উচ্ছে দিয়ে শুটকি মাছের চচ্চড়ি || 10% Beneficiary To @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে দারুন স্বাদের উচ্ছে দিয়ে শুটকি চচ্চড়ি রেসিপি শেয়ার করব। অনেকে আছেন যারা উচ্ছে খেতে একদম পছন্দ করেনা। তাদের জন্য এই রেসিপিটি রান্না করা যেতে পারে। এভাবে তরকারিটি রান্না করা হলে যারা উচ্ছে খায় না তাদেরও খেতে খুবই ভালো লাগবে। আমার ছোট ভাই একদমই উচ্ছে খেতে পছন্দ করে না। তাই ভাবলাম ওকে যে করে হোক উচ্ছে খাওয়াতেই হবে। তাই আজকে ওর পছন্দের শুটকি মাছ দিয়ে উচ্ছে দিয়ে চচ্চরি করেছি এবং সে খেয়ে এই রেসিপিটার প্রশংসা করেছে। তাই ভাবলাম এই রেসিপিটা আপনাদের সাথেও শেয়ার করা যাক।
উপকরণ:
১. শুটকি মাছ -পরিমাণমতো
২. উচ্ছে -৫ টি
৩. কলার ভাদাইল -পরিমান মত
৪. আলু -১ টি
৫. রসুন বাটা - ১ টেবিল চামচ
৬. পেঁয়াজ বাটা - ২ টেবিল চামচ
৭. পেঁয়াজ কুচি - ২ টি
৮. জিরে বাটা -২ টেবিল চামচ
৯. কাঁচামরিচ কুচি - ৬ টি
১০. হলুদের গুঁড়া -১ টেবিল চামচ
১১. লাল মরিচের গুঁড়া -১ টেবিল চামচ
১২. লবণ -স্বাদমতো
প্রথমে পরিমানমতো শুটকি মাছ নিয়েছি।
তারপর শুটকি মাছ গুলোকে গরম পানিতে ফুটিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
তারপর মাছগুলোকে শিলপাটায় আদাবাটা করে নিয়েছি।
এরপর চিকন চিকন ফালি করে উচ্ছে কেটে নিয়েছি।
এরপর আলু কেটে নিয়েছি।
এরপর কলার ভাদাইল পাতলা করে কেটে নিয়েছি।
তারপর সবগুলো সবজি পানিতে ধুয়ে নিয়েছি।
এরপর পেঁয়াজ ,রসুন ও জিরে বেঁটে নিয়েছি।
তারপর পেয়াজ ও মরিচ কুচি করে কেটে নিয়েছি।
তারপর চুলাতে কড়াই বসিয়ে তেল গরম করতে দিয়েছি।
কড়াইয়ে তেল গরম হয়ে গেলে গরম তেলে মরিচগুলো ছেড়ে দিয়েছি।
তারপর পেয়াজ কুচি গুলো গরম তেলে ছেড়ে দিয়েছি।
এরপর পেঁয়াজ মরিচ হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
তারপর ভাজা পেঁয়াজ মরিচের মধ্যে রসুন পেঁয়াজ ও জিরে বাটার পেস্ট ঢেলে দিয়েছি এবং এর মধ্যে স্বাদমতো লবণ, লাল মরিচের গুঁড়ো ও হলুদ দিয়ে নেড়ে নিয়েছি।
এরপর মশলা গুলো কষানোর জন্য এর মধ্যে সামান্য পানি অ্যাড করেছি।
এরপর কষানো মসলার মধ্যে আগে থেকে রেডি করা সবজিগুলো ঢেলে দিয়েছি।
এরপর সবজিগুলো কষানো হয়ে গেলে এরমধ্যে শুটকি মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর সবগুলো সবজি ভালো করে নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নিয়েছি এবং ভাল করে মশলার সাথে কষিয়ে ঝোল শুকিয়ে নিয়েছি।
তারপর আমি তরকারিতে যতটুকু ঝোল রাখব সেই পরিমাণ পানি সহ সবজিগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য যতটুকু পানি লাগবে তা একবারে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি ৭ মিনিটের জন্য। এই সময়ে চুলার আঁচ লো মিডিয়ামের রেখেছি।
সাত মিনিট পর ঢাকনা খুলে নিয়েছি এবং তরকারিটা ভালো করে নেড়ে নিয়েছি। এভাবে তৈরি করে নিয়েছি শুটকি মাছ দিয়ে উচ্ছে চচ্চড়ি।
তারপর চুলা থেকে নামিয়ে বাটিতে পরিবেশন করেছি। এই তরকারিটি গরম গরম সাদা ভাতের সাথে খেতে খুবই মজা লাগে।
Device | realme 8 |
---|---|
Camera | 64 mp |
Photo by | Al-Amin |
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, বর্তমানে আমি সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা করছি,আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
শুটকি মাছ আমার পছন্দ না। তবুও আপনার রেসিপিটা লোভনীয় লাগছে খুব ভাই। খুব সুন্দর সাজিয়ে লিখেছেন
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, রেসিপিটা আমার খুবই প্রিয়, খেতে ভারি মজা।
শুঁটকি মাছের চরচরি আমার অনেক পছন্দের খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার ভিশন পছন্দ হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
শুটকি মাছ তেমন পছন্দের মাছ নয় আমার। তবুও আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। শুভেচ্ছা রইলো ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাই অনেক সুস্বাদু খাবার টি, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আপনি শুঁটকি মাছের খুব সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন সুন্দর করে ফটো তুলেছেন ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন খাবারটা খুব লোভনীয় হয়েছে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাই।ধাপে ধাপে ছবি যুক্ত করার কারনে বুঝতে খুব সুবিধা হয়েছে।
এটা কি করোলা নাকি ভাই?
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
না ভাই, এটা উচ্ছে, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
সুন্দর বানিয়েছেন রেসিপিটা । দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, উচ্ছে ভালো করে রান্না করলে খেতে ভারি মজা।