বাঙালি রেসিপি // নারিকেল বাটা দিয়ে সুস্বাদু ডিমের ঝোল রেসিপি।
১০% পে-আউট 'লাজুক-খ্যাক' এর জন্য
স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,
"আসসালামু আলাইকুম", আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে "নারিকেল বাটা দিয়ে সুস্বাদু ডিমের ঝোল রেসিপি" নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে এটি খুবই ভালো লাগবে।
তাহলে বন্ধুরা চলুন কিভাবে আমি এই নারিকেল বাটা দিয়ে সুস্বাদু ডিমের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছি তা আপনাদের সামনে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিমাণঃ
- ডিম: চারটি
- নারিকেল বাটা: এক মালা
- পেঁয়াজ কুচি: এক কাপ
- কাঁচা মরিচ: চার থেকে পাঁচটি
- রসুন বাটা: এক চামচ
- মরিচের গুঁড়া: এক চামচ
- হলুদের গুঁড়া: এক চামচ
- জিরা গুড়া: এক চামচ
- লবণ: পরিমানমত
- ধনিয়া পাতা: পরিমান মত ও
- সয়াবিন তেল: পরিমাণমতো।
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে আমি একটি নারিকেল নিয়ে সেটিকে ভেঙ্গে নারিকেলের মাল থেকে নারিকেল গুলো ছাড়িয়ে নিলাম। এরপর নারিকেল গুলো পাঠায় ভালো করে বেটে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- এরপর আমি চারটি ডিম নিলাম ডিমগুলোকে প্রথমে সিদ্ধ করে চামড়া ছাড়িয়ে নিলাম এরপর সামান্য পরিমাণ লবণ ও হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিলাম। তারপর চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে ডিম গুলোকে হালকা ভেঁজে নিলাম।
তৃতীয় ধাপঃ
- এখন আমি চুলায় সে একই করাইয়ের মধ্যে আবারও পরিমান মত তেল দিয়ে প্রথমে পেঁয়াজকুচি গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর এক এক করে কাঁচা মরিচ কুচি, রসুন বাটা, শুকনা মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, জিরা গুড়া ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দিলাম। এরপর সব গুলোকে হালকা ভাবে নেড়েচেড়ে ভেঁজে নিলাম।
চতুর্থ ধাপঃ
- এবার আমি এর মধ্যে নারিকেল বাটা গুলো দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে নিলাম। তারপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে দিলাম।
পঞ্চম ধাপঃ
- এবার আমি আগে থেকে ভেঁজে নেওয়া ডিম গুলো এক এক করে সব গুলো এর মধ্যে দিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষন সিদ্ধ করে নিলাম। এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব যাতে করে ঝোল গুলো একটু মাখা মাখা ঘন হয়ে আসে।
চূড়ান্ত ধাপঃ
- এবার আমি রেসিপিটির চূড়ান্ত পর্যায় চলে এসেছি, এখন আমি খেতে কেমন স্বাদ হয়েছে বা লবণ হয়েছে কিনা ভাল করে চেক করে নিলাম। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, তারপর আমি ধনিয়াপাতা গুলো এর মধ্যে ছিটিয়ে দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
- আমার রেসিপিটি পরিবেশনের জন্য এখন প্রস্তুত।
- তো বন্ধুরা এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের নারিকেল বাটা দিয়ে সুস্বাদু ডিমের ঝোল রেসিপিটি। রেসিপিটি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আশা করি আপনাদের আমার আজকে রেসিপিটি দেখে ভালো লাগবে। অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন, রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।
আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে এই পোষ্টে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং এই পোস্টটি কেমন লেগেছে আপনারা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabel
| বিভাগ | রেসিপি |
|---|---|
| ডিভাইস | রেডমি নোট ১০এস |
| লোকেশন | গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 |
| রেসিপি মেড বাই | @alauddinpabel |
| তারিখ | ১৬-০৪-২০২২ ইং |















আপনি অনেক মজাদার বাঙালি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। নারিকেল বাটা দিয়ে সুস্বাদু ডিমের ঝোল রেসিপি খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
জি আপু সত্যি বলতে রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অবশ্যই বাসায় একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে খেতে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে অসাধারণ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কি সুন্দর দেখতে লাগছে আপনার ডিমের কালারটা। আমাদেরতো দেখে সত্যি সত্যি জিভে পানি চলে আসলো আমার রোজাটা গেল হালকা হয়ে ।এভাবে নারকেল দিয়ে কখনো তো ডিম রান্না করিনি মনে হচ্ছে নারকেল দিয়ে ডিম রান্না খেতে খুবই মজাদার। আমি আপনার থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম ভাইয়া আমিও একদিন বাসায় ট্রাই করবো।
জি আপু আসলেই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অবশ্যই বাসায় ট্রাই করে দেখবেন আমার বিশ্বাস অনেক ভালো লাগবে খেতে। অসংখ্য ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
নারিকেল বাটা দিয়ে ডিম, ইউনিক তো।কখনো খাওয়া হয় নি।তবে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই হবে।কালারটাও বেশ সুন্দর। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা রইলো।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু অসাধারণ ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার তৈরি রেসিপিটা দেখে খুবই ভাল লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। এত অসাধারন একটি রেসিপি আমাদের শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। নারিকেল বাটা দিয়ে সুস্বাদু ডিমের ঝোল রেসিপি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার জন্য শুভকামনা ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে খুবই চমৎকার মন্তব্য করে এতটা উৎসাহ প্রদানের জন্য।
ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোস্টটি পড়ে এবং ডিমের ছবি দেখে আমার জিব্বায় পানি চলে আসছে। এত সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে ডিম নারিকেল দিয়ে রান্নার সিস্টেম তুলে ধরেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমি বাসায় রান্না করবো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো ভাইয়া
অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে নিবেন, আশাকরি খেতে অনেক ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ অসাধারণ মন্তব্য করে এতটা উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।
আপনার আজকের রেসিপিটি দেখতে কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছে। আর আজকে আপনি যেভাবে তৈরি করেছেন এভাবে কখনোই ডিমের রেসিপি খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে ভালই লাগলো, আর দারুন একটি আইডিয়া পেলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি আইডিয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ খুবই অসাধারণ ও গঠনমূলক মন্তব্য করে এতটা পাশে থাকার জন্য।
ওয়াও খুব চমৎকার একটি রেসিপি তো। এতদিন শুধু নারিকেল দিয়ে পিঠা ও নাড়ু খেয়েই এসেছি কিন্তু তরকারি ও জে বানানো যায় সেটা কখনো ভাবি নি। সত্যিই চমৎকার আইডিয়া ছিলো আপনার, এবং তৈরীর প্রক্রিয়া টি অসাধারন লেগেছে আমার কাছে। আপনার জন্য।
আপনাদের কাছে ভাল লাগাই আমার সার্থকতা। অসংখ্য ধন্যবাদ খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার নারিকেল বাটা দিয়ে সুস্বাদু ডিমের ঝোল রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে ভাইয়া। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে আপনার রেসিপি। ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু খুবই অসাধারণ ও গঠনমূলক মন্তব্য করে এতটা উৎসাহ প্রদানের জন্য।
নারিকেল বাটা দিয়ে সুস্বাদু ডিমের ঝোল রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আমিও শিখে নিলাম বাসায় তৈরী করবো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
জি ভাই অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে নেবেন আশা করি অনেক ভাল লাগবে খেতে, খুবই সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ডিমের কোরমা খাওয়া হয়েছে কিন্তু এভাবে নারিকেল বাটা দিয়ে ডিমের ঝোল এখনো খাওয়া হয়নি। যদিও সিদ্ধ ডিম আমার একদমই পছন্দ না ,কিন্তু রান্নাটা আমার বেশ ভাল লেগেছে ভাইয়া। মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে।
জি আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন অন্তত, আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।