"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -০৪ ( আপনার শেষ উৎসবের স্মৃতি) ||
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রথমেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিচালনায় সহায়তাকারী সকল সদস্যবৃন্দকে। সেই সাথে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই@rme ভাইকে, যার উদ্যোগের মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।
"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -০৪ ( আপনার শেষ উৎসবের স্মৃতি) ||
আমার বছরে দুটি উৎসব।
১। ঈদ উল ফিতর
২। ঈদ উল- আযহা
আমার সর্বশেষ উৎসব ঈদ উল- আযহার কিছু স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে ধনী-গরীব সকলের মুখে হাসি। এই দিনে ধনী-গরীব, ঝগড়া- বিবাদ সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমরা ঈদ আনন্দে মেতে উঠি।
আমার গত তিন বছর ঈদ উৎসব আগের মত আনন্দের সহিত আমি কাটাতে পারি না। গত তিন বছর আমাকে বাধ্য হয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি ঈদ করতে হয়।
কেনো শ্বশুরবাড়ি ঈদ করতে হয় তা বলছি আপনাদের:
আমার শ্বশুর গত তিন বছর আগে ক্যান্সার এ মারা যায়। আমার শ্বশুরের এক মেয়ে ও এক ছেলে। আমার শ্বশুর যখন মারা যায় তখন ছোট ভাই মানে শালাবাবু সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে, বর্তমানের দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। আমার শ্বশুরের কুষ্টিয়া শহরের এন এস রোড এ গার্মেন্টসের দোকান আছে। গার্মেন্টসের দোকানটি ছোট ভাই মানে শালাবাবু একাই দোকানটি সামলাই। কিন্তু বছরের দুইটি উৎসবের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে আমাকে বাধ্য হয়ে শ্বশুর বাড়ি যেতে হয় কারণ ছোট ভাই ঈদের সময় একা দোকানদারি করতে পারে না।
আমার শেষ উৎসব ঈদ উল আযহার দিন ভোর চারটা পর্যন্ত দোকানদারি করেছিলাম। তারপর দোকানদারী শেষ করে আমি ছোট ভাই মানে শালাবাবু একসাথে বাড়িতে যাই । বাড়িতে পৌঁছানোর পর আমিও ছোট ভাই দুইজন ভালোভাবে গোসল করি। গোসল করে ঘরে এসে দেখি আমার বউ আমাদের জন্য গরুর মাংস ও সাদা ভাত রেডি করে আমাদের খাইতে দিল। খাওয়া শেষ করতে না করতেই ফজরের আজান দিয়ে দিল। খাওয়া শেষ করে অজু করে মসজিদে যেয়ে আমিও ছোট ভাই ফজরের নামাজ আদায় করলাম।
ফজরের নামাজ শেষ করে আমিও ছোট ভাই এন এস রোড কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। হাঁটাহাঁটি করার কারণ প্রচন্ড ঘুম আসতেছিল, আর ঈদের জামাত ছিল সাতটায় তাই আর ঘুমাতে পারিনি। হাটি করে সকাল ছয়টার সময় বাড়ি পৌছালাম। নামাজের এখনো এক ঘন্টা বাকি, এদিকে চোখে প্রচন্ড ঘুম যদি ঘুম চলে আসে তাহলে আর নামাজ পড়তে পারবো না। তাই ইউটিউবে একটি ৩০ মিনিটের সিআইডি দেখলাম। সিআইডি দেখা শেষ করে অজু করে মসজিদে ঈদের জামাতে গেলাম। ঈদের জামাত শেষ করে বাড়ির সামনে থেকে আমার ছোট ভাই আমাকে সাথে করেএকটি সেলফি নিল,
বাড়ি পৌঁছানোর পর সকাল আটটার সময় ঘুমাই গেলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি দুপুর তিনটা বেজে পার হয়ে গিয়েছে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হলাম। তারপর খেতে বসলাম, খেতে বসে দেখি গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট আমার শাশুড়ি রান্না করেছে
সত্যিই শ্বশুরবাড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা।
খাওয়া শেষ করে আমার বউকে বললাম তুমি যদি বাহিরে যেতে চাও তাহলে পাঁচটার মধ্যে রেডি হয়ে থেকো আমি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি, তাই বলে আমি শশুর বাড়ির বাইরে চলে এসে এলাকার ছেলেদের সাথে অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম ,আড্ডা দেওয়ার পর আবার বাড়ি ফিরে গেলাম।
বিকাল ৫ টার পর বউকে নিয়ে হরিপুর ব্রিজ, গড়াই নদীর তীর ও পদ্মার ট্যাগ এ বেড়াতে গেলাম। বউকে নিয়ে বেড়ানোর সময় কিছু ছবি তুলেছিলাম তা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
বেড়ানো শেষ করে বাড়ি পৌঁছানোর আগে আমরা দুজন ফুচকা ও চটপটি খাইলাম। খাওয়া শেষ করে বাড়ি পৌছালাম।
ঈদের পরের দিন শ্বশুরবাড়ি থেকে আমার বাড়ি ফিরে আসলাম ,তার পরদিন থেকেই শাটডাউন।
আমার ঈদ উল আযহার উৎসবের বেড়ানো ছিল এতোটুকুই তা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Device | realme 8 |
---|---|
Camera | 64 mp |
Photo by | Al-Amin |
Cc:@rex-sumon @rme @photoman @moh.arif @hafizullah @amarbanglablog