"দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প"-পর্ব ০২(অন্তিম পর্ব)| |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের গল্পের দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ অন্তিম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি, গল্পটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
হিয়া সূর্যকে প্রত্যাখ্যান করার পর সূর্য মানুষিক ভাবে অনেক ভেঙে পড়ে। সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারে না যে হিয়া এতদিন তার সাথে শুধু অভিনয় করে গেছে। সূর্য কিছুতেই মেনে নিতে পারে না যে হিয়া তাকে ভালোবাসে না। সূর্য বার বার হিয়ার কাছে গিয়ে তার ভালোবাসার কথা জানালে হিয়া বারবার তাকে অপমান করে ফিরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে সূর্য এসব কিছু মেনে না নিতে পেরে নিজেকে একেবারে গুটিয়ে নেয়। সে সবকিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলে। এমনকি কলেজটা ছেড়েও সে চলে যায়। আর এদিকে হিয়া এই বিষয়গুলো জানতে পেরে মনে মনে বেশ অনুতপ্ত হয়। সে তার ভুল বুঝতে পারে । হিয়া এই প্রথমবার সূর্যের ভালোবাসাকে উপলব্ধি করতে পারে। তাই হিয়া আর দেরি না করে সূর্যের কাছে ছুটে যাই তার কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে আপন করে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তখন তো অনেক দেরি হয়ে গেছে। সূর্য হিয়ার জীবন থেকে ততক্ষণে অনেক দূরে চলে গেছে।
এই কথা জানতে পেরে হিয়া ভীষণ কষ্ট পায়। এই প্রথমবার সে সূর্যের জন্য অঝোরে কান্না করতে থাকে আর বলতে থাকে সূর্য তুমি ফিরে এসো, তোমাকে আমি আর হারাতে দেবো না। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সূর্য অভিমানে তার থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। এভাবেই চলে যাই চারটি বছর। এতদিনে হিয়া কলেজের পড়াশোনা কমপ্লিট করে ফেলেছে। হিয়া কিন্তু আজও সূর্যকে ভোলেনি। সূর্যের জায়গাটা সে আজ পর্যন্ত অন্য কাউকেও দেয়নি। হিয়া এখন একটি অফিসে চাকরি করে। আর অন্যদিকে সূর্য অনেকটা বদলে গেছে। সে এখন একজন বড় বিজনেসম্যান। সে এই চার বছরে নাম, টাকা, সম্পদ সম্মান সবকিছুই অর্জন করেছে। তবে সে মুখে প্রকাশ না করলেও তার মনে আজও হিয়া রয়েছে।
এরপর চার বছর দুই মাস পর সূর্য এবং হিয়ার আবার দেখা হয়। সূর্য তার বিজনেসের কাজে হিয়াদের অফিসে আসে আর সেখানেই সূর্য এবং হিয়ার আবার দেখা হয়। কিন্তু তারা দুজন দুজনের দিকে শুধু তাকিয়েই থাকে , কেউ কাউকে কিছুই বলতে পারেনা। এভাবেই তাদের প্রথম দিন কেটে যায়। এরপর হিয়া নিজে থেকে সূর্যের সমস্ত ডিটেলস কালেক্ট করে সূর্যের সাথে দেখা করতে চলে যায় তার বাসায়। কিন্তু সূর্য হিয়াকে গুরুত্ব দেয় না, সে হিয়াকে বলে সে সবকিছু ভুলে গেছে তাই হিয়া যেন তাকে আর ডিস্টার্ব না করে। কিন্তু হিয়া সূর্যকে কান্না করতে করতে বলে সূর্য তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি ভুল করেছি, তোমার ভালোবাসা আমি বুঝতে পারিনি কিন্তু তুমি চলে যাওয়ার পরে আমি তোমার ভালোবাসা বুঝতে পেরেছি। তোমাকে আমি অনেক খুঁজেছি, তোমার সাথে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তোমাকে কোথাও পাইনি। আজ দীর্ঘ চার বছর পর তোমাকে আমি পেয়েছি। তোমাকে আমি আর হারাতে দেবো না সূর্য। আমি আজও তোমার জায়গাটা কাউকে দিতে পারিনি।
তখন সূর্য বলে তোমার এই ছলনাময়ী ভালোবাসা তুমি নিজের কাছেই রাখো। আজ তুমি দেখেছো আমার অনেক টাকা-পয়সা হয়েছে তাই হয়তো তুমি আমার কাছে এসেছো কিন্তু আমাকে ক্ষমা করো আমি আমার জীবনে অনেক এগিয়ে গেছি। সেখানে তোমার কোন জায়গা নেই। এই কথা শুনে হিয়া, মনের কষ্টে সূর্যের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। সূর্যের বাড়ির সামনের রাস্তাটা পার হতে গিয়ে হিয়ার একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে ছোট্ট একসিডেন্ট হয়। এই খবরটি সূর্য শুনতে পেয়ে পাগলের মত ছুটে হসপিটালে চলে যায়। এবং সে হিয়ার কাছে গিয়ে অঝরে কান্না করে বলে আমি তোমাকে ভালোবাসি, অনেক বেশি ভালোবাসি। যা বলেছি অভিমানে বলেছি। এরপর থেকে সমস্ত মান অভিমান ভুলে সূর্য এবং হিয়া এক হয়ে যায়। আর এখানেই তাদের দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প শেষ হয়।
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
ভালোবাসার মধ্যে বাধা আসবেই আর সেই বাধা থেকে ভালোবাসা আরো কাছে চলে আসে। তবে আমার মনে হয় হিয়া যদি ছোট এক্সিডেন্ট না করতো তাহলে হয়তো সূর্য আর হিয়ার মিলতে আরো একটু দেরি হতো। তবে তারা দুজন একসাথে মিলিত হয়ে গিয়েছে এটাই এই গল্পের সবচেয়ে বড় সার্থকতা।
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সূর্য এবং হিয়া দীর্ঘ চার বছর পর আবার ও একসাথে হয়েছে এটা জেনে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।। এরকম ছোট ছোট বিষয়গুলোর কারণে অনেকের ভালোবাসা নষ্ট হয়ে যায়। হিয়া সূর্যের জায়গা কাউকে দেয়নি সে কারণে সূর্যের সাথে তার আবারও দেখা হয় এবং তার সাথেই মিল হয়েছে। সূর্য হিয়ার উপর অভিমান করে থাকলেও ছোট্ট একটা এক্সিডেন্টের ফলে তার ভালোবাসার কাছে আবারো ফিরে গিয়েছে। এরকম ছোট ছোট এক্সিডেন্টের এর ফলে অনেকের জীবন সুখী হয়ে পড়ে। খুবই দারুণভাবে তাদের দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প শেষ হলো তাহলে।
সূর্য এবং হিয়ার দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। গল্পটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার ভালবাসার গল্পটি পড়ে খুব ভালোই লাগলো। হিয়া জখন সূর্য ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করলেন। এরপর হিয়া সূর্যের ভালোবাসা উপলব্ধি করতে লাগলেন। এবং সূর্যর কাছে ছুটে গেলেন কিন্তু দেরি হয়ে গেল।এরপর সূর্যকে তার ভালোবাসার কথা বলল কিন্তু সূর্য তার ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করলেন। আসলে ভালোবাসার মধ্যে এরকম ঝামেলা বা কষ্ট না আসলে ভালোবাসায় তেমন গারো হয় না। তবে শেষ পর্যন্ত অনেক ভালো লাগলো সূর্য এবং হিয়া দুইজন এক হলেন। খুব অসাধারণ ভাবে গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঠিক কথা, ভালোবাসার মধ্যে ঝামেলা বা ঝগড়া না হলে ভালবাসাটা ঠিক গাঢ় হয় না। গল্পটি আপনি পড়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্পটির প্রথম পর্ব ও আমি করেছিলাম যা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল কিন্তু কিছু কারণে খারাপ লেগেছিল। আজকে এই গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ অন্তিম পর্ব পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছে। এভাবে যদি সব ভালোবাসার মিলন হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। সবার ভালোবাসার মিলন যেন এভাবেই হয়। যতই অভিমান ভালোবাসার মানুষের উপরে করুক না কেন তার কোন ক্ষতি দেখলে ভালবাসার টানে ফিরে যেতেই হয়। এরকম গল্প দেখার আরো অপেক্ষায় আছি।
গল্পটি আপনি পড়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।