🌼আসসালামু আলাইকুম/ আদাব💖

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের থেকে।

আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। আজকে আমি আমার পরীক্ষার গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। শেষ পর্বতে কি ঘটেছিল, সে গুলো আমি আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করছি।

আজকে আমার পরীক্ষা দিন তাই আমি খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার জন্য আমার ঘড়িতে এ্যলার্ম দিয়েছিলাম পাঁচটার।আমার সকালে ঘুম ছাড়ে না, আমি প্রতিনিয়ত সকাল 9 টায় ঘুম থেকে ওঠি, এক্সামের কারণে আমাকে টার্গেট নিতে হয়েছে। আমাকে পাঁচটায় উঠতে হবে এই টার্গেট এই আমি এ্যলার্ম দিয়েছি এবং এ্যলার্মে আমাকে ওঠতে হবে।

Source

আমার ঘড়িতে সকাল পাঁচটায় অ্যালার্ম বাজলো আমি অ্যালার্ম বাজার সাথে সাথেই ঘুম থেকে উঠলাম। ঘুম থেকে উঠে আমি ফ্রেশ হলাম। ফ্রেশ হয়ে আমি মনোযোগ দিয়ে বই নিয়ে পড়তে লাগলাম। আমি খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়তে ছিলাম এবং আমার ভিতর একটা কনফিডেন্স ছিল যে আমাকে ভালো কিছু করতেই হবে। তাই আমি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। সকাল পাঁচটা থেকে আমি আটা পর্যন্ত পড়াশোনা করলাম। তারপরে আমি গোসলে দিলাম গোসল দিয়ে এসে খাবার খেয়ে আমি স্কুল ড্রেস পরিধান করে নয়টার দিকে বাসা থেকে বের হলাম। একটা কথা বলে রাখি আমার পরীক্ষা শুরু হবে সকাল 10 টায়।

Source

আমার বাসা থেকে আমার কলেজে যেতে 30 মিনিট সময় লাগে। আমার পরীক্ষা শুরু হবে দশটায়। তাই আমি 9 টায় বের হলাম, আধাঘন্টা আগে আমি পরীক্ষার হলে পৌঁছাব সেজন্য। আমি বের হলাম। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমি সিএনজি করে কলেজের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। আমাদের সিএনজি ১০ মিনিট যাওয়া পরে পরে পিপুলবাড়িয়া বাজার সামনে অনেক বড় টাফিক জ্যামে আটকে গেল। আমার তখন খুব টেনশন হচ্ছিল। বিশাল বড় যে জ্যাম পরেছে, এটা ছাড়তে ১ ঘন্টা লেগে যাবে।আমার খুবই টেনশন হচ্ছিল এবং আমি তখন কিছু বুঝতে পারছিলাম না। আমি কি করব আমার পরীক্ষা দেওয়ার হলো না, এই টেনশনে আমার কান্না আসতেছিল।তাই তখন আমি সি এন জি থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে বাজারের দিকে রওনা দিলাম। বাজারে আসার পরে আমি একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে খুব টেনশন করতে ছিলাম।

ঠিক তখন আমাদের গ্রামের গরিব এক মুদি দোকানদার তার ভাঙ্গা একটি মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল এবং আমাকে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে দেখে সে আমার কাছে নিজেই আসলো। আমাকে বলল কি হয়েছে। এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন। আমি তাকে সব কিছু খুলে বললাম। সে বলল কোন চিন্তা করো না। আমি তোমাকে আমার মোটরসাইকেল করে অন্য পথ দিয়ে তোমার কলেজে নিয়ে যাব।সে তার নিজের কাজ বাদ দিয়ে আমার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সে আমাকে কলেজে নিওয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত করল আমি তার কথা শুনে খুবই খুশি হলাম। তখন আমার অনেক আনন্দ হচ্ছিল।

Source

তারপরে তার মোটরসাইকেল করে আমি আমার কলেজে আসলাম। কলেজে এসে আমি ঠিক সময় পরীক্ষার হলে পৌঁছালাম। পরীক্ষার হলে আসার পরে আমার প্রশ্নপত্র পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। কারণ আমি রাতে যে গুলো করেছি এবং সকালে যেগুলো পড়েছি সেগুলো কমন পড়েছে। আমি তাই খুবই আনন্দের সাথে পরীক্ষা দিলাম।

আমি পরীক্ষা দিতে পেরে এবং আমার পরীক্ষা ভালো হওয়াতে, আমার খুবই ভালো লাগতেছিল এবং আমি আনন্দের সাথে পরীক্ষার হল থেকে বের হলাম।

Source

আমি পরীক্ষার হল থেকে বের হয়েই সেই গরীব মুদি দোকানদারের কাছে আসলাম। তাকে জড়িয়ে ধরে আমি অনেক ধন্যবাদ জানালাম। তার কারণে আমি আজ পরীক্ষা দিতে পেরেছি। আসলে আমাদের সমাজে এরকম অনেক ছোট এবং গরীব মানুষ আছে যারা আমাদের প্রতিনিয়ত উপকার করে যাচ্ছে। বিনিময়ে তারা কোন কিছু চায় না। তারা নিঃস্বার্থভাবে আমাদের উপকার করে। আর আমরা এই গরিব-দুঃখীদের অবহেলা করি। তাই আজকে থেকে আমি এবং আমার সকল বন্ধুদের বলব আমরা সকল পেশার মানুষদের শ্রদ্ধা করবো। কাউকে ছোট করে দেখব না।

তাই আমরা কাউকে ছোট করে দেখব না সকল পেশার মানুষদের শ্রদ্ধা করবো। তাহলে আমাদের সমাজটা শান্তিময় হবে।

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼।

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻🌻🌹