"মানবিক প্রেমের গল্প "প্রথম পর্ব | |15% Beneficiary To @shy-fox | |5% Beneficiary To @abb-charity
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মত আজকেও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি, আজকে আমি আপনাদের সাথে খুবই সুন্দর একটি মানবিক প্রেমের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি, আপনাদের মাঝে মানবিক প্রেমের গল্পের প্রথম পর্ব শেয়ার করলাম, আশা করি আপনাদের খুবই ভালো লাগবে, যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে উৎসাহ অনুপ্রেরণা দিতে ভুলবেন না, আপনাদের উৎসাহ অনুপ্রেরণা পেলে দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করার সাহস খুজে পাব।
নীলা বড়লোক বাবা মায়ের একমাত্র এবং চঞ্চল স্বভাবের মেয়ে। কিন্তু বাকি পাঁচটা মেয়ের মতো সে সাধারণ জীবন-যাপন করে। প্রতিদিন কলেজে যাই বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেয় আর বাসায় চলে আসে। তার মধ্যে কোন অহংকার নেই। কিন্তু তারমধ্যে আলাদা একটা ব্যাপার আছে।সে যখনই সুযোগ পাই কাউকে না কাউকে কোন রকম ভাবে সাহায্য করে এই জিনিসটাই তাকে সবার থেকে আলাদা করে। এই জন্য তাকে সবাই পছন্দ করে আবার কিছুসংখ্যক মানুষ তাকে নিয়ে সমালোচনাও করে। নীলা এসবে খুব একটা পাত্তা দেয় না। একদিনের ঘটনা নীলা কলেজ থেকে বাসায় ফিরছিল। রাস্তার পাশে দেখতে পেল একটি ছোট মেয়ে হাতে বেশ কয়েকটি গোলাপ ফুল নিয়ে বিক্রির জন্য একবার এদিকে একবার ওদিকে ছোটাছুটি করছে। নীলা তাকে অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ্য করছিল তার বেশ মায়া হলো তাই সে মেয়েটিকে কাছে ডেকে নিল। মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করল তোমার নাম কি? মেয়েটি বলল তার নাম ফুলি। তারপর জিজ্ঞেস করলো তোমার বাড়িতে কে কে আছে? মেয়েটি বলল তার মা ছাড়া দুনিয়াতে তার কেউ নেই। আবার মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলো তোমার ফুলের দাম কত? মেয়েটি বলল একটা ফুল ২০ টাকা আপনি নিবেন আফা? নীলা মজা করে বলল ওরে বাবা একটা ফুল ২০০০ টাকা এত দাম। ছোট্ট মেয়েটি হেসে বলল- না আপা ২০০০ না একটা ফুল ২০ টাকা। নীলা তখন বলল আমাকে তুমি একটা ফুল দাও আর তোমাকে ২০০০ টাকা দেবো। তাই বলে নিলা ব্যাগ থেকে দুই হাজার টাকা বের করে মেয়েটির হাতে দিলো। ছোট্ট মেয়েটি তখন বুঝতে পারল নীলা তাকে ২০০০ টাকা দিয়ে সাহায্য করবে। তখন মেয়েটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল। নীলা তার মায়াবী হাসির দিকে চেয়ে থাকল। মেয়েটি টাকা পেয়ে অনেক খুশি হলো আর বলল আমার মা অনেক খুশি হবে আজকে। তারপর তারা দু'জনেই দু'জনকে বিদায় জানিয়ে নীলা বাড়ির পথে রওনা দিলো। নীলা এভাবেই মাঝেমাঝে কাউকে না কাউকে সাহায্য করে আনন্দ পায়।
এভাবে প্রায় তিন মাস কেটে গেল। তিন মাস পর নীলা ও ফুলির আবার দেখা হলো। কিন্তু এবার পরিস্থিতি টা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ছিল। নীলা তার বান্ধবী শিউলির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলো। জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে প্রায় ১১:৩০ বেজে গেছিলো। নীলা শিউলির বাসা থেকে প্রায় ১২:০০ টা নাগাদ নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তার গাড়ি করে। রাস্তায় এক জনমানবহীন এলাকায় নীলার গাড়িটি খারাপ হয়ে যায়। নীলা নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিল তাই নীলার সাথে কোন ড্রাইভার ছিল না এবং সে জায়গায় নেটওয়ার্ক ছিল না। এত রাত্রে গাড়ি খারাপ হওয়াতে নীলা খুব চিন্তায় পড়ে যায়। নীলা সাহায্যের জন্য সবাইকে ফোন দিতে থাকে কিন্তু নেটওয়ার্কের কারণে কোথাও ফোন যাচ্ছিল না। নীলা একা একটা মেয়ে জনমানবহীন নির্জন এলাকায় সে কি করবে, কি ভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বের হবে তা নিয়ে সে চিন্তায় পড়ে যায়। হঠাৎ সে একটি আশার আলো দেখতে পাই। সে দেখে দূরে একটি গাড়ি তার দিকেই আসছে। নীলা সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু গাড়িটি নীলাকে দেখে সাহায্য না করে নীলাকে এড়িয়ে চলে যায়। নীলার আশার আলো নিভে যায়। নীলা আশঙ্কা ভয়-ভীতি নিয়ে ওই নির্জন এলাকায় সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু তার চিৎকারে সাড়া কেউ দেয় না। এভাবে প্রায় দেড় ঘন্টা কেটে যায় কিন্তু নীলাকে সাহায্য করার মত কেউ আসে না।
হঠাৎ নীলা দূর থেকে আরো একটি গাড়ি দেখতে পাই। নীলা সাহায্যের জন্য আবার হাত বাড়িয়ে দেয়।কিন্তু এবার নীলাকে দেখে গাড়িটি থেমে যায়। সেই গাড়িতে ছিল কিছু নেশাখোর টাইপের লোক। যাদের কে দেখে নীলা সন্দেহ করে, এক অজানা বিপদের আশঙ্কা করে নীলা তাদের থেকে সত্যিটা লুকিয়ে যায়, অর্থাৎ নীলা যে এখানে বিপদে পড়েছে, পথ হারিয়ে ফেলেছে তা তাদেরকে বুঝতে দেয় না। নীলা তাদেরকে পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয় এবং বলে এখানে আশেপাশে আমাদের আরো অনেক লোকজন রয়েছে, এখানে আমরা একজন আসামীকে খুঁজছি তাই আপনারা অন্য পথ ধরে চলে যান নইলে ঝামেলায় পড়বেন। নীলার কথা শুনে তারা পুলিশের ভয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে চলে যায়। এভাবে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে নীলা এক অজানা বিপদ থেকে বেঁচে যায়। এরপর নীলা তার গাড়ির কাছে যেয়ে অসহায়ের মতো বসে থাকে।
.…... চলবে.
প্রয়োজনে পাশে আছি, আমার সাথে যোগাযোগ করুন:
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
ভাইয়া আপনার আজকের গল্পের থিমটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। নীলা নামক চরিত্রটির খুবই দয়াবান এবং মানবতাবাদী। কিন্তু সে বিপদে কাউকে পাশে পেলো না ঠিকই তবে নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সেই বিপদ কাটিয়ে ফেলল।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইল আপনার আগামী পথ চলার জন্য।
অনেক অনেক খুশি হয়েছি ভাই, আপনি খুবই ধৈর্য সহকারে পুরো গল্পটি আয়ত্ত করেছেন, আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার গল্প লেখার হাত অনেক পাকা মনে হচ্ছে। নীলা নামক মেয়ের মতো মেয়ে পেলে জীবণ সঙ্গী করে ফেলতাম। আপনার গল্প পড়ে নীলার জন্য খারাপ লাগছে। গল্পের দ্বিতীয় পার্ট চাই খুব দ্রুত। আপনার জন্য শুভকামনা ভাই।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
এরকম অনেক মানুষ আছে যারা নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যেকোনো ধরনের বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারে। আপনার এই গল্পের পোষ্টটি পড়ে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আপনার পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছি, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে