স্পেশাল রেসিপি // মিষ্টি দই তৈরির রেসিপি। (১০% পে-আউট লাজুক খ্যাকের জন্য)
স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,
আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভাল আছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপিটি আমার বাসার সকলেরই পছন্দের, বিশেষ করে আমার বাচ্চাদের রিকোয়েস্টে আমি এই রেসিপিটি করেছি, কারণ এটি তারা খুবই পছন্দ করে। বেশীরভাগ সময়ই আমি দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসি কিন্তু সেদিন চিন্তা করলাম সব সময় তো দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসি, আজকে বাসায় তৈরি করে দেখি। যেই কথা সেই কাজ বাসায় তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সামনে যে রেসিপিটি নিয়ে হাজির হয়েছি সেই রেসিপিটির নাম হচ্ছে "মিষ্টি দই তৈরি রেসিপি।"
তো বন্ধুরা চলুন আর দেরি না করে কিভাবে আমি এই মিষ্টি দই তৈরি রেসিপিটি তৈরি করেছি তা ধাপে ধাপে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আশা করি আমার আজকের দই রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিমাণঃ
- গরুর তরল দুধ: ১ লিটার
- চিনি: আধা কাপ
- পূর্বের তৈরিকৃত দই: পরিমাণমতো।
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে আমি একটি কড়াই বসিয়ে এর মধ্যে পুরো এক লিটার দুধ ঢেলে চুলায় বসিয়ে দিলাম। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ভালোভাবে জ্বাল দিয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- এরপর আমি এর মধ্যে আধা কাপ পরিমাণ চিনি দিয়ে দিলাম। আপনারা যদি বেশি মিষ্টি পছন্দ করেন তাহলে তার চেয়ে বেশি চিনি দিতে পারেন, এটা আপনাদের মিষ্টি খাওয়ার উপরে নির্ভর করবে। এরপর আমি দুধগুলোকে অনবরত নাড়তে থাকবো। আপনাদের একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে দুধ গুলো নাড়া বন্ধ করা যাবে না, খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে দুধের সর বসে না যায়। এরপর দুধের মধ্যে একটু লালচে ভাব হয়ে আসলে আমি চুলা থেকে দুধ গুলো নামিয়ে নিলাম।
তৃতীয় ধাপঃ
- এবার আমি দুধ গুলোকে এক বাটি থেকে আরেক বাটিতে ঢালতে থাকবো এভাবেই করতে থাকব যতক্ষণ না দুধে ফেনা উঠে যায়।
চতুর্থ ধাপঃ
- এবার আমি দোকান থেকে ছোট দুই কাপ দই কিনে এনেছিলাম সেগুলো এর মধ্যে ঢেলে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। দইগুলো আপনাকে মিশাতে হবে কিছুটা ঠান্ডা করে হালকা গরম থাকা অবস্থায়। এরপর আমি একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
চূড়ান্ত ধাপঃ
- এবার আমি একটি ছোট কম্বল নিলাম সাথে একটি প্লাস্টিকের বড় বল নিয়ে বলের ভিতরে কম্বলটি ভিছিয়ে নিলাম। তারপর তৈরি করা দুধের মিশ্রণটির কড়াই এর মধ্যে বসিয়ে দিলাম। এরপর ভালোভাবে কম্বলটি প্যাচিয়ে দিলাম এমনভাবে প্যাচিয়ে দিতে হবে যাতে পুরোটা সময় গরম তাপমাত্রার মধ্যে থাকে। তারপর আমি আমার খাটের নিচে যেখানে একটু গরম ভাব আছে সেখানে রেখে দিলাম।
- রাতে আমি এই মিশ্রণটি তৈরি করে বসেছিলাম তৈরি হওয়ার জন্য, সকালে আমি সেখান থেকে বের করে দেখলাম আমার দইটি বসে গেছে এবং এখন খাওয়ার জন্য উপযোগী।
- তো বন্ধুরা এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের মিষ্টি দই তৈরি রেসিপিটি। রেসিপিটি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আশা করি আপনাদের আমার আজকে দই রেসিপিটি দেখে ভালো লাগবে। অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন, খেতে অনেক ভাল লাগবে।
আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে এই পোষ্টে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং এই পোস্টটি কেমন লেগেছে আপনারা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabel
বিভাগ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০এস |
লোকেশন | গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 |
রেসিপি মেড বাই | @alauddinpabel |
তারিখ | ১৮-০৩-২০২২ ইং |
দই খেতে আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে দই তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আমি এর আগে অনেক দই বাজার থেকে ক্রয় করে ফেলেছি কিন্তু কোনদিন বাড়িতে তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে দেখে পড়ে অসাধারণ ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার মিষ্টি দইয়ের রেসিপিটা দেখে সত্যিই আমার খুব ভালো লাগলো। মিষ্টি দই আমরা সবাই পছন্দ করি বিভিন্ন সময় খাওয়ার ইচ্ছা হলেও বাজারে গিয়ে খেতে পাই না বা বাইরে যাওয়ার সময় থাকেনা। এভাবে বাড়িতে মিষ্টি দই বানিয়ে খাওয়া গেলে আমরা ইচ্ছা করলেই খেতে পারব এবং এটা আমাদের জন্য অনেক সহজলভ্য হবে। ধন্যবাদ মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। তাছাড়া আপনি মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি সবগুলো ধাপ সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই শুধুমাত্র দুধ-চিনি থাকলে আপনি চাইলে দই তৈরি করে খেতে পারেন খুব সহজেই। অসংখ্য ধন্যবাদ খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এই গরমে মিষ্টি দই ওয়াও আপনি মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু অসাধারণ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
দুধ দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আগে কখনো দই তৈরি করা দেখিনি। আজকেই প্রথম দই তৈরি করার পুরোপুরি প্রস্তুত প্রণালী দেখতে পেলাম। শুধু দুধ দিয়ে তৈরি দই এর রেসিপি দেখে খাওয়ার প্রতি একটা লোভ জেগেছে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাই যেহেতু প্রস্তুত প্রণালিটা দেখে নিয়েছেন অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে নিবেন। আশাকরি ভাল লাগবে খেতে, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে স্বাগতম ভাইজান 💚
ওয়াও,এই গরমে চরম ভালো একটি রেসিপি দিয়েছেন।দই খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।আর যদি বাসায় বানানো রেসিপি হলে তো কথাই নাই। আগে আমার আপু বানাতো, এখন আর বানানো হয় না।তবে রেসিপিটা খুব সুস্বাদু হয়েছে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু একেবারে পারফেক্ট দইয়ের মতো হয়েছিল। আপনি বাসায় তৈরি করে খেয়ে নিবেন, আশাকরি ভাল লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার একটি বিষয় আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আর তা হচ্ছে আপনি বাচ্চাদের জন্য নিজেই সব খাবার বাসায় তৈরি করেন। আমি মনে করি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এটা আপনার খুব ভালো একটি সিদ্ধান্ত। যাই হোক দই তৈরির রেসিপিটি আজ শিখতে পারলাম। সময় পেলে কোন একদিন আমিও তৈরি করে দেখব। ভালোবাসা রইলো❤️
জ্বি ভাই আপনি ঠিক ধরেছেন আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি বাইরের খাবার কিনে বাচ্চাদেরকে না খাওয়ানোর, সেজন্য বাসায় তৈরি করি। বাচ্চাদের জন্য পার্ফেক্ট নাস্তা হয়ে যায় আর আমার স্টিমিটে একটা পোস্ট হয়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বুঝে অসাধারণ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ।মিষ্টি দই খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।আপনার রেসিপি তৈরি প্রসেসটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ অসাধারণ মন্তব্য করে এতটা উৎসাহ প্রদানের জন্য।
আপনার মিষ্টি দই তৈরির রেসিপি সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুবই অসাধারণ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ভাইয়া দই আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি। আজ দেখছি আমার বাংলা ব্লগে আমার সব পছন্দের রেসিপিগুলো সবাই শেয়ার করছে। আপনাদের সবার এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি দেখে আমি আর লোভ সামলাতে পারছি না। ভাইয়া এই গরমের মধ্যে দই খেতে দারুণ লাগে। আমি কখনো বাসায় দই বানাইনি।তবে আপনি দই বানানোর পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমি অবশ্যই আপনার এই রেসিপি দেখে বাসায় একবার হলেও তৈরি করে দেখবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
যাক আপনার পছন্দের একটা রেসিপি শেয়ার করতে পেরেছি এজন্য নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। অবশ্যই আমার প্রস্তুত প্রণালিটি দেখে বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে খেতে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ মিষ্টি দই দারুন ব্যাপার তো। সত্যি কথা বলতে কি দই একটু টক হলেই বেশি ভালো লাগে। তবে নতুন জিনিস প্রথম প্রথম বেশ ভালই লাগে। আর খুবই সুন্দর ছিল আপনার উপস্থাপনা। তৈরীর প্রত্যেকটি ধাপ চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
জি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন তো একটু টক হলে ভালোই লাগে। কিন্তু আমার বাচ্চারা আবার খায় না তাই মিষ্টি দিয়ে তৈরি করেছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।