বন্ধুদের সাথে সাইকেল ভ্রমণের স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-১
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
বন্ধুদের সাথে হাজারো গল্প আমাদের জীবনে রয়েছে। আসলে স্কুল জীবনের স্মৃতিময় দিনের কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। কারণ স্কুল জীবনে আমি শ্রেষ্ঠময় মুহূর্তগুলো আমি উপভোগ করেছি। বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা এবং বন্ধুদের সাথে সাইকেল নিয়ে নদীর পাড়ে এবং ইকো পার্কে ভ্রমণের সেই দিনগুলোর কথা আজকে কি মনে পড়ে। তো বন্ধুরা ইকো পার্কে ভ্রমণের মুহূর্তের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম, আজকে সেই গল্পটি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি, আশা করছি এই স্মৃতিময় গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
তো আমরা বন্ধুরা মিলে যখন সাইকেল চালিয়ে ইকো পার্কে যাচ্ছিলাম, ইকো পার্কে যাওয়ার মাঝে পথেই এক চাচা অসুস্থ হয়ে যায়। সেই চাচাকে আমার সাহায্য করি এবং চাচাকে সাহায্য করার কারণে চাচা সুস্থ হয়ে ওঠে এবং আমাদের বলে তোমরা কোথায় যাচ্ছিলে, বললাম আমরা ইকো পার্কে যাচ্ছি, সে বলল আমি ইকো পার্কে সহকারী অফিসার। যার কারণে বলল যে আজকে তোমাদের ইকো পার্কে আমি ভ্রমণ করাবো। তাই আমাদের অনেক ভালো লাগলো, চাচা সুস্থ হওয়াতে আরো বেশি ভালো লেগেছিলো, তারপরে চাচাকে সাথে নিয়ে আমরা ইকো পার্কে আসলাম।
ইকো পার্কে প্রবেশ করতে দশ টাকা করে টিকেট ছিল, চাচার সাথে আমরা প্রবেশ করলাম।যার কারণে আমাদের কোন টাকায় লাগলো না। তারপরে চাচা বলল তোমরা ইকো পার্কে ভ্রমণ কর এবং ইকোপার্কে কোন সাইটে কি কি আছে কোন সাইটে পশুপাখি এবং মাছ রয়েছে, গাছপালা রয়েছে, সেই দিক গুলো আমাদের বলে দিল। চাচা বলল এখান দিয়ে তোমরা ঘুড়ে বেড়াও এবং আমার নাম্বার রাখো, কোন সমস্যা হলে আমাকে ফোন দিবে। চাচা তখন ইকো পার্কের ভিতরে একটি অফিস রুম আছে,সেই অফিস রুমে বিশ্রাম নিতে লাগল। আমরা বন্ধুরা মিলে আনন্দের সাথে এবং নির্ভয়ে এই ইকো পার্কে ভ্রমন করতে লাগলাম। কারণ ইকো পার্কে ভ্রমন করতে নাকি অনেক ভয়ে ভ্রমন করতে হয়, অনেক মানুষ নাকি খারাপ ব্যবহার করে, কিন্তু চাচা আমাদের যে সাহস দিল যার কারণে আমাদের আর ভয় করল না। আমরা আনন্দের সাথে ইকো পার্কের মাঝে ভ্রমন করতে লাগলাম।
ইকো পার্কে ভিতরে অনেক পশু পাখি ছিল, আসলে ইকো পার্কের ভিতরে অনেক বড় খাঁচা রয়েছে। এই খাঁচার ভিতর সকল পশুপাখি ছিল। বিশেষ করে এত সুন্দর সুন্দর পাখি ছিল, বন্য পাখিগুলো অনেক বড় বড় আর অনেক সুন্দর দেখতে ছিল। এই পাখিগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে এই পাখিগুলো দেখতে ছিলাম, পাখিগুলোকে খাবার খাওয়ানো যেত। সেখানে একটি রুটির দোকান আছে, সেই রুটির দোকান থেকে রুটি কিনে আমরা এই পাখিগুলোকে দিতাম, আর বাকিগুলো উড়ে এসে এই রুটি খেতো, কি যে মজা কত, সত্যি এই পাখিগুলোর সাথে আমরা দারুন মুহূর্ত উপভোগ করেছি।
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1826908572665700436?t=XFpVjPoquF_D3B1YjlXJcQ&s=19
বন্ধুদের সাথে সাইকেল ভ্রমণের খুব সুন্দর একটি স্মৃতিময় মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।এটা জেনে ভালো লাগলো যে যাওয়ার পথে একজন চাচাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখলেন এবং পরে দেখা গেল সে ইকো পার্কের একজন কর্মকর্তা।এবং তার সাথে যাওয়াতে আপনাদের টিকিট কাটার টাকা লাগলো না।যাইহোক অনেক ভাল ছিল। পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।