গ্যাস্ট্রিক কি? কেন আক্রান্ত হই এবং গ্যাস্ট্রিক হলে তার থেকে মুক্তির উপায় কি? টিপস - 2

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

হ্যালো, আমার সহযোদ্ধারা,
আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আমার বাংলা ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগতম। আমি আলাউদ্দিন পাবেল। আমার প্রথম পোস্ট আমার পরিচিতি এর মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে অবগত করেছিলাম যে আমি একজন ফার্মাসিস্ট তাই সেই সুবাদে আজকে আমি আমার তৃতীয় পোস্টটি ও "গ্যাস্ট্রিক কি? কেন আমরা গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হই এবং গ্যাস্ট্রিক হলে তার থেকে মুক্তির উপায় কি?" সে সম্বন্ধে আপনাদের সামনে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান এর ভিত্তিতে উপস্থাপন করছি এবং সেইসাথে আমি আশা করছি আমার এই ইনফরমেশন এর মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন এটাই আমার বিশ্বাস।

image.png
source

গ্যাস্ট্রিক বলতে আমরা সাধারণত বুঝি বদহজম যেটি আরো চারটি লক্ষণ এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারি। যেমন প্রথমত পেটের উপরিভাগে বা নাভী থেকে গলা পর্যন্ত যদি ব্যাথা হয় দ্বিতীয়তঃ নাভী থেকে গলা পর্যন্ত যদি জ্বালাপোড়া করে তৃতীয়তঃ অল্প পরিমাণ খাবার খেলে পেট ভরা ভরা লাগে চতুর্থত পরিমিত খাবার যদি শেষ শেষ করতে না পারে। আমরা যখন কোন খাবার গ্রহণ করি সে খাবার পাকস্থলীতে যায় পাকস্থলীর এসিড এবং আরো কিছু তৈরি করে যা খাবার খেয়ে হজম করতে সহায়তা করে। অ্যাসিড এবং খাবার দুটোই পাকস্থলী থেকে নিচের দিকে নামতে থাকে কিন্তু কোন কারণে যদি অ্যাসিড নিচের দিকে নামে না উপরের দিকে উঠে আসে তখন আমরা আমাদের বুকে জ্বালা-পোড়া অনুভব করি। কেন এসিড নিচের দিকে নামে উপরের দিকে চলে আসে কোন কারন ছাড়াই এই জিনিস হতে পারে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বা বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন নির্দিষ্ট কিছু খাবার এর কারণে এবং নিম্নে উল্লেখিত কারণগুলোর কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়।

image.png
source

অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় দীর্ঘ মেয়াদী গ্যাস্টিকের ওষুধ খাচ্ছেন কিন্তু তার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যাচ্ছেনা আরো বলে থাকেন যে আমি এমন কোনো গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ নেই যে আমি খাইনি এবং এমন কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা নেই যা আমি করাই নি কিন্তু তবুও আমারে গ্যাস্টিকের সমস্যা যাচ্ছে নানা। আমি যে সমস্যাগুলো নিয়ে ভুগতেছি সেগুলো হলো আমার পেট ভরা ভরা লাগে, অল্প খেলে পেট ভরে যায়, বুকে ব্যথা করে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা করে, ব্যথা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়, ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনা, কোষ্ঠ কাঠিন্য আছে, পায়খানা ক্লিয়ার হয় না ইত্যাদি। আমাদের দেশে প্রায় 90% লোকেরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন। আমাদের এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার পিছনে পারিপার্শ্বিক কিছু বিষয় জড়িত। তাহলে চলুন আমরা যেসব পারিপাশ্বিক কারণে এ গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হয়ে তা নিয়ে কিছু আলোচনা করি।

  • ১। আমাদের লাইফ স্টাইল: আমাদের লাইফ স্টাইল এর মধ্যে যেটি হচ্ছে আমরা এখন অস্থিরতা এবং উদ্বিগ্ন জীবন যাপন করছি। আমরা পর্যাপ্ত ঘুমাই না আমরা শারীরিক ব্যায়াম করি না যে কারণে আমাদের শরীরের ভিতরে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে সেটি সঠিক ভাবে কাজ করে না আর এই কারণেই এ সমস্যাটি হচ্ছে।

  • ২। আমাদের খাদ্যাভ্যাস: আমরা আমাদের খাদ্য খাদ্যাভ্যাসে একেকবার একেক রকম খাবার গ্রহণ করি এবং আমরা সময়মতো বা নিয়ম করে পরিমাণমতো খাবার গ্রহণ করি না এ কারণে আমাদের এই সমস্যাটি হচ্ছে।

  • ৩। খাদ্যে ভেজাল: আমরা খাদ্যে ভেজালের কারণে এ এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রবি আমাদের খাবারে যে ভেজাল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রকার উপাদান যেমন ফরমালিন দেওয়া হচ্ছে আবার একই তৈলে বারবার ভাজা হচ্ছে, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খোলা বাসী খাবার খাওয়া হচ্ছে, রাস্তায় স্ট্রিটফুড যে গুলো রয়েছে সেগুলো খাওয়ার কারণে হচ্ছে এবং প্রিজারভেটিভ সমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে প্যাকেট জাত এবং ক্যান বা বোতলে যে খাবারগুলো রয়েছে যেমন কোল্ডড্রিংস, সফটড্রিংস, প্যাকেটে চিপস, জুস বিস্কিট, চানাচুর ইত্যাদিতে যে কৃত্রিম রঙ, সুগন্ধি, আর্টিফিশিয়াল সুইটেনা বা স্বাদ তৈরিকারক এবং প্রিজারভেটিভ এই সবকিছু মিলে আমাদের পেটে এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থার তৈরি করছে।

  • ৪। হাইলি প্রসেস এবং ফাস্টফুড খাবার গ্রহণ: আমরা হাইলি প্রসেস এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি এবং এই খাবারগুলো আমাদের শরীরের সাথে মানানসই নয়। আর এই কারনেই আমরা আমাদের পেটে এরকম অস্বস্তিতে ভোগে থাকি।

  • ৫। বিভিন্ন রোগের জন্য বিভিন্ন এবং একসাথে অনেক ঔষধ সেবন: উন্নয়নের এই যুগে আমরা বহুমাত্রিক রোগে আক্রান্ত দেখা যাচ্ছে একই ব্যক্তি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থাইটিস, এজমা ইত্যাদি এরকম প্রায় চার থেকে পাঁচ রকম রোগে আক্রান্ত এবং একই সাথে তিনি ১৫ থেকে ২০ পদের ওষুধ সেবন করে থাকেন। এই যে এতগুলো ওষুধের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া স্বরূপ আমাদের পেটের মধ্যে অস্বাভাবিকতা, অস্বস্তি, গ্যাসে পেট ফুলে থাকা, অল্প খেলেই পেট ভরে যাওয়া, বমি বমি লাগা, মাথায় অস্থিরতা, বুকে পেটে ব্যাথা করা, বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা নড়াচড়া করা ইত্যাদি সমস্যা যেগুলো রোগীরা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগে থাকেন।

তাহলে চলুন আমরা এবার জেনে নেই এই সকল ক্ষেত্রে আমাদেরকে যা করতে হবে তা হল আমাদেরকে একটি সুন্দর জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে যে জীবনে আমরা অনিদ্রা থেকে দূরে থাকবো রাতের খাবারসহ সকল প্রকার খাবার সময় মতে গ্রহণ করব, আগে আগে রাতে শুয়ে পড়বো এবং পর্যাপ্ত ঘুমাবো ৭ থেকে ৮ ঘন্টা। প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘণ্টা ব্যায়াম করব, আমরা পরিমিত সুষম খাবার গ্রহণ করব, হাসি খুশি উৎফুল্ল জীবন যাপন করব, আমরা বাজে তেল অধিক শর্করা জাতীয় খাবার গুলো বর্জন করব, আমরা হাইলি খাবার এবং ফাস্টফুড খাবার গুলো বর্জন করব, প্রাকৃতিক উপায়ে প্রাপ্ত খাবারগুলো গ্রহণ করব এবং যে সকল খাবারে ভেজাল রয়েছে সে ভেজাল মুক্ত খাবার গুলো আমরা গ্রহণ করব, এবং এইক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং সেই কারণে প্রায় ১৫ থেকে ২০ প্রকারের ওষুধ গ্রহণ করছেন তারা অবশ্যই একজন দক্ষ অভিজ্ঞ গ্যাস্ট্রোলিভারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থেকে তার পরামর্শ অনুযায়ী যেগুলো প্রয়োজন সেই ওষুধগুলো রেখে বাকিগুলো খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে এবং আরো যে অন্যান্য ঔষধগুলো আমরা গ্রহণ করব সেইগুলো অতি সাবধানের সহিত আমরা গ্রহণ করব যাতে আমাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা না হয় এভাবেই একটি সুন্দর জীবন ব্যবস্থা গড়ে তোলে আমরা এ গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবো।

এখন আমি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে এ সমস্যাগুলো সমাধানের কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আপনাদেরকে অভিহিত করব হয়তোবা আপনারা এই গুলো জানার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন।

  • ১। একবারে আপনি যদি খাবার পেট ভরে খান তাহলে এ সমস্যাটি হতে পারে তাই অনেক খাবার একসাথে খাবেন না সারাদিনে অল্প অল্প খাবার খাবেন একটু বুঝিয়ে বলি একসাথে বেশি খাবার খেলে পাকস্থলী অনেক বড় হয়ে যায় আপনি বেলুনের কথা চিন্তা করতে পারেন বাতাস দিলে যে রকম বেগুন খুলে চেয়ে বেশি খাবার গ্রহণ করলে পাকস্থলী ও বড় হতে থাকে আশিক তখনই পাকস্থলীর ওই গ্যাস উপরের দিকে উঠে আসতে পারে আর এতে করে আপনার বুক জ্বালাপোড়া শুরু হতে পারে।

  • ২। খাবারের সময় নিয়ে অনিয়ম করবেন না, সময় মত খাবার গ্রহণ করবেন। সময় মত খাবার গ্রহণ না করলে পাকস্থলীতে আরো একটি সমস্যা হতে পারে এ সমস্যাটির নাম হল গ্যাস্ট্রাইটিস। এরোগে আপনার পাকস্থলীতে ক্ষত বা ইনফেকশন হতে পারে এবং সেই জন্যেই আপনার পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা হতে পারে এক্ষেত্রে আপনার তো বোঝা সম্ভব না যে আপনার জ্বালাপোড়া বা ব্যথা কেন হচ্ছে। তাই পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম করে পরিমাণমতো খাবার গ্রহণ করতে হবে।

  • ৩। অনেকের মাঝে একটা ধারণা আছে যাদের এই সমস্যা তাদের জন্য অনেক খাবার নিষেধ শুধুমাত্র সিদ্ধ যাও মসলা ছাড়া খাবার খেতে হবে এই ধারণাটা একদম ঠিক নয়। আমাদের সবারই একই খাবারের সমস্যা হয়না একেকজনের একেক ধরনের খাবারে এ সমস্যাটি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যেসব খাবারে আপনার বুকে জ্বালা পোড়া করে শুধুমাত্র সে সব খাবারই আপনি পরিহার করবেন। সেটা হতে পারে আপনার প্রিয় খাবার সেক্ষেত্রেও আপনাকে এই খাবারটি এড়িয়ে চলতে হবে তাহলেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।

  • ৪। রাতের খাবার টি অবশ্যই আগে আগে সেরে ফেলবেন। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত তিন চার ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করবেন। আপনি যদি রাত এগারোটার সময় ঘুমাতে যান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আটটার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করে ফেলতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আগে আগে রাতের খাবার শেষ করে ফেলেছেন বলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাবেন সেটা কিন্তু করবেন না তার কারণ ভরাপেটে আপনি যখন চিৎ হয়ে শোবেন তখন আপনার পাকস্থলী গ্যাস আপনার উপরের দিকে উঠে আসবে আর সেই কারণেই আপনার বুক জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি হতে পারে।

  • ৫। ঘুমানোর সময় আপনি যখন বিছানায় শুতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার মাথা এবং বুক অন্তত ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উপরে রাখবেন যাতে করে পাকস্থলী গ্যাস আপনার উপর দিকে উঠে আসতে না পারে। বালিশ দিয়ে উচু করবেন না কারণ এতে করে আপনার শুধু মাথাই উঁচু হবে এক্ষেত্রে আপনি বিছানা বা তোষকের নিচে এমন কিছু দিয়ে নিবেন যাতে করে মাথা এবং বুক ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার উপরে থাকে। এই বিষয়টি যাদের রাতে শোবার পর এসিডিটির সমস্যা হয় তাদের জন্যও খুবই কার্যকর।

  • ৬। আপনি যদি শারিরিক ভাবে অধিক স্বাস্থবান হয়ে থাকেন আপনার ওজন যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত ওজনের কারণে আপনি আরো অন্যান্য অনেক কঠিন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন সে দিক থেকে যেরকম বেঁচে যাবেন ঠিক এসিডিটি থেকেও আপনি রক্ষা পাবেন। তাই আমি বলব আপনি আপনার ওজন কমানোর চেষ্টা করুন তাহলে আপনি সব দিক থেকেই সুস্থ থাকবেন।

  • ৭। আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন তাহলে খুব শীঘ্রই আপনি ধূমপান বর্জন করুন কারন এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা ধূমপান করে এবং পরবর্তীতে ছেড়ে দেয় তারা এ সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়ে যায় তাছাড়াও ধূমপান করলে আমরা আরো অনেক কঠিন কঠিন রোগে আক্রান্ত হতে পারি তাহলে চিন্তা করুন যদি ধূমপান ছেড়ে দেই আমরা যেরকম এসিডিটি থেকে মুক্তি পাব তেমনি আরো অনেক কঠিন কঠিন রোগ মুক্তি পাব। তাই আমরা যারা ধূমপায়ী তাদের এই অভ্যাসটি পরিত্যাগ করা শ্রেয়।
    সবার রোগ এমন অবস্থায় থাকে না যে শুধু জীবনাচরণের পরিবর্তনই সেরে যাবে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকের মাত্রাতিরিক্ত অস্বস্তির কারণে ওষুধ সেবন করতে হতে পারে। তবে ওষুধের পাশাপাশি উপরের ধাপগুলো মেনে চলতে হবে।

তাহলে চলুন দেখে নেই কোন কোন সমস্যা হলে আমাদেরকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

যদি বারবার এ সমস্যা দেখা দেয়, প্রতিদিনের কাজে ব্যাঘাত ঘটায়, তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রতিদিনই এই সমস্যা দেখা দেয়, বয়স যদি 55 বা তার বেশি হয়ে থাকে তখন অবশ্যই আপনি আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন এবং সেইসাথে আরো কিছু লক্ষণের কথা অবশ্যই আপনাকে আপনার মাথায় রাখতে হবে এবং সেই লক্ষণগুলো আপনি যদি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।এবং আপনি অবশ্যই মনে রাখবেন এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে শুধু আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যার না আপনার অন্য কোনো কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কিনা সেগুলো আপনাকে নির্ণয় করতে হবে। এবং সেই লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে চিকিৎসক সেটা যাচাই-বাছাই করবে।

আমরা এখন লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিব যাতে আপনি এই লক্ষণগুলো দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

ওজন অনেক কমে যাচ্ছে খাবার, গিলতে সমস্যা হচ্ছে বা গলায় আটকে যাচ্ছে বারবার বমি হচ্ছে,বমি বা পায়খানার সাথে রক্ত যাচ্ছে, পায়খানা কালো হচ্ছে, বমির মধ্যে কফির দানার মত কিছু দেখা যাচ্ছে মনে রাখবেন কফির দানা গুলো হচ্ছে জমে থাকা রক্ত, মনে হচ্ছে পেটে চাকার মতো কিছু একটা হয়েছে এবং সর্বশেষ আয়রনের অভাব জনিত রক্তসল্পতায় ভুগছেন।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে কোনো গুরুতর সমস্যা আপনি পড়েছেন আবার কোন সমস্যা নাও হতে পারে তবে আপনি খুব তাড়াতাড়ি আপনার ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
আর যদি আপনার পেটে হঠাৎ করে অসহনীয় ব্যথা শুরু হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে হাসপাতালে যেতে হবে।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।

Sort:  

অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অজানা অনেক কিছুই ছিল এখানে ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago (edited)

স্বাগতম আপনাকে

Hi, @alauddinpabel,

Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.


Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62984.33
ETH 2453.70
USDT 1.00
SBD 2.67