কাল্পনিক ভূতের গল্পের দ্বিতীয় পর্ব | |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে কাল্পনিক ভূতের গল্পের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব। তাহলে চলুন দেরী না করে গল্পটা শুরু করা যাক:-
আগের পর্বে যে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল তার নাম ছিল প্রিয়া। পাঁচ জন বন্ধুর মধ্যে একজন মেয়ে যার নাম হলো কাজল। কাজল প্রিয়ার জন্য খাবার বানাতে যায় রান্নাঘরে।খাবার বানাতে বানাতে কাজল তার পেছনদিকে একটি আওয়াজ শুনতে পাই।পিছন ফিরে দেখে তার পেছনে প্রিয়া দাঁড়িয়ে। তবে প্রিয়াকে অন্যরকম লাগছে দেখতে।প্রিয়ার চোখ মুখ দেখতে বেশ ভয়ানক লাগছে। কাজল কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রিয়া কাজলের উপর হামলা করে। কাজল ভয় ভয় সুরে জিজ্ঞাসা করে তুমি কে? তখন প্রিয়া বলে, আমি এক শয়তানি শক্তি। আমি তো ৩০ বছর আগেই মারা গেছি। এখন তোমাকে মেরে তোমার শরীরে আমি থাকবো। এই বলে প্রিয়া কাজলকে মেরে তার শরীরে ঢুকে পড়ে। এখানে কাজলের মৃত্যু হয়ে যায়। এরপর প্রিয়া কাজলের শরীরে ঢুকে বাকি বন্ধুদের সাথে থাকতে শুরু করে। প্রিয়ার আত্মা কাজলের শরীরে ঢুকাতে প্রিয়ার বডি রান্না ঘরেই পড়ে থাকে। এরপর আর একজন বন্ধু রান্নাঘরে ঢুকে দেখে প্রিয়ার বডি নিচে পড়ে আছে। তারা তখন ভাবে প্রিয়ার বাবা হয়তো প্রিয়াকে মেরে ফেলেছে। তখন তারা রাগে প্রিয়ার বাবার কাছে ছুটে যায় তাকে মারার জন্য।
বন্ধুরা সবাই মিলে প্রিয়ার বাবাকে যেয়ে জিজ্ঞাসা করে, তুমি প্রিয়াকে খুন করে ফেলেছো কেন? তখন প্রিয়ার বাবা বলে, যে ৩০ বছর আগেই মারা গেছে তাকে আমি খুন করবো কিভাবে! সর্বনাশ হয়ে গেছে, প্রিয়ার বডিতে যে আত্মা ছিল তা শরীর পরিবর্তন করেছে। এখন সে আত্মা তোমাদের মধ্যে কারো শরীরে রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পর সেই আত্মা আবারো শরীর পরিবর্তন করবে এবং তোমাদের মধ্যে কেউ মারা যাবে। এভাবে বলাতে বন্ধু গুলো আরো রেগে যাই, তখন প্রিয়ার বাবা তার কথার সত্যতা প্রমাণ করার জন্য প্রিয়ার ছোটবেলার কিছু ছবি এবং ছবির পেছনের সাল ও আরো নানান তথ্য দিয়ে প্রমাণ করে যে প্রিয়া ৩০ বছর আগেই মারা গেছে। এতে বন্ধুরা বুঝতে পারে যে লোকটি সত্যি বলছে। এবং তারা সবাই প্রচুর পরিমাণে ভয় পেয়ে যায়।
তারা বৃদ্ধ লোকটির কাছে জানতে চাই ৩০ বছর আগে প্রিয়ার সাথে ঠিক কি হয়েছিল এবং এখন তার আত্মা কি চাইছে আমাদের থেকে? তখন প্রিয়ার বাবা অর্থাৎ বৃদ্ধ লোকটি বলে, ছোটবেলায় প্রিয়া বন্ধুদের সাথে খেলতে খেলতে একটি নির্জন ভয়ানক বাড়িতে পৌঁছায় । সেখানে একটি শয়তানি শক্তির নজর প্রিয়ার উপর পড়ে। সে প্রিয়াকে পুরোপুরি ভাবে বশ করে ফেলে। প্রিয়া ধীরে ধীরে অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। বিভিন্ন অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে, এবং সব সময় সবাইকে মারার চেষ্টা করে। আমরা সব জানতে পেরে অনেক চেষ্টা করেছি প্রিয়াকে বাঁচানো কিন্তু সেই শয়তানি শক্তি প্রিয়াকে পুরোপুরি ভাবে বশ করে ফেলেছিল। এরপর একটি তান্ত্রিককে ডাকা হয়। সে আমাদেরকে জানাই, প্রিয়া মারা গেছে ওইদিনই যখন এই শয়তানের শক্তি ওর শরীরে ঢুকে ছিল। এখন শুধু প্রিয়ার শরীরটাই রয়েছে আর ওর শরীরে যে আত্মাটি রয়েছে তা পুরোপুরি শয়তানি শক্তির বসে। এই আত্মাটির এই পৃথিবীতে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শরীরের প্রয়োজন। কোন মানুষকে মেরে তবে সে তার শরীরে প্রবেশ করে এই দুনিয়ায় থাকতে পারবে। তবে একটি শরীরে সে সর্বোচ্চ তিন দিনের বেশি থাকতে পারেনা।
এভাবেই সে দিনের পর দিন প্রিয়ার আগে অনেক মানুষকে মেরে তার শরীর দখল করেছিল। তান্ত্রিক আমাদেরকে আরো জানায়, এই শয়তানের শক্তি কে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। তবে একে আটকানো সম্ভব। এই শয়তানের শক্তিকে আটকে রাখার জন্য তান্ত্রিক তার আরো দলবল নিয়ে বেসমেন্টের ওই ঘরটাকে তন্ত্র মন্ত্র দ্বারা আবদ্ধ করে কৌশলে প্রিয়ার শরীর সহ ওই শয়তানি শক্তিকে বন্দি করে রেখেছিল ৩০ বছর ধরে। কিন্তু তোমরা মৃত্যুকে নিজে হাতে ডেকে এনেছো। তোমরা সেই শয়তানি শক্তিকে ওই ঘর থেকে মুক্তি করে দিয়েছো। এখন ও তোমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে।
তখন বন্ধুদের মধ্যে একজন বলে ওঠে, দয়া করে আপনি আমাদেরকে সাহায্য করুন। আমরা না জেনে এসব করে ফেলেছি। আপনি ওই তান্ত্রিক কে ডেকে আবার শয়তানি শক্তিকে বন্দি করার ব্যবস্থা করুন। তখন বৃদ্ধ লোকটি বলে, তা সম্ভব নয়। ওই তান্ত্রিক মারা গেছে। এবং ওই তান্ত্রিক আমাকে বলেছিল, একবার যদি ও মুক্তি পেয়ে যায় তাহলে তাকে আর কোনো মন্ত্রবলে আটকানো সম্ভব নয়। একবার মুক্তি পেয়ে নতুন কোন শরীরে ঢুকলে তার শক্তি আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। সে এখন পর্যন্ত ৯৬ জন কে মেরে ফেলেছে প্রিয়া ও তোমাদের মধ্যে কোন একজনকে সহ। আর এখন তোমাদের চারজনকে মেরে ফেললে ১০০ জন পূর্ণ হবে। ১০০ জনের শরীরে এই শয়তানের শক্তি যদি প্রবেশ করতে পারে তাহলে, তার শক্তি এতটাই বেড়ে যাবে যে তাকে আর কোন ভাবেই মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তখন বন্ধুদের মধ্যে একজন বলে ওঠে, কিছুতো একটা উপায় হবে এই শক্তিকে আটকানোর! তখন বৃদ্ধ লোকটি বলে, এই শয়তানের শক্তিকে যদি আবার কোনভাবে ওই ঘরে বন্দি করে রাখা হয় তাহলে আবারও সে ওই ঘরে বন্দী হয়ে থাকবে। কিন্তু তোমাদের মধ্যে কার শরীরে ওই শয়তানির শক্তি ঢুকেছে টা তোমাদেরকে আগে খুঁজে বের করতে হবে।
চলবে...............
ধন্যবাদান্তে,,
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
https://twitter.com/Alamini15050207/status/1492568031758671872?t=Og1gbDhgKxyAZbmbRTFvug&s=19
ভাইয়া,ভুতের গল্প ভুতের মুভি আমার খুবই ভালো লাগে। ভয় লাগে দেখতে ও পড়তে তারপরও অন্যরকম একটা আকর্ষণ লাগে। যত দেখি তত দেখতে ইচ্ছে করে যত পড়ি ততই পড়তে ইচ্ছে করে। আপনি খুবই সুন্দর এবং ভয়ানক একটি গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। গল্পটির প্রথম পর্ব আমি আজকেই পর্ব আর সামনে যে পর্বগুলো আসবে সেই গুলো মিস করবো না।আমার খুবই ভয় লেগেছে প্রিয়া তার বান্ধবী কাজলকে মেরে ফেলার লেখাটি পড়ে। যাইহোক ভাইয়া, অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কাল্পনিক ভূতের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভূতের গল্প আমার অনেক ভয় লাগে। এমনকি আমি ভূতের সিনেমা ও দেখিনা। আপনার এই ভুতের দ্বিতীয় পর্বের প্রথমটুকু পড়ে ভয়ে পালিয়ে আসি। কারন আমার ভুতে প্রচুর ভয় রয়েছে। ছোটকাল থেকেই একে আমার পিছে ছুটে বেড়াচ্ছে । কবে যে এই ভয় থেকে মুক্তি পাব সৃষ্টিকর্তাই জানেন।