বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল খেলা
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আমার এলাকায় অনুষ্ঠিত বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল খেলা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিবো।
৩১জুলাই, শনিবার, বিকাল: ৫:০০ টা
বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। হাতে বল , পায়ে বল, মাথায় বল এরই নাম ফুটবল। এই ফুটবল খেলা আমার খুবই প্রিয় খেলা। এই ফুটবল খেলার জন্য ছোটবেলায় আম্মুর হাতে অনেক মার খেয়েছি, অনেকদিন প্রাইভেট ফাঁকি দিয়ে এবং স্কুল ফাঁকি দিয়ে ফুটবল খেলতে মাঠে নেমে গিয়েছি। ফুটবল খেলা আমার খুবই পছন্দের এবং প্রিয় খেলা।
আজকে অনুষ্ঠিত বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল খেলাটি আমাদের এলাকার মধ্যে থেকেই হয়েছে। আমার এলাকায় অনেকদিন ধরে কানাকানি কানাঘুষা হতে ছিল বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল খেলার নিয়ে। অবশেষে শনিবার সময় নির্ধারণ করা হয় বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল খেলার জন্য। আমি একথা শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম। বিবাহের ৩ বছরের মধ্যে সামনে আমার তৃতীয়বারের মতো বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল খেলতে পারব।
এলাকার অবিবাহিত খেলোয়াররা নানা রকম ভাবে আমাদেরকে (বিবাহিতদের) কটু কথা, আমরা যা গোল দিব তার চেয়ে তারা তিনগুণ বেশি গোল দিবে এসব আজেবাজে কথা আমাদের সামনে বলে বেড়াতে লাগলো। এসব কথা শুনে আমাদের (বিবাহিতদের) মধ্যে তীব্র জ্বালা এবং উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরী হলো যে, যেকোনো মূল্যে অবিবাহিতদের কে আমাদের হারাতেই হবে। তাই আমরা বিবাহিত ছেলেরা খেলার একদিন আগে সবাই এক জায়গায় হলাম, এবং কে কিভাবে খেলবে তারই একটা লিস্ট তৈরি করে ফেললাম। কে হাফটাইমের আগে খেলবে কে হাফটাইমের পরে খেলবে তারই একটা লিস্ট করে ফেললাম। কে গোলকিপার খেলবে, ,কে মিডফিল্ড খেলবে, কে কর্নার খেলবে, কে ডিফেন্স খেলবে তারই একটা সুন্দর করে লিস্ট করলাম। এসব করার প্রধান কারণ আমাদের যে কোনো মূল্যে জিততেই হবে।
অনেক জল্পনা-কল্পনা দিন শেষে আজকে শনিবার বিকাল পাঁচটার পর আমাদের খেলা শুরু হয়। খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুর্ভাগ্যবশত অবিবাহিতরা (১-০)গোলে এগিয়ে যায়। আমরা বিবাহিতরা ( ০-১) আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পরি। একটি গোল খাওয়ার পর মনটা খারাপ হয়ে যায় আমার কিন্তু সত্যিই ভাবার বিষয় আমাদের মধ্যে উত্তেজনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
হাফটাইমের আগে অবিবাহিতরা(১-০) গোলে এগিয়ে থাকে। হাফটাইমের পরে ৬০ মিনিটে আমরা বিবাহিতরা প্লান্টিতে একটি গোল পায়।
৬০ মিনিটে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফলাফল (১-১)
একটি গোল পাওয়ার পর আমাদের সবার মধ্যে একটু প্রশান্তি কাজ করে, সবাই আমরা একসাথে হয়ে আরেকটি গোল দেওয়ার চেষ্টা চালাবো সেই চিন্তা করি। বিবাহিত বনাম অবিবাহিত খেলাটি খুব সুন্দর তোড়জোড় চলছিল। আর সত্যি কথা বলতে কি বিবাহিত বনাম অবিবাহিত খেলা মানেই খুব তোড়জোড়। তোড়জোড় খেলার মধ্যেই আর পাঁচ মিনিট পর ৬৫ মিনিটে আর একটা গোল করার সৌভাগ্য হয় আমাদের।
বিবাহিত বনাম অবিবাহিত খেলার ফলাফল (২-১)
আমাদের সবার মাঝে এক বিশাল আনন্দের জোয়ার বইছে। আবার আমরা সবাই এক জায়গায় এসে সবাই সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলাম, তারপর আমাদের সবার সিদ্ধান্ত হল, আমরা আর আক্রমণ করার চেষ্টা করবো না, বল সব সময় যেন মাঠের বাইরে থাকে এবং লং শট খেলতে শুরু করলাম, বল যেন মিডফিল্ডার নিচে না থাকে বাদবাকি যেখানে খুশি সেদিকে যাক তাতে আমাদের কোন সমস্যা নেই।
খেলার সময় শেষ,
খেলার ফলাফল, বিবাহিত বনাম অবিবাহিত (২-১)
অবশেষে আমাদের জয় হল (বিবাহিতদের), অবিবাহিতরা হার মেনে মাঠ ছেড়ে পালাতে লাগল।
আমরা বিবাহিত বনাম অবিবাহিত খেলাতে অনেক মজা করেছি এবং আনন্দিত হয়েছি।
সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ,
খোদা হাফেজ
Device | realme 8 |
---|---|
Camera | 64 mp |
Photo by | my elder brother |
Location | satbaria, Bheramara, kushtia |
লেখাগুলো বেশ উপভোগ করলাম, আর ফটোগ্রাফিগুলোতে দুর্দান্ত ছিলো ভাই। স্কুল জীবনে আমরা খেলতাম আবাহনী ও মোহামেডান নিয়ে, তখন এই দুই দলের বেশ নাম ডাক ছিলো এবং বাংলাদেশে তখনও ফুটবল জনপ্রিয় খেলা ছিলো। আমরা চাঁদা উঠিয়ে ব্যানার এবং কাপ কিনতাম, বেশ উপভোগ্য ছিলো সেই দিনগুলো। ভালো লেগেছে আপনার ব্লগটি। ধন্যবাদ
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।