রেসিপি // জাম্বুরার খোসা ছাড়ার সহজ পদ্ধতি এবং অল্প উপকরণে জাম্বুরা বানানো রেসিপি।
১০% পে-আউট 'লাজুক-খ্যাক' এর জন্য
স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,
"আসসালামু আলাইকুম", আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে জাম্বুরা খোসা ছাড়ার সহজ পদ্ধতি এবং অল্প উপকরণে জাম্বুরা বানানো রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে এটি খুবই ভালো লাগবে।
জাম্বুরাতে রয়েছে ভিটামিন-এ,ভিটামিন-বি১,ভিটামিন-বি২,বায়োফ্লাভোনয়েডস,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,হেলদি ফ্যাট,প্রোটিন এবং এনজাইমস। জাম্বুরাতে থাকা ভিটামিন-সি দাঁতের ব্যাথা দূর করতে এবং দাঁতের মাড়ি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সুতরাং,যাদের দাঁতের সমস্যা বেশি তারা খাদ্য তালিকায় জাম্বুরা অন্তর্ভুক্ত করুন।উৎস
জাম্বুরা অনেক ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ফল। জাম্বুরাতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অনেক উপকারী যেমন এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় দাঁতের ব্যথা এবং দাঁতের মাড়ি শক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া যাদের শরীরে কোলেস্টরেলের পরিমাণ বেশি তারা যদি নিয়মিত জাম্বুরা খেয়ে থাকেন তাদের কোলেস্টরেল কমাতে জাম্বুরা খুবই অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও যাদের শরীরে রগে টান লেগে থাকে মাঝেমধ্যে এই প্রথম সমস্যাটা হয় জাম্বুরা খেলে এই সমস্যাটাও দূর হয়ে যায়। আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যেমন গর্ভবতী মহিলারা প্রসবের আগ পর্যন্ত নিয়মিত জাম্বুরা খেলে গর্বের সন্তানের শারীরিক গঠন বাচ্চার পুষ্টি সবদিকেই ঠিকঠাক থাকে। এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং শরীরে যাতে ক্যান্সার ছড়িয়ে না পড়ে এর জন্য জাম্বুরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও নিয়মিত জাম্বুরা খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং হার্টকে ভালো রাখতেও অনেক সাহায্য করে। জাম্বুরা সম্পর্কে আমার যতটুক ধারনা ছিল আমি আপনাদের সামনে সেই ধারণাটা উপস্থাপন করলাম।
তাহলে বন্ধুরা চলুন কিভাবে আমি এই জাম্বুরা খোসা ছাড়ানোর সহজ পদ্ধতি এবং অল্প উপকরণে জাম্বুরা বানানো রেসিপি তৈরি করেছি তা আপনাদের সামনে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিমাণঃ
- জাম্বুরা: ১ টি
- শুকনা মরিচ(চিলি ফ্লেক্স): ৩ টি
- লবণ: পরিমানমত ও
- বিট লবণ : পরিমাণমতো।
প্রথম ধাপঃ
- এখন আমি দেখাবো কিভাবে খুব সহজ পদ্ধতিতে জাম্বুরাটির চামড়া ছাড়িয়ে নিবেন। তো প্রথমে জাম্বুরাটির উপরে অংশে ছুরি দিয়ে কিছুটা কেটে নিতে হবে। এরপর ছুরি দিয়ে চার-পাঁচটা সাইডে কেটে নিতে হবে। এরপর হাত দিয়ে টেনে চামড়া গুলোকে ছাড়িয়ে নিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- এবার হাত দিয়ে এক এক করে জাম্বুরার কোষ গুলো বের করে চামড়া থেকে ছাড়িয়ে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ
- এরপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে মরিচ গুলো কড়াইতে দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
চতুর্থ ধাপঃ
- এবার আমি কোন বের করে নেওয়া জাম্বুরার কোষগুলোর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম।
পঞ্চম ধাপঃ
- এবার আমি এর মধ্যে পরিমান মত বিট লবণ দিয়ে দিলাম।
চূড়ান্ত ধাপঃ
- এবার আমি আগে থেকে ভেজে নেওয়া স্বপ্না মরিচের চিলিপ্লেক্স তৈরি করে এর মধ্যে দিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম। আর এতে করে তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের জাম্বুরা বানানোর রেসিপিটি।
- তো বন্ধুরা এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের জাম্বুরা বানানো রেসিপিটি। রেসিপিটি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আশা করি আপনাদের আমার আজকে রেসিপিটি দেখে ভালো লাগবে। অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন, রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।
আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে এই পোষ্টে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং এই পোস্টটি কেমন লেগেছে আপনারা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabel
বিভাগ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০এস |
লোকেশন | গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 |
রেসিপি মেড বাই | @alauddinpabel |
তারিখ | ১৭-০৮-২০২২ ইং |
জাম্বুরার খোসা ছাড়ার সহজ পদ্ধতি এবং অল্প উপকরণে জাম্বুরা বানানো রেসিপি। আপনার জাম্বুরা বানানোর রেসিপিটা দেখেই তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে এ বছরে আজও খাওয়া হয়নি। খুব সুন্দরভাবে আপনি খোসা ছাড়িয়ে জাম্বুরা এক জায়গায় রেখে পরে সুন্দরভাবে তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ।দেখে খুব ভালো লাগলো শুভকামনা রইল।
আপনাদের ভালো লাগায় আমার সার্থকতা। অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই রেসিপিটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
জাম্বুরার খোসা ছাড়ানো টা বেশ জামেলার কাজ।ভালো করে ছাড়াতে না পারলে আবার তিতা লাগে।যাই হোক এভাবে বানিয়ে খেতে ভালোই লাগে।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
একদম ঠিক বলেছেন আপু। ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার কাছে সহজে জাম্বুরার খোসা ছাড়ানোর একটি পদ্ধতি শিখে নিয়েছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার পদ্ধতিটি। এখন থেকে আমি ও এভাবে খোসা ছাড়াবো। আমিও মাঝে মাঝে এভাবে করে জাম্বুরা বানিয়ে খাই। শুকনো মরিচ দিলে জাম্বুরার স্বাদ আরো বেড়ে।
যাক আপনি আমার জাম্বুরার খোসা ছাড়ানোর পদ্ধতিটি শিখে নিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। হ্যাঁ জাম্বুরা খাওয়া খুবই ভালো প্রতিনিয়ত জাম্বুরা খাবেন।
আপনি খুব সহজ ভাবে জাম্বুরার খোসা ছড়ানো দেখালেন সাথে জাম্বুরার একটি মজাদার রেসিপি ও তৈরী করে দেখিয়েছেন।বেশ ভাল লেগেছে আপনার পোসট পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খোসা ছাড়ানো আসলেই খুবই ঝামেলার। তবে আমি সেটা দেখিনি আমি দেখেছি আপনার জাম্বুরার পরিবেশন দেখিতো আমার খেতে ইচ্ছে করছে। মুখে পানি চলে আসছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্টটি দেখার জন্য। সে সাথে জাম্বুরার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
ওহ ভাই কি পোষ্ট শেয়ার করেছেন সত্যিই অসাধারণ ৷জামবুরার গাছ আমাদের আছে৷কিন্তু এখনো তেমন ভিতরে হয় নি ৷ কিন্তু আপনার কাছে থেকে জিভে জল এসে গেছে ভাই ৷সত্যি মরিচ আর তেল দিয়ে মেখে খুব ভালো লাগে ৷
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি নতুন ইউনিক পোষ্ট শেয়ার করেছেন
হ্যাঁ ভাই জাম্বুরা যখন পাকবে তখন এভাবে রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খেতে অনেক ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে খুবই উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার জাম্বুরা তৈরি করার রেসিপি দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কিন্তু আমি জাম্বুরা খেতে পছন্দ করি না। তবুও আপনার জাম্বুরা বানানোর রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই লোভনীয় হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপনা করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কি বলেন আপু জাম্বুরা খেতে আপনার ভালো লাগে না জেনে খুব খারাপ লাগলো। আসলে জাম্বুরা অনেক ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ফল, এটা খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী, অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার।
জাম্বুরার খোসা ছাড়ার সহজ পদ্ধতি দেখে ভালই লাগলো। আমার কাছে জাম্বুরা খেতে ভালই লাগে। খুব সুন্দর করে রেসিপি করেছেন ভালো লাগলো।
ভাই আপনার কাছ থেকে জাম্বুরার খোসা ছাড়ানোর সহজ পদ্ধতিটা শিখে নিলাম। এভাবে জাম্বুরা মাখা খেতে খুবই ভালো লাগে। দেখে জিভে জল চলে আসলো। খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার।
জাম্বুরার খোসা ছাড়াই সহজ পদ্ধতি আপনি জাম্বুরা বানানোর রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে জিভের জল চলে এসেছে। দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।