"এসো নিজে করি"নদীর পাড়ে চাঁদের আলোয় দাঁড়ানো কাপলের রোমান্টিক মুহূর্ত অংকন || 10% Beneficiary To @shy-fox

আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

প্রতিবারের মতো আজও আমি আপনাদের সামনে আমার আঁকানো পেন্সিল আর্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের খুবই ভালো লাগবে। আমার পেন্সিল আর্ট আজকে অন্যরকম।

আমি আজকের পেন্সিল আর্ট এ আপনাদের দেখাতে যাচ্ছি চাঁদের আলোয় নদীর পাড়ে কাপলের দাঁড়িয়ে থাকা রোমান্টিক দৃশ্য।

প্রথমত কাপল বলতে আমরা একটি ইয়াং ছেলে ও একটি ইয়ং মেয়ে একত্রে বুঝে থাকি। কাপল শব্দটি কানে বাজে মাত্রই আমাদের মাইন্ডে চলে আসে ছেলে ও মেয়ের রোমান্টিক মুহূর্ত।

প্রতিটি মানুষের জীবনে পরিবার পরিজন ও আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব ছাড়াও একটি মানুষকে প্রয়োজন। সে একটি মানুষকে আমরা ভালোবাসার মানুষ, প্রিয় জন, জীবনসঙ্গিনী, গার্লফ্রেন্ড , প্রিয় তমা এমনকি বউ বলে থাকি। এই ভালোবাসার মানুষের সাথে সময় কাটানো, গল্প করা, ঘুরতে যাওয়া, পার্কে যাওয়া , ভালোবাসার মানুষের নদীর পাড়ে বসে বাদাম খাওয়া, ভালোবাসার মানুষের সাথে অথৈ সাগরে ভাসিয়ে যাওয়া এগুলো হলো কাপলের রোমান্টিক মুহূর্ত।

কাপলের এই রোমান্টিক মুহূর্তগুলো সত্যিই খুবই খুবই অনুভূতি কর। যা কখনো কল্পনা করা যায় না, যা কখনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, যা কাউকে ব্যাখ্যা করে বলা সম্ভব নয় এমন।

বুক চিন চিন করছে হাই
মন তোমায় কাছে চাই,
আমরা দুজন দুজনারি
প্রেমের দুনিয়ায়,,,,,,,, কাপলের রোমান্টিক গান।
তারা খুব খুশি থাকে এবং ভালোবাসার মানুষকে সারা জীবনের সঙ্গী হিসেবে পেয়ে স্বার্থক।

কিন্তু বর্তমানে ভালোবাসার নামে নোংরামি, ভন্ডামি, ছলনাময়ী কালনাগিনী এইগুলোর প্রভাব অপরিসীম।
তাদের থাকে না কোন রোমান্টিক মুহূর্ত থাকে শুধু লোভ আর মোহ। অবশেষে পায় লাঞ্ছনা।

সবাইতো ভালোবাসা চায়
কেউ পায়
কেউবা হারায় তাতে
প্রেমিকের কি আসে যায়,,,,,,, কাপলের কষ্টের গান।

তো আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রোমান্টিক কাপল এর নদীর পাড়ে চাঁদের আলোয় দাঁড়িয়ে থাকা মুহূর্ত আর্ট এর মাধ্যমে দেখাবো।

তাহলে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যায়:

উপকরণ:
১. পেন্সিল
২. স্কেল
৩. কালার পেন্সিল
৪. এ ফোর সাইজের সাদা পেপার
৫. রাবার

ধাপ- ০১

প্রথমে স্কেল দিয়ে ১০.৫ সেন্টিমিটারের একটি লম্বা দাগ টেনে নিয়েছি এবং দাগের উপর ২.৪ ও ৫.৫ মাপের জায়গায় ছোট চিহ্ন দিয়ে নিয়েছি। মাঝখানে ৫ সেন্টিমিটার ফাঁকা দিয়ে আরও একটি ১০সেন্টিমিটার লম্বা দাগ টেনে নিয়েছি। এরপর দাগের ওপর মাপ দিয়ে ১.৮ সেন্টিমিটার ও ৩.৭ সেন্টিমিটার এর স্থানে চিহ্ন করে নিয়েছি।

ধাপ- ০২

এরপর ডান পাশের লম্বা দাগটি ব্যবহার করে একটি মেয়ে আঁকিয়ে নিয়েছি।

ধাপ- ০৩

তারপর বাম পাশের দাগটি ব্যবহার করে একটি ছেলে আঁকিয়ে নিয়েছি। ছেলে মেয়ে দুটিকে এমনভাবে এঁকেছি যেন দুজন দুজনের দিকে মুখ করে হাত বাড়িয়ে দুজন দুজনের হাত ধরে আছে।

ধাপ- ০৪

এরপর দুজনের হাত ধরে রাখাকে কেন্দ্র করে একটি চাঁদ আঁকিয়ে নিয়েছি।

ধাপ- ০৫

এরপর চিত্রটির মাঝ বরাবর আড়াআড়ি দাগ কেটে দূরের পাহাড় আঁকিয়ে নিয়েছি এবং পেন্সিল দিয়ে চিত্রটা হাইলাইট করে নিয়েছি।

ধাপ- ০৬

এরপর ছেলে মেয়ে দুজনের দাঁড়িয়ে থাকা স্থানে নদীর পাড় আঁকিয়ে নিয়েছি এবং নদীর পাড়ের কোলঘেঁষে ঘাস ফুল এঁকেছি।

ধাপ- ০৭

তারপর কালো পেন্সিল রং দিয়ে পাহাড় ও মানুষ দুটি রং করে নিয়েছি।

ধাপ- ০৮

তারপর পেন্সিল দিয়ে ঘষে ঘষে নদীরপাড় রং করেছি।

ধাপ- ০৯

এরপর পেন্সিল দিয়ে পুরো চিত্রটা অর্থাৎ আকাশ ও নদীটা হাইলাইট করেছি এবং পেন্সিল গারো করে নদীর ঢেউ ও আকাশের মেঘ আঁকিয়েছি।

ধাপ- আউটপুট

এভাবে তৈরী হয়ে গেল নদীর পাড়ে চাঁদের আলোয় রোমান্টিক কাপলের এর দৃশ্য।

আমার বাংলা ব্লক কমিটির সকল সদস্যবৃন্দকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ, সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

আমার আর্ট ও কোন কিছু তৈরি করা ছোটবেলার শখ। যদি আপনাদের আমার এই romantic-couple এর আর্ট করা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন তাহলে আমি খুবই খুশি হব।

Device	realme 8
Camera	64 mp
Photo by	Al-Amin

আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, বর্তমানে আমি সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা করছি,আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।