একটি গাছ একটি প্রাণ | |10% Beneficiary To @shy-fox | |10% Beneficiary To @abb-charity
আসসালামু-আলাইকুম।
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমি@alamin-islam ইসলাম আছি আপনাদের সাথে।
আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও অনেক ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তুলে ধরব। যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। গাছপালা কথা না বলতে পারলেও কিন্তু তাদের প্রাণ আছে। গাছ আমাদের কাছ থেকে আঘাত পায়, এমনকি আঘাতে সাড়া দেয়। গাছপালা ও দুঃখ বেদনা আনন্দ উপভোগ করে। এই মানুষ যেমন বিষ প্রয়োগে মারা যায় গাছ ও তেমনি বিষ প্রয়োগে মারা যায়। এই বৃক্ষ তরুলতা মানুষ ও অন্যান্য জীব জন্তুর প্রাণ রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য মানুষের প্রয়োজন বিশুদ্ধ অক্সিজেন, এ বিশুদ্ধ অক্সিজেন আমরা পেয়ে থাকি গাছপালা তরুলতা থেকে। এই পৃথিবীর বুকে নিঃস্বার্থভাবে আমাদেরকে অক্সিজেনের যোগান দিয়ে আসছে গাছপালা বৃক্ষলতা। এই বৃক্ষলতা আমাদের থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে আমরা সেই অক্সিজেন গ্রহণ করে পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকি।
গাছপালা বৃক্ষলতা অক্সিজেন ত্যাগ করে কিন্তু যদি কারণ অক্সাইড গ্রহণ না করতো তাহলে আমরা পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকতে পারতাম না।
এই গাছপালা অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের ভারসাম্য রক্ষা করে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও দূষিত কার্বন মনোক্সাইড এর জন্য একমাত্র মানুষ জাতি আমরা দায়ী। যা আমাদের জীবনকে বেঁচে থাকার জন্য বাধাগ্রস্ত করে থাকে।
যত দিন যাচ্ছে তত আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। গাছপালা বৃষ্টির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। গাছপালা তরুলতা কারণে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এখন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গিয়েছে, খুবই কম পরিমাণে বৃষ্টি হয়ে থাকে। এতে করে কৃষকদের ফসল উৎপাদনের বিঘ্ন ঘটছে। মাটির উর্বরতা দিন দিন নষ্ট এর দিকে ধাবিত হচ্ছে।
গাছপালা বৃক্ষ তরুলতা নির্মল বিশুদ্ধ বাতাস দূষণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এটা আমাদের জন্য, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গাছপালা মাটির ক্ষয় রোধ করতে সহায়তা করে। গাছপালা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। গাছপালা না থাকলে পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। এই সবদিক ভেবে আমাদের গাছ লাগানো উচিত। গাছ আমাদের পরম উপকারী বন্ধু।
মানুষের এবং অন্যান্য জীব জন্তুর জীবনধারণের জন্য গাছপালা বৃক্ষ তরুলতার গুরুত্ব অপরিসীম। গুরুত্ব এতটাই বেশি যে আমাদের বেঁচে থাকার সাথে সম্পর্কিত। গাছপালা বৃক্ষ তরুলতা এগুলোর মাধ্যমে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত হয়। আমরা এই খাদ্য জীবনধারণের জন্য গ্রহণ করে থাকি।
গাছপালা বৃক্ষ তরুলতা বাদে পৃথিবীর কোনো মানুষের বা জীবজন্তুর দ্বারা সম্ভব নয় খাদ্য প্রস্তুত করা।
নগর বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য মানুষ নিজের সাথে নিজের বেইমানি করে নিষ্ঠুর হবে গাছপালা কেটে বাড়ি তৈরি করছে, গাছপালা কেটে জ্বালানি ও অন্যান্য সৌখিন আসবাবপত্র তৈরি করছে। কিন্তু এর ফলে আমরা নিজেরাই প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছি। এতে করে মানুষ জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
আমরা সবাই স্বার্থপর, সবাই নিজের স্বার্থকে বেঁচে নিয়েছি, গাছপালা বৃক্ষ তরুলতা আমাদের পেটের ক্ষুধা নিবারণ করছে, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন দান করছে, আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য কার্বণ-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করছে, গাছপালা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করছে, গাছপালা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি করছে।
এত সব কিছু করার পরেও, আমরা আমাদের শৌখিনতার জন্য গাছ কেটে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, চেয়ার, টেবিল, সুখেস, খাট আলমারি পালঙ্ক
ইত্যাদি তৈরি করে বিলাস ভাবে জীবন যাপন করছি।
কিন্তু এত সব কিছু করার পরেও আমাদের মাথায় চিন্তা-ভাবনা আসে , আমি না লাগালেও গাছ লাগানোর মানুষ পৃথিবীতে অনেক আছে, এই মনোভাব নিয়ে, নিজের স্বার্থটা হাসিল করে পৃথিবীর বুকে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছি।
আমরা কখনও এভাবে ভেবে দেখি নাই, আমাদের পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন সবাই আছে, আমরা সবাইকে নিয়ে হাসি আনন্দ দুঃখ বেদনা ভাগাভাগি করে নিই। কিন্তু অপরদিকে গাছপালা বৃক্ষলতা তাদেরও প্রাণ আছে, তাদেরও আমাদের মত আঘাত অনুভব করে। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি গাছ একটি প্রাণ। গাছ লাগাও প্রাণ বাঁচাও, একটি গাছ একটি অমূল্য রত্ন।
সুতরাং আমরা যে যেখানে থাকি না কেন আমাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য , প্রয়োজনে গাছ কেটে থাকি। এখন থেকেই সবাই সঙ্গবদ্ধ হয় একটি গাছ কাটলে দুটি গাছ লাগাবো। এভাবে পরিবেশ রক্ষা পাবে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।
আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আপনাদের কাছ থেকে।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যবৃন্দকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ, সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
গাছ এর মতো নিশ্বারত বন্ধু দুনিয়াতে আমাদের আর কেউ ই নেই কিন্তু আমরা ভুলে যায় যে তাদেরো একটা প্রান আছে অন্য জিবের মতো।তাদের জন্যই আমরা পৃথিবীতে থাকতে পারছি চলতে পারছি কিন্তু কোনো ক্রেডিট ই দেইনা।খুব সুন্দর একটি বিশয় উপস্থাপন করেছেন ভাই শুভ কামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
গাছ আমাদের অনেক প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে৷ আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি আর আমাদের জন্য যা ক্ষতিকর মানে - কার্বন-ডাই-অক্সাইড। তা গাছ গ্রহণ করে। এভাবে তারা আমাদের পরিবেশ রক্ষা করে। আমরা বিভিন্ন ফলমূল গাছ থেকে পাই। সব মিলিয়ে গাছ অনেক উপকারী। ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
কথাগুলো একদম ঠিক বলেছেন ভাই। গাছ ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত ও বাচতে পারবোনা। আমাদের পরম বন্ধু। এজন্য উচিত বেশি করে গাছ লাগানো।
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতির জোনয় আমরাই দায়ি। যে গাছের জন্য এই পৃথিবী এত সুন্দর , যে গাছের জন্য আমরা প্রানী জগত টিকে আছি, অথচ আমরাই সেসব গাছ কেটে সৌখিন চেয়ার টেবিল বানাচ্ছি। অথচ আমার উচিৎ ছিলো একটা গাছ কেটে ফেললে আরও ৩ টা গাছ লাগানো। সময়পযোগী পোষ্ট করেছেন ভাই। খুবই উপকারি, অন্তত এভাবে হইলেও আমরা সবাইকে সচেতন করতে পারি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
গাছের ও প্রান আছে সুতরাং গাছের প্রয়োজন সঠিক মাত্রায় বিশুদ্ধ কার্বনডাই অক্সসাইড। যেমন আমাদের প্রয়োজন বিশুদ্ধ অক্সিজেন। আমার প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে অত্যাধিক কার্বনডাই অক্সসাইড তৈরী করে পৃথিবীকে বিষাক্ত করে ফেলছি যে কারনে প্রকৃতি আমাদের উপর বিরুপ আচরন করছে। যাই হোক আপনার আলোচনা বিষয়বস্তু টি বাস্তব সম্মত এবং প্রয়োজনীয় । আমাদের উচিত গাছ লাগানো এবং পরিবেশ কে দূষন মুক্ত রাখা। ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে