সফলতার পেছনে আত্মবিশ্বাস এর গুরুত্ব অপরিসীম | |10% Beneficiary To @shy-fox | |10% Beneficiary To @abb-charity
হ্যালো বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যবৃন্দকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ, সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। আজ আমি আপনাদের সাথে লক্ষ্য, আত্মবিশ্বাস ও সফলতা নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক:
আমরা কে কোথায় থেকে আমাদের আবির্ভাব? আমরা মানুষ, আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা সবাই মানুষ ধর্ম। পৃথিবীর বুকে আমাদের আবির্ভাব মায়ের পেট থেকে। পিতা-মাতা লালন পালন করে আদর যত্নসহকারে বড় করে তুলেছে। এখন কথা হল কি করনীয় আমাদের পৃথিবীতে? পৃথিবীর বুকে আলো বাতাস অক্সিজেন খাদ্য খাবার খেয়ে অনেকটাই ঋণী হয়ে পড়েছি পৃথিবীর কাছে। কিন্তু আমাদের এই পৃথিবীর চিন্তা ধারা মাথায় নেই, আমাদের পৃথিবীর কাছে যে ঋণ আছে তা তো আমরা কখনো কোনদিন স্বীকার করি না। আমার ভাবনা একটাই কেন বা এলাম আমি এই পৃথিবীতে, আবার কেনই বা চলে যেতে হবে এই পৃথিবী ছেড়ে। মানুষ মরণশীল, আমরা চিরস্থায়ী নয়। তো এই ছোট্ট জীবন পরিসরে আমাদের বেঁচে থাকা প্রতিটা মুহূর্ত গুলো সংগ্রামের সহিত বেঁচে থাকতে হবে।
জীবনের প্রতিটা পথ চলা সব সময় কঠিন। আবার খুবই সহজ। সহজ হচ্ছে এ কারণে আমাদের বিবেক বুদ্ধি আছে, পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকার জন্য সকল জিনিসপত্রগুলো আমার জন্য, একথা মনে প্রানে স্বীকার করতে হবে। কিন্তু সকল জিনিসপত্রগুলো আমাকে গ্রহণ করতে হলে সাত সমুদ্র তেরো নদী পথ পাড়ি দিতে হবে। এই সাত সমুদ্র তেরো নদী পথ পাড়ি দিব কিভাবে সেই লক্ষ্য স্থির করতে হবে। লক্ষ্য স্থির করার সময় নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে না পারলে গন্তব্য স্থানে পৌঁছানো খুবই কঠিন হয়ে পড়বে।
এখন সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো আমি কি হব এমন কি হতে চাই? বা কেনই বা হতে চাই? জীবন চলার পথে কেনই বা হতে চাই এই প্রশ্নের উত্তর সবারই জানা। কিন্তু আমি কি হতে চাই এই প্রশ্নের উত্তর সবার অজানা। মা বলে ডাক্তার হও, বাবা বলে ইঞ্জিনিয়ার হও, দাদা বলে পুলিশ হও, দাদি বলে শিক্ষক হও, কিন্তু আমি কি হব তার শুধুমাত্র বিচার-বিবেচনা চিন্তা ধারা সবকিছু আমার উপর নির্ভর করবে। আমি কি হতে চাই তার ওপর নির্ভর করে লক্ষ্য স্থির করতে হবে।
পড়াশোনা ক্যারিয়ার সবখানে আমার সবচেয়ে বড় শক্তি নিজের উপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস। অনেক সময় সেটি থাকে না নানা কারণে। নিজের আত্মবিশ্বাস আরো জাগ্রত করে বেশি ভালো থাকার চেষ্টা। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য প্রকৃতির প্রেমে হারিয়ে যেতে পারেন।
হতাশ যখন আপনার মনে হবে তখন আপনার খুবই কাছের লোকজনের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত বলে মনে করি। দেখবেন অনেকটাই ভালো লাগলো। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, চাকরির সাক্ষাৎকার দিতে গেলে অনেক সময় আত্মবিশ্বাস কমে যায়। এটি কম থাকার কারণে আমার বুক কাঁপতে শুরু করে। আমি মনে করি আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি এর কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। আত্মবিশ্বাস থাকলে অবশ্যই সাক্ষাৎকার ভালো করার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে। নিজের উপর অবিচল আস্থা রাখতে হবে। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার পদ্ধতি হলো নিজেকে মূল্যায়ন করা। আমাদের ভালো দিকগুলো খুঁজে বের করা। আমরা যে কাজটা ভাল করি সেটা মনে করে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা। নিজের ভালো কাজগুলোর কথা ভাবা এবং খারাপ কাজ গুলোর কথা নোট করে রাখা পরবর্তীতে যেন এ কাজগুলো আমাদের দ্বারা কখনো না হয়।
অন্যের খারাপ কাজ গুলো খুজে বের না করে তার ভাল দিক গুলো আমাদের খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যের সমালোচনা করা থেকে আমাদের দূরে থাকা। যে কাজটা আমরা ভালো পারি সেই কাজটা করার জন্য বারবার চেষ্টা করা। বারবার চেষ্টা করার কারণে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যাবে। আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য সফল মানুষদের গল্প বেশি বেশি পড়তে হবে। তাদের সফলতার পিছনে গল্পটি থেকে আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা উভয়ই আমাদের অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। সব সময় নিজের ওপর বিশ্বাস অটুট রাখতে হবে।
মানুষ মাত্রই ভুলের উর্ধে নয়। সেই ভুলগুলো খুঁজে বের করে শুধরানোর চেষ্টা করার নামই মানুষ। নিজের ভুলগুলো শিকার করা। নিজের ভুলগুলো স্বীকার করা মানে নিজের ছোট হওয়া নয় অন্যদের কাছে নিজের সম্মানটা বেড়ে যাওয়া। এমনই আমরা ওসব ভুল থেকে জেনে গেলাম আমাদের কী কী ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে। ওইসব ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে নিজেকে গড়তে খুঁজে পাবো সঠিক পথ। এর ফলে আমাদের আত্মবিশ্বাস তিনগুণ বেড়ে যাবে।
আমাদের উচিত খারাপ স্মৃতি গুলো ধুয়ে মুছে ফেলা। নিজের আত্মবিশ্বাস কে কমিয়ে দেওয়ার জন্য খারাপ স্মৃতি গুলোই যথেষ্ট। আমাদের খারাপ স্মৃতি গুলো অতীতের যায় তাই এগুলো ভেবে ভবিষ্যতকে নষ্ট করতে আমরা এক মুহুর্ত চায়না। আমরা পেছনের ভুলগুলো থেকে শুধু নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে যাব। নিজেকে নিখুঁত ও পরিপূর্ণ বানানোর চেষ্টা করার দরকার নেই। নিজের যতটুকু সম্ভব আছে তা নিয়েই খুশি থাকতে হবে। এভাবে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যাবে তখনই আমরা সফলতার হাতছানি খুজে পাব। যতটুকুই সফলতা পাব ততটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকব কেননা আমরা কেউই পৃথিবীতে হাতে করে কিছু নিয়ে আসি নাই, সবকিছু শুধু নিতেই শিখেছি আমরা।
এই আত্মবিশ্বাস ও সফলতার ব্লগ টি সম্পূর্ণ আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রতিটা সফলতার পিছনেএ গল্প গুলোতে আত্ববিশ্বাস মাস্ট বি প্রয়োজন এবং থাকেও বটে।আত্ববিশ্বাস ছাড়া মানুষ সফলতার শিকরে পোছাতে পারে না।দারুন একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।শুভ কামনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
আপনি একটি শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।আত্মবিশ্বাস সফলতার অন্যতম কারণ।নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস হারিয়ে গেলে কখনোই সফলতা অর্জন করা যাবে না।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস না থাকলে মানুষ কোন কাজ করতে পারে না। আর কোন কাজ করতে গেলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকে যে কাজটি কত ই কঠিন হোক নিমিষেই হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য
আপনার আজকের আলোচনার বিষয় টা আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাই, অনেক কিছু জানতেও পারলাম। আসলেই আমাদের আত্মবিশ্বাস কে কমিয়ে দেওয়ার জন্য খারাপ স্মৃতি গুলোই যথেষ্ট । সেহেতু আমাদের উচিৎ খারাপ স্মৃতিগুলোকেই ধুয়ে মুছে ফেলতে হবে। আপনার কথাগুলো আজকে খুবই ভাল লেগেছে ভাই। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনার লেখার বিষয়বস্তু বাস্তবিক ভাবে খুবি জরুরী সফলাতার জন্য। আসলে নিজের প্রতি বিশ্বাস না থাকলে কিছু করাই সম্ভব নয়। তবে একটা বিষয় আত্মবিশ্বাস ভালো কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাস ভাল না। তাতে আবার ক্ষতি হয়ে যায়। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।