আইনী জটিলতা থেকে মুক্তির উপায়

in আমার বাংলা ব্লগlast month (edited)

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আস্সালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, সম্মানিত এ্যাডমিন ও মডারেটরবৃন্দ, কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজকের পোস্টে আমি আইনী জটিলতা থেকে মুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আপনারা সবাই এটি উপভোগ করবেন এবং কিছু নতুন তথ্য জানতে পারবেন। ভুলত্রুটি হলে দয়া করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ!

Photo Of Case.jpg

Image Source

আইনী জটিলতা থেকে মুক্তির জন্য আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের পোষ্টের মাধ্যমে অনেক গুরুপ্তপূর্ণ বিষয় শেয়ার করব। গত ২ বছর আগে আমি আমার নামীয় একটি জমির মিটিশন করার জন্য জেলা ভুমি অফিসে যায় এবং ওখান থেকে আমাকে বলা হয় আপনার জমি অন্য একজন তার নামে ২.২৫ শতক জমি রেকর্ড করে নিয়েছে। আপনার নামে ৩.২৫ শতক এর পরিবর্তে ১ শতক জমি আছে, চাইলে এটা আপনি আপনার নামে নিতে পারেন। আমি এ কথা শুনে অনেক কষ্ট পেলাম নিজের টাকায় কেনা জমি অন্যের নামে কিভাবে চলেগেল। এরপর ভুমি অফিসে পরামর্শ নিলে ওরা ল্যান্ড সার্ভে আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করিতে বলল।

আমি যাবতীয় কাগজ নিয়ে একজন উকিলকে দেখালাম উনি বলল আপনার জমি যেহেতু আগে কেনা তাই আপনি মামলা করিলে আপনার জমি ফেরত পাবেন। যেই কথা সেই কাজ, যে আমার জমি নিজের নামে রেকর্ড করে নিয়েছে তার নামে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করে দিলাম। শুরু হল খরচের পালা, কোর্টে টাকা ছাড়া কেউ এক কদম চলতে চাই না। কেচের দিন পড়লেই উকিল মুহুরি এবং পেশকারকে টাকা দিতে হয়। উকিল আমার অনেক কাছের লোক ছিল বিধায় তার সকল পরামর্শ আমি মেনে কাজ করিতাম। কেচের দিন পড়িলে আমি সবাইকে টাকা দিতাম এবং যেটা চাইত সেটাই দিতাম কোন রকম ঝামেলা করিতাম না।

Lawyer.jpg

Image Source

ঠিকমত টাকা দেওয়ার ফলে আমার কেচের দিন ও ছোট ছোট পড়িত। সর্বোচ্চ ১ মাস পরপর দিন এবং সর্বনিম্ন ১৫ দিন পরপর দিন দিত। এর ফলে আমার কেসটি মাত্র ৮ মাসের মধ্যে রায় হয়ে যাই। আর যদি আপনি টাকা ঠিকমত না দেন তাহলে কেচের দিন সর্বোচ্চ ১ বছর এবং সর্বনিম্ন ৬ মাস পরপর পড়িবে। এতে করে আপনার কেসটি শেষ হতে মিনিমান ৫ থেকে ৬ বছর সময় লাগবে। বিধায় আপনি যদি কখনও কোর্টের ঝামেলাই পড়েন তাহলে অবশ্যয় আপনাকে উকিল, মুহুরি এবং পেশকারকে খুশি করেই কাজ করিতে হইবে, বিশেষকরে পেশকারকে অবশ্যয় টাকা দিতে হয় কারন তিনিই কেচের পরবর্তী দিন দেন। বিধায় তাকে অবশ্যয় খুশি রাখিতে হইবে। তা না হলে আপনার কেসটি বছরের পর বছর ঘুরতে থাকবে কোন ফলাফল পাবেন না।

এখানে আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আপনার বিবাদী আপনাকে কেচে হারানোর জন্য অনেক সময় আপনার উকিলকে টাকার অফার করবে, যদি আপনার উকিল সৎ না হয় তাহলে আপনার অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই উকিল নির্বাচন করা জন্য ও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও পেশকার যেহেতু কেচের দিন ফেলেয়া এ জন্য আপনার বিবাদী পেশকারকে ও টাকার অফার করবে দিন বড় করে ফেলার জন্য। এ বিষয়টি ও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। পারলে সরাসরি পেশকারের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করিতে হইবে।

এভাবে সঠিক নিয়ম মেনে আপনি যদি আপনার কেচটি চালাতে পারেন তাহলে আশাকরা যাই খুবই দ্রুত আপনার কেচটি নিস্পত্তি হয়ে যাবে।

আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সামনে আরো নতুন ও আকর্ষণীয় পোস্ট নিয়ে হাজির হবো। ততদিন পর্যন্ত সাথেই থাকুন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56516.28
ETH 2315.44
USDT 1.00
SBD 2.34