কাল্পনিক ভূতের গল্পের প্রথম পর্ব | |10% Beneficiary To @shy-fox | |5% Beneficiary To @abb-charity
আসসালামু আলাইকুম
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সাথে আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি কাল্পনিক ভূতের গল্প শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের খুবই ভালো লাগবে। ভুতের কাল্পনিক গল্প টি আমি আপনাদের সাথে পর্ব আকারে উপস্থাপন করব। আজকে আমি ভূতের কাল্পনিক গল্প এর প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেব।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে ভুতের কাল্পনিক গল্পের প্রথম পর্ব শুরু করা যাক:-
একদিন রাতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বৃষ্টির রাতে পাঁচ জন বন্ধু গাড়ি নিয়ে একটি জঙ্গলের দিকে যায়। গাড়ি নিয়ে জঙ্গলের ভেতরে ঢুকতেই তারা রাস্তা হারিয়ে ফেলে। এরপর গাড়ি থেকে তাড়া নেমে জঙ্গলের আসে পাশে দেখতে থাকে। জঙ্গলে তখন প্রচুর পরিমাণে শুধু অন্ধকার এবং অল্প অল্প বৃষ্টি পড়ছে। তারা টর্চ লাইটের আলো জ্বেলে চারিদিক সাহায্যের জন্য খুঁজতে থাকে। তারা চিৎকার করে বলতে থাকে সাহায্য করো আমাদের, কেউ কি আছেন?
এরপর তারা জঙ্গলের ভিতরে খুঁজতে খুঁজতে একটি পুরনো ও পরিত্যক্ত বাড়ি খুঁজে পাই। তাড়া সেই বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখে সেখানে কেউ নেই। বাড়িটি এতটাই পুরনো যে দেওয়াল ফেটে লতাপাতা গজিয়েছে। বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য তারা সেই বাড়ীতেই আশ্রয় নেয়। তারা পাঁচ বন্ধু মিলে বাড়িটি ঘুরে ফিরে দেখতে থাকে। বাড়ির ভিতরে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ তারা উপর থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পাই। আওয়াজ শুনে তারা উপরে যেয়ে দেখে একটি বৃদ্ধ লোক কি যেন তন্ত্র মন্ত্র লেখা বই নিয়ে নাড়াচাড়া করছে। তখন সেই পাঁচজন ছেলে বৃদ্ধ লোকটিকে জিজ্ঞাসা করে , আপনি কে? এইখানে কি করছেন এইসব? আমরা যখন এই বাড়িতে প্রথম ঢুকে সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছিলাম তখন আপনি কোথায় ছিলেন? আপনাকে তো দেখলাম না।
তখন বৃদ্ধ লোকটি বলে, তোমরা এখানে কেন এসেছো? চলে যাও এখান থেকে। এখানে থাকলে তোমাদের বিপদ হবে। তাড়াতাড়ি চলে যাও। কিন্তু ছেলেগুলো বৃদ্ধ লোকটির এ কথায় কোন পাত্তা দেয় না। ছেলেগুলো বলে আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি তাই আজকের রাতটা এখানে থাকবো। কাল সকাল হলে আবার আমরা গাড়ি নিয়ে ফিরে যাবো। বৃদ্ধ লোকটি বারবার বারণ করলেও তারা কোন কথা শুনেনা। এরপর রাত যখন গভীর হয় তখন তারা অদ্ভুত রকম আওয়াজ শুনতে পাই। আওয়াজটা সবাই শুনতে পাই। তাদের মনে হচ্ছিল আওয়াজটা যেন বেসমেন্ট থেকে আসছে। এরপর আওয়াজটা কে ফলো করে সবাই ধীরে ধীরে বেসমেন্টের দিকে এগোতে থাকে। আওয়াজটা কে ফলো করে তারা বেসমেন্টের একটি গোপন ঘরে করে পৌঁছায়। ঘরটায় পৌছতেই সেই অদ্ভুত আওয়াজ টা যেন থেমে যায়। এরপর তারা সেই ঘরটাকে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখে সেখানকার দেওয়ালে অনেক তন্ত্র মন্ত্র লেখা, ঘরটা বেশ নোংরা, ভৌতিক এবং গা ছমছমে। তখন পাঁচ জনের মধ্যে একজন বন্ধু বলে আমার খুব ভয় করছে। এই জায়গাটি একদমই সুবিধের নয়। বৃদ্ধ লোকটি ঠিকই বলেছিল, আমাদের এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত।
তখন বাকি বন্ধুরা বলে, না এখানে নিশ্চয়ই কোন অজানা রহস্য রয়েছে। রহস্যটা উদঘাটন না হওয়া পর্যন্ত আমরা যাবো না। এরপর তারা সেই ঘরের ভেতরে একটি গোপন কামরা খুঁজে পাই।সেই গোপন কামরাই ঢুকে তারা দেখতে পায়, একটি ১৫ বছরের কিশোরী মেয়ে সেই ঘরটাতে বন্দি। এরপর সেই মেয়েটাকে তারা জিজ্ঞাসা করে, তুমি কে? তুমি এখানে কি করছো? তখন মেয়েটা উত্তর দেয়, আমার বাবা আমাকে এখানে আটকে রেখেছে। আমি অনেক বছর ধরে এখানে আটকে আছি। তোমরা আমাকে দয়া করে উদ্ধার করো। এরপর তারা সব বন্ধুগুলো মিলে এই মেয়েটাকে মুক্ত করে বাসার ড্রয়িং রুমে নিয়ে যায়। তখন সে মেয়েটিকে বৃদ্ধ লোকটি দেখে চমকে ওঠে। বলে ওকে কেন বের করেছো। পালিয়ে যাও তোমরা, তোমরা কেউ বাঁচবে না। এই বলে বৃদ্ধ লোকটি যখন মেয়েটাকে মারতে যাবে তখন ছেলেগুলো লোকটিকে বেঁধে ফেলে এবং জিজ্ঞাসা করে, তোমার নিজের মেয়েকে তুমি কেন মারতে চাও এবং কেনই বা তাকে বন্দি করে রেখেছে? আর অদ্ভুতভাবে তোমার মেয়ে এতো ছোট আর তুমি কি করে এত বৃদ্ধ হলে? এভাবে তারা অনেক প্রশ্ন করলে বৃদ্ধ লোকটি চুপ করে থাকে । কিছুক্ষণ পর বৃদ্ধ লোকটি জানাই, তোমরা যাকে মুক্ত করে এনেছো, সে আমার মেয়ে তবে, সে ৩০ বছর আগে মারা গেছে।
এই কথা শুনে ছেলেগুলো হেঁসে ফেলে। তারা বলে, তোমার মেয়ে জলজ্যান্ত এখানে দাঁড়িয়ে, আর তুমি বলছ সে নাকি ৩০ বছর আগে মারা গেছে! আরে বুড়ো তোমার মাথায় সমস্যা। তুমি পাগল হয়ে গেছো। তোমার জায়গা এখানে না, মানসিক হাসপাতালে। এরপর বৃদ্ধ লোকটি বলে, তোমরা ভুল করছো। তোমরা কেউ আর বেঁচে ফিরতে পারবে না। এই শয়তান তোমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। ও মারা গেছে। এরপর বৃদ্ধ লোকটিকে পাগল ভেবে বন্ধুরা মিলে তাকে একটি ঘরে বন্দী করে রাখে। এরপর তারা সেই মেয়েটিকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তারপর মেয়েটি বলে আমার খুব খিদে পেয়েছে। এরপর পাঁচ বন্ধুর মধ্যে এক মেয়ে বন্ধু মেয়েটির জন্য রান্নাঘরে খাবার বানাতে যায়।খাবার বানাতে বানাতে মেয়েটি পেছন থেকে আওয়াজ শুনতে পাই। পিছন ফিরে দেখে তার পিছনে সেই মেয়েটি দাঁড়িয়ে এবং মেয়েটির চোখ মুখ বেশ ভয়ানক দেখতে লাগছে।
চলবে........
ধন্যবাদান্তে,,
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
https://twitter.com/Alamini15050207/status/1491743768965677061?t=hJErUeYZXIHnso5IEfHTzg&s=19