বাঙালি রেসিপি // রুই মাছের মাথা দিয়ে শিমের বিচির মজাদার ও সুস্বাদু (খাইসসারা) রেসিপি।
১০% পে-আউট 'লাজুক-খ্যাক' এর জন্য
স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,
"আসসালামু আলাইকুম", আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
শীতকাল তো চলে গেল কিন্তু তারপরও শীতের আমেজ এখনও রয়ে গেছে, তাই আমি আপনাদের মাঝে শীতকালীন আরেকটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে রুই মাছের মাথা দিয়ে শিমের বিচির মজাদার ও সুস্বাদু (খাইসসারা) রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে এটি খুবই ভালো লাগবে।
যদিও শিম সবজি হিসেবে খুবই সুস্বাদু, কিন্তু তার চেয়ে বেশি মজাদার হলো এই শিমের বিচি। যেহেতু শিম শীতকালীন সবজি তাই শীতের আমেজ থাকতে থাকতেই রুই মাছের মাথা দিয়ে সিমের বিচির খুবই মজাদার ও সুস্বাদু একটা রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এবং রুই মাছের মাথা দিয়ে সিমের বিচি রান্না করলে এর স্বাদটা অনেকগুণ বেড়ে যায়। আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে, তাই আমি আজকে আপনাদের মাঝে এই রেসিপিটি নিয়ে হাজির হয়েছি।
তাহলে বন্ধুরা চলুন কিভাবে আমি এই রুই মাছের মাথা দিয়ে শিমের বিচির (খাইসসারা) রেসিপি তৈরি করেছি তা আপনাদের সামনে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিমাণঃ
- রই মাছের মাথা: ২ টি
- টমেটো 🍅: দুই থেকে তিনটি
- শিমের বিচি : আধা কেজি
- পেঁয়াজ কুচি: আধা কাপ
- কাঁচা মরিচ: চার থেকে পাঁচটি
- মরিচের গুঁড়া: এক চামচ
- হলুদের গুঁড়া: এক চামচ
- রসুন বাটা: এক চামচ
- জিরার গুড়া: এক চামচ
- লবণ: পরিমানমত
- সয়াবিন তেল: পরিমাণমতো ও
- ধনিয়া পাতা: পরিমাণমতো।
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে আমি শিমের বিচি গুলোকে পানির মধ্যে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলাম এরপর বিচিগুলো থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিলাম। যদিও এই কাজটি অনেক সময় সাপেক্ষ তারপরও এটি আমি করেছি, এই ক্ষেত্রে আমার বাচ্চারা ও আমাকে এই খোসা ছাড়াতে সহযোগিতা করেছেন।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- এরপর আমি রুই মাছের দুটি মাথা নিলাম। মাথা গুলোকে ভাল করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধৌত করে নিলাম এরপর এর মধ্যে সামান্য কিছু পরিমাণ মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া ও লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
তৃতীয় ধাপঃ
- এরপর চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে এর মধ্যে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে মাছের মাথা গুলোকে ভেজে নিলাম।
চতুর্থ ধাপঃ
- এবার আমি আবার আরও একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে এর মধ্যে পরিণত সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, মরিচের গুড়া, হলুদের গুড়া, রসুন বাটা, লবণ ও জিরার গুড়া এর মধ্যে দিয়ে হালকা একটু ভেজে নিলাম।
পঞ্চম ধাপঃ
- এবার আমি শিমের বিচিগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিলাম। দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে হালকা ভেজে নিলাম। তারপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপঃ
- বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পর আমি এর মধ্যে মাছের মাথা গুলো দিয়ে দিলাম। মাছের মাথা গুলো দিয়ে আরও বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে নিলাম।
সপ্তম ধাপঃ
- এবার আমি আগে থেকে কেটে রাখা টমেটোর পিসগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিলাম, দিয়ে আরেকটু নেড়ে চেড়ে আরো কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে নিলাম।
চূড়ান্ত ধাপঃ
- এবার আমি রেসিপিটির চূড়ান্ত পর্যায় চলে এসেছি, এখন আমি খেতে কেমন স্বাদ হয়েছে বা লবণ হয়েছে কিনা ভাল করে চেক করে নিলাম। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, তারপর আমি ধনিয়াপাতা গুলো এর মধ্যে ছিটিয়ে দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
- তো বন্ধুরা এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রুই মাছের মাথা দিয়ে শিমের বিচির (খাইসসারা) রেসিপিটি। রেসিপিটি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আশা করি আপনাদের আমার আজকে রেসিপিটি দেখে ভালো লাগবে। অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।
আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে এই পোষ্টে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং এই পোস্টটি কেমন লেগেছে আপনারা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabel
বিভাগ | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০এস |
লোকেশন | গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 |
ফটোগ্রাফার | @alauddinpabel |
তারিখ | ২৫-০২-২০২২ ইং |
রেসিপিটা আমার কাছে একদমই ইউনিক লেগেছে। আসলে আমি রুই মাছ লাভার। যেকোনো কিছুর সাথেই আমি রুই মাছ পছন্দ করি। আমি অবশ্যই নতুন ভাবে এই রেসিপিটি তৈরির চেষ্টা করবো। মন থেকে আপনার জন্য দোয়া রইলো। ❣️💕❤️
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাঙালি রেসিপি,, রুই মাছের মাথা দিয়ে শিমের বিচির মজাদার ও সুস্বাদু (খাইসসারা) এই রেসিপিটি আমার কাছে ইউনিক মনে হয়েছে।শিমের বিচি আমার খুবই প্রিয় যদিও মাছ আমি খাইনা।সিমের বিচি দিয়ে যেকোনো তরকারি আমার কাছে অনেক সুস্বাদু লাগে।এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ♥♥
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু অসাধারণ ও গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদান করার জন্য।
আপনি অসাধারণ এবং ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এর আগে কখনো আমি সিমের বিচি এভাবে খাইনি। তবে আপনার রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে, অবশ্যই বাসায় একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি খুবই ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ অসাধারণ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
😋। 😍
😋। 😍
আহারে, ভাই ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এই বছর খেতে পারেন নেই দুঃখ কইরেন না, আগামীতে অবশ্যই খেতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
শিমের বিচি কিভাবে রান্না করলে তা খেতে অনেক বেশি মজাদার হয়। রুই মাছের মাথা দিয়ে সিমের বিচি রান্না বাঙালি দের কাছে খুবই মজাদার একটি খাবার। আপনি বেশ চমৎকার ভাবে রেসিপিটি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সিমের বিচি আর রুই মাছের মাথা দিয়ে খেসারির অনেক সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করলেন। খেসারি আমার তো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা সিমের বিচি আর রুই মাছের মাথা দিয়ে একেবারে অসাধারণ রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে ভাগ করে। আপনার তৈরি করার রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে খুবই লোভনীয় হয়েছে। ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনাও করলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল 🤗🤗
জ্বী আপু ঠিক বলেছেন রেসিপি দেখতে যেরকম লোভনীয়, খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অবশ্যই বাসা তৈরি করে দেখবেন আশা করি খেতে ভালো লাগবে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রুই মাছের মাথা দিয়ে শিমের বিচির মাধ্যমে সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।আমি আগে কখনো এই ধরনের রেসিপি খাইনি। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই যেহেতু আগে কখনও খান নাই, অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশাকরি খেতে অনেক ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
খুবই সুন্দর ভাবে রুই মাছের মাথা দিয়ে শিমের বিচির রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনি আজকে যে রেসিপিটি তৈরি করেছেন এটি খুবই পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি রেসিপি। কেনো না সিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। রেসিপিটি তৈরীর প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এমন সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অসাধারণ ও গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই কিছু বলার নাই এই রেসিপি দেখে সত্যিই লোভ সামলিয়ে রাখতে পারলাম না, আমার অনেক পছন্দের একটি রেসিপি। খুবই মজাদার খাবার আমাদের মাঝে মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কোন একদিন বাসায় দাওয়াত দিয়েন হা হা। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য
হাহাহাহা দাওয়াত আপনার জন্য চব্বিশ ঘন্টাই খোলা যেকোনো মুহূর্তে এসে খেয়ে যেতে পারেন। অসংখ্য ধন্যবাদ খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদানের জন্য।
খেসারি আমার খুবই পছন্দের। আপনি খুব চমৎকারভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আমার কাছে অসম্ভব ভাল লেগেছে আপনার এই রেসিপিটি। খেসারির ডাল খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। এত অসাধারন একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।