ছোট ভাইয়ের আবদারে অংকন করলাম একটি সুন্দর গ্রামীণ দৃশ্য ||10% Beneficiary To @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আঁকানো একটি গ্রামীণ চিত্র শেয়ার করব। এই চিত্রটি আকানোর পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে আমার ছোট ভাই।
সে আমাকে এসে আবদার করল ,যে ভাইয়া আমাকে একটি সুন্দর ছবি আঁকিয়ে দাও। তখন আমি বললাম ,অসময়ের ছবি দিয়ে তুই কি করবি?? তখন সে বলল ,ভাইয়া তুমি ছবি আট করো কাগজের জিনিস বানাও কিন্তু আমাকে তো একটাও দাও না।
সত্যি আমি যেগুলো আর্ট করি এবং যেগুলো তৈরি করি সেগুলো সুন্দর করে আমি আমার নিজের কাছে রেখে দেই এবং আমার রুম সৌন্দর্যবর্ধন করি
ওইগুলো দিয়ে।তাই আর কি ছোট ভাইকে দেওয়া হয় না।
তো আজ ছোট ভাইয়ের আবদার তো ফেলে দেওয়া যাবে না। তাই ছোট ভাইকে তাড়াতাড়ি করে একটি গ্রামীণ চিত্র আঁকিয়ে দিলাম। আর সেই চিত্রটি আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আমার ছোট ভাইয়ের জন্য আঁকিয়ে দেবো একটি সুন্দর গ্রামের দৃশ্য।
উপকরণ:
১. সাদা কাগজ
২. পেন্সিল
৩. রাবার
৪. স্কেল
৫. বিভিন্ন কালারের রং
ধাপ- ০১
প্রথমে একটি কাগজের দুই পাশে দুটো ঘর আঁকিয়ে নিয়েছি।
ধাপ- ০২
এরপর প্রথম ঘরের পাশে একটি বটগাছ আঁকিয়ে নিয়েছি এবং দ্বিতীয় ঘরের পেছনে একটি গাছ আঁকিয়ে নিয়েছি।
ধাপ- ০৩
এরপর বটগাছের পিছে একটি খেরের পালা আঁকিয়ে নিয়েছি।
ধাপ- ০৪
এরপর দুটো ঘরের পেছন দিকে দূরের পাহাড় আঁকিয়ে নিয়েছি।
ধাপ- ০৫
এরপর পাহাড় ঘেঁষে সূর্য এঁকেছি। তারপর পাহাড়ের কোলঘেঁষে ঘরের পিছন দিক দিয়ে নদীর প্রবাহ এঁকেছি। তারপর বাড়ির সামনে আধ বেড়া দেওয়া ছোট পুকুর এঁকেছি।
ধাপ- ০৬
এরপর গ্রামীণ দৃশ্যটাকে রং করার জন্য প্যাস্টেল রং ব্যবহার করেছি। প্রথমে নেভিব্লু ,কমলা ও গোলাপি রং দিয়ে ঘরটা রং করে নিয়েছি। তারপর ঘরের পাশের ও পেছনের গাছটাকে সবুজ, টিয়া ও হলুদ রং মিশিয়ে গাছটাকে সুন্দর করে রং করে নিয়েছে। গাছের গুড়ি রং করার জন্য চকলেট কালার ব্যবহার করেছি।
ধাপ- ০৭
তারপর ঘরের পেছনের পাহাড় গুলো রং করে নিয়েছি। পাহাড় গুলো রং করার জন্য সাদা ও হলুদ রং মিশিয়ে রং করেছি। এরপর সূর্যটাকে রং করে নিয়েছি। সূর্যটা রং করার জন্য লাল, কমলা ও হলুদ রং ব্যবহার করেছি। তারপর আকাশটা রং করে নিয়েছি । আকাশটা রং করার জন্য প্রথমে সাদা রং করে নিয়েছে, তারপর সাদা রঙের উপর নীল রং দিয়ে আকাশটা রং করেছি।
ধাপ- ০৮
এরপর খেরের পালা রং করে নিয়েছি। খেরের পালা রং করার জন্য বিস্কিট কালার ব্যবহার করেছি। তারপর পাশের নদীর প্রবাহ টি রং করে নিয়েছি। প্রবাহ টি রং করার জন্য সাদা ও আকাশী রং ব্যবহার করেছি। তারপর দ্বিতীয় ঘরটা রং করে নিয়েছি। দ্বিতীয় ঘরটা রং করার জন্য বেগুনি ,গোলাপি ও কমলা রং ব্যবহার করেছি। তারপর পুকুরের বেড়া গুলো চকলেট কালারের রং করে নিয়েছি এবং পুকুরের পানি সাদা ও আকাশী রং দিয়ে রং করে নিয়েছি।
ধাপ- ০৯
এরপর বাড়ির আঙিনা, পুকুর পাড় ও গাছতলা দিয়ে পুরো জমিতে টিয়া রং দিয়ে রং করে নিয়েছি, যেন এটা দেখে মনে হয় সবুজ ঘাসে ভরা গ্রাম। এভাবে তৈরি হয়ে গেল একটি সুন্দর রঙিন গ্রামীণ চিত্র।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সকল সদস্যবৃন্দকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি আর্ট করতে এবং কোন কিছু নিজে থেকে তৈরি করতে খুবই পছন্দ করি।
Device | realme 8 |
---|---|
Camera | 64 mp |
Photo by | Al-Amin |
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, বর্তমানে আমি সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা করছি,আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
বাহ ভাই বাহ। সুন্দর অংকন করেছেন। দেখতে খুবই দৃষ্টিনন্দন লাগছে।
আমাকে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। আপনাদের মাঝে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর নিত্য নতুন আর্ট উপহার দিতে সক্ষম হতে পারি দোয়া রাইখেন।
অবশ্যই। আপনার জন্য শুভকামনা।
বাহ্। আপনার আজকের প্রাকৃতিক দৃশ্য অংকন খুবই সুন্দর হয়েছে। শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রাকৃতিক দৃশ্য পছন্দ করে না এমন মানুষ অনেক পাওয়া যাবে সে প্রাকৃতিক দৃশ্য যদি আবার অঙ্কন করা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। খুবই অদ্ভুত এবং চমৎকার ভাবে আপনি এই প্রাকৃতিক দৃশ্য অংকন। করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই, আমর পোস্টটি পড়ে আপনি খুবই সুন্দরতম মন্তব্য উপহার দিয়েছেন।
শুভ কামনা।
ধন্যবাদ ভাই।
♥