"পরিবার সহ ঘুরে বেরানোর একটি স্মরণীয় দিন || 10% Beneficiary To @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সকলের সাথে আমার পরিবার সহ বেড়াতে যেয়ে তোলা কিছু ছবি শেয়ার করব।আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমরা সকালবেলা পরিবারের সবাই মিলে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। ঝিনাইদহ তে আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলাম। অনেকদিন ধরে যাব যাব করছিলাম কিন্তু যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। সবাই মিলে সময় করে চলে গেলাম।
বাড়ি থেকে বের হয়ে কুষ্টিয়া এন এস রোড গেলাম। সেখান থেকে রিকশা করে মুজিব চত্বর হয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডে গেলাম। যাওয়ার পথে রিকশা থেকে এই ছবিটি তুলে নিয়েছিলাম। রিক্সা দিয়ে যেতে যেতে মনের মধ্যে এক উত্তেজনা কাজ করছিল। মনে পড়ে যাচ্ছিল কিছু পুরনো স্মৃতি। ঝিনাইদহে তে ছোটবেলাতে অনেক বার যাওয়া হতো। কিন্তু বড় হয়ে যাওয়াটা আস্তে আস্তে অনেকটাই কমে গেল। প্রায় তিন বছর পর কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম এটা ভেবে মনের মধ্যে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি হল।
এমন নানান স্মৃতি ভাবতে ভাবতে সিএনজি স্ট্যান্ড এ পৌঁছে গেলাম। এখান থেকে একটি সিএনজি ভাড়া করে ঝিনাইদহ উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। দিনটি বেশ সুন্দর ছিল। দিনের বেলাতে না বেশি রোদ্দুর না বেশি ছায়া, দিনটি বেশ মনোরম ছিল। সিএনজিতে বসে বসে রাস্তাঘাটের কিছু ছবি তুলে নিলাম।
সিএনজি যখন জোরে চলছিল তখন রাস্তার দুই ধারে গাছ গুলো যেন সিএনজির আগে দৌড়ে পালাচ্ছিল ,দেখে তাই মনে হচ্ছিল। রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়ার সংখ্যা বেশ অনেকটাই কম ছিল লকডাউন এর জন্য। দিনটার আবহাওয়া এবং সিএনজিতে চড়ার অভিজ্ঞতা দুটোই বেশ আনন্দদায়ক লাগছিল।
সিএনজিতে চড়ে প্রকৃতির রূপসজ্জা উপভোগ করা টা বেশ মনমুগ্ধকর। এভাবে প্রকৃতির রূপ দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম ঝিনাইদহ। ঝিনাইদহ জায়গাটি বেশ সুন্দর। এরপর ঝিনাইদহ সিএনজি স্ট্যান্ড এ নেমে গেলাম। সেখান থেকে একটি অটো ভাড়া করে সোজা পৌঁছে গেলাম আত্মীয়ের বাড়ির সামনে।
তারপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম আমরা। খাওয়া-দাওয়া শেষে একটু রেস্ট নিয়ে বিকালবেলা ঘুরতে বের হলাম। ঝিনাইদহে গ্রামের সাইটগুলোতে আমরা ঘুরতে বের হলাম। সবাই মিলে গল্প করতে করতে পৌঁছে গেলাম বিলের ধারে । দেখতে পেলাম বিলের কিছু অংশে গম চাষ করা হয়েছে। এবং বাকি অংশগুলো তে আরো অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ করা হয়েছে।
বিলের একটি অংশে সবেমাত্র নতুন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। বিলের চারপাশ ঘিরে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা রয়েছে। যেমন: নারিকেল গাছ ,তাল গাছ ,খেজুর গাছ ,সুপারি গাছ ,কাঁঠাল গাছ ,মেহগনি গাছ , আরো নানান ধরনের গাছের সমারোহে বিলটি ঘিরে রয়েছে।
বৃষ্টি হওয়ার কারণে মাঠে-ঘাটের কিছু কিছু অংশে পানি জমেছে। ঝিনাইদহে আসার আমার আরেকটি কারণ ছিল , গ্রামীনপ্রতিচ্ছবিকে উপলব্ধি করার। যখন গ্রামের প্রকৃতি দেখছিলাম তখন আমার মনে একটি গান হচ্ছিল...
গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ
আমার মন ভুলায় রে.....
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে লুটিয়ে যায়
ধূলাই রে আমার মন ভুলায় রে.....
তারপর আমরা আবার শহরের দিকে ফিরতে লাগলাম। রাস্তাতে একটি খেলার মাঠ পড়লো। দেখলাম সেখানে ছোট ছেলেরা ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। আমরা দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ ওদের ঘুড়ি ওড়ানো দেখলাম। তারপর আমার এক বড় ভাই বলল পাশেই একটি ইটের বড় পুরনো বাড়ি রয়েছে, চলো যেয়ে দেখে আসি। তখন আমিও দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করলাম।
তারপর আমরা সবাই মিলে ইটের পুরনো বাড়ি দেখতে গেলাম। বাড়িটি দেখতে অনেক সুন্দর। কিন্তু বাড়িটি দেখে আমার সিনেমার ভূতুড়ে বাড়ির কথা মনে পড়ে গেছিলো।
সেটা ভেবেই গা টা বেশ ছমছম করতে লাগলো। কিন্তু ভেতরে ঢুকার পরে ধারণাটা বদলে গেল। ভেতরে আমাদের মতই ঘুরতে আসা আরো অনেক মানুষ জন ছিল। এবং ভেতরটা মোটেও ভয়ানক ছিল না।
তারপর আমরা পুরো বাড়িটা এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে দেখলাম। বাড়িতে কিছু কিছু অংশ ফাটল ধরেছে এবং কিছু কিছু অংশ ভেঙে গেছে। বাড়িটি বেশ অনেক বছরের পুরনো।
Device | realme 8 |
---|---|
Camera | 64 mp |
Photo by | Al-Amin |
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, বর্তমানে আমি সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা করছি,আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
পরিবারের সাথে আনন্দঘন একটি দিন কাটিয়েছেন। আপনার কাটানো মুহূর্ত পড়ে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা নিবেন ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনি পরিবারের সকলের সাথে খুব সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন। আমার মনে হয় আপনি প্রতিটি মুহূর্ত খুবই উপভোগ করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসাধারণ ফটোগ্রাফি এবং ক্রমাগত বর্ণনা। খুব স্বাবলিল ভাষায় তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ভাইয়া সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন আপনার পরিবারের সাথে। আমি প্রার্থনা করি এভাবেই কাটুক আপনার সারা জীবন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরিবারের সাথে আনন্দঘন একটি দিন কাটিয়েছেন।শুভকামনা অবিরাম ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই।
সুন্দর একটি দিন উপভোগ করলেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর লাগছে। আসলে পুরোনো বাড়িটা দেখতে ভূতের বাড়ির মতোই লাগছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সবমিলিয়ে দিনটা খুব ভালো উপভোগ করেছেন। আমার কখনো ঝিনাইদহ যাওয়া হয়নি। গ্রামের দৃশ্যগুলো ভালো ছিল। এবং ইটের পুরাতন বাড়িটাও অসাধারণ ছিল। খুবই আকর্ষণীয়। খুব ভালো হয়েছে পোস্ট টা।।
সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।