট করতে বলে, কিন্তু ডার্সিকে হ্যামারের সাঙ্গপাঙ্গরা ধরে ফেলে ও মারিয়া হিলের সাথে আটক করে। এমন সময় হ্যাপি সম্পূর্ণ হাল্কের আদলে তাদেরকে আক্রমণ করে। হ্যামার পালিয়ে টনির হাল্কবাস্টার আর্মর পরে নেয়, কিন্তু হ্যাপি তাকে পরাজিত করে। অ্যাভেঞ্জার্সরা এসে হ্যাপির প্রশংসা করে আর থর একটু পর এসে জানতে চায় যে সবাই কিসের কথা বলছে। ***

_{স্ক্রীনশট:- HQflix}

---

ব্যক্তিগত মতামতঃ
এই এপিসোডে আমরা একটি একদমই না জানা ঘটনা দেখেছি, কারণ আমরা আগে জানতামই না যে ক্রিসমাস বা বড়দিন অ্যাভেঞ্জার্সরা কীভাবে উদযাপন করে। এই এপিসোডটি একদমই হালকা ধরণের ও হাস্যরসাত্মক ছিলো, আর এই এপিসোডের সবচেয়ে বড় সার্থকতা হলো যে এটা দিনশেষে এটাই হতে চেয়েছিলো। এই এপিসোডে বিশ্ব-ধ্বংসকারী কোন ভিলেন ছিলো না, আর এটাই এই এপিসোডের মজা। তাছাড়া, এই এপিসোডটিতে “ডাই-হার্ড” মুভিটির অনেক প্রভাব ছিলো, যা পর্বটির সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে। সবমিলিয়ে বেশ সুন্দর একটি এপিসোড ছিল এটা।

---

আশা করি আমার এই রিভিউটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি এই বিষয়ে এখনও অভিজ্ঞ নই, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন ভুল করে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।
--------- | ---------

---

যদি আপনাদের আমার পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।

---

💗ধন্যবাদ💗