"অদ্ভুতুড়ে বাংলো" দ্বিতীয় পর্ব-| |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
গতকাল আমি আপনাদের সাথে "অদ্ভুতুড়ে বাংলো"গল্পের পর্ব-০১ শেয়ার করেছিলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে এই গল্পটি এর দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি, এই অদ্ভুতুড়ে বাংলোর রহস্যময় ভূতের গল্প টি আপনাদের খুব ভালো লাগবে। যেহেতু এ গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই গল্পটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
কেয়ার রাত্রে ঘুম হচ্ছিল না। সে একবার এপাশ-ওপাশ করে যাচ্ছিল এবং সারাদিনের অদ্ভুত কাহিনী গুলো নিয়ে সে প্রচণ্ড রকম চিন্তা করছিল। হঠাৎ সে দরজার দিকে তাকালে কারো যেন একটা পায়ের ছায়া দেখতে পায়। কেয়া সেই ছায়াটি দেখে বেশ ভয় পেয়ে যায়। এবং আকাশকে ডাকাডাকি করে। কিন্তু আকাশ তো গভীর ঘুমে। আকাশ কেয়ার ডাকে সাড়া দেয় না। এরপর কেয়া বাইরে যেয়ে দেখবে কি দেখবে না যে আসলে ঠিক কে ছিল দরজার ওপাশে তা নিয়ে বেশ দ্বিধায় পড়ে যায়। শেষমেষ সব জল্পনা কল্পনা কাটিয়ে কেয়া ঘরের লাইট জ্বালিয়ে আস্তে আস্তে দরজার কাছে যাই। দরজার কাছে গিয়ে সে কাউকে দেখতে পায় না। তবে সে কি যেন একটা আওয়াজ শুনতে পাই এবং সে আওয়াজটা লক্ষ্য করে আস্তে আস্তে এগোতে শুরু করে। কেয়া হঠাৎ খেয়াল করে স্টোর রুমের দরজা খোলা।
তখন কেয়ার মনে পড়ে যায় রাত্রে ঘুমানোর আগে সে স্টোর রুমের দরজা ভালোভাবে লক করেছিলো তাহলে এখন কে খুলল দরজাটা? এইসব ভেবে সে ভয়ে ভয়ে স্টোররুমের কাছে যায়। স্টোর রুমের ভেতরে ঢুকে কেয়া স্টোর রুমের লাইটটা জ্বালিয়ে দেয়। এরপর স্টোররুমে সে কাউকেই খুঁজে পায়না। এরপর কেয়া স্টোর রুম থেকে বেরিয়ে আসতেই যাবে তখন সে আলমারির ভেতর থেকে কিছু একটা আওয়াজ শুনতে পাই। এরপর কেয়া ভয়ে ভয়ে আলমারির কাছে যাই। আলমারির কাছে গিয়ে কেয়া এক ঝটকায় আলমারি খুলতেই সে চমকে ওঠে। আলমারির মধ্যে তার ছেলে রাজু ঘুমিয়ে আছে।
এরপর কেয়া রাজুকে কোলে নিয়ে স্টোর রুম থেকে দৌড়ে তাদের বেডরুমে নিয়ে আকাশকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। এরপর কেয়া আকাশকে বলে তার সাথে এতক্ষণ যা হয়েছিল সেই ঘটনাটি। এরপর আকাশ রাজুকে অনেক ডাকাডাকি করে চোখে মুখে পানি দিয়ে রাজুর জ্ঞান ফিরিয়ে আনে। এরপর আকাশ রাজু কে জিজ্ঞাসা করে তুমি স্টোররুমের আলমারিতে কি করছিলে? তুমি তো তোমার বোনের সাথে রুমে ঘুমাচ্ছিলে তাহলে তুমি আলমারিতে গেলে কি করে! তখন রাজু বলে রিয়া আপু আমাকে তুলে নিয়ে আলমারিতে লক করে দিয়েছিল।
এই কথা শুনে আকাশ এবং কেয়া দুজনেই চমকে ওঠে এবং তারা দৌড়ে রিয়ার রুমে চলে যায় রিয়ার সাথে কথা বলতে। তারা রিয়ার রুমে যেয়ে দেখে রিয়া রুমের কোথাও নেই । তারা স্টোর রুম সহ সম্পূর্ণ বাড়িতেই রিয়াকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু তারা রিয়াকে কোথাও খুঁজে পায়না। এরপর আকাশ হঠাৎ করে আবিষ্কার করে এখনো ছাদে রিয়াকে খোঁজা হয়নি। চলো ছাদে গিয়ে রিয়াকে খোঁজা যাক। এরপর তারা সবাই মিলে ছাদে চলে যায়। ছাদে গিয়ে তারা যা দেখে তা দেখার জন্য তারা মোটেও প্রস্তুত ছিল না। তারা দেখে রিয়া ছাদের রেলিংয়ের উপর শুয়ে আছে। এবং অদ্ভুত ভাবে কোন কিছু গুনগুন করে বলছে।
রিয়ার এমন অবস্থা দেখে তারা ভীষণ ভয় পেয়ে যায় এবং রিয়াকে বলে তুমি ঐখান থেকে নেমে আসো। রিয়া তাদের কথা শুনে তাদের দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকায় এবং খুবই ভয়ানক একটি হাসি দেয়। এরপর আকাশ খুব ভয়ে ভয়ে বুকে অল্প একটু সাহস নিয়ে ধীরে ধীরে তার মেয়ে রিয়ার দিকে এগোতে থাকে। এরপর সে রিয়ার কাছে গিয়ে রিয়ার হাত ধরতেই রিয়া আকাশকে এক ঝটকা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর কেয়া বলে তুমি তোমার বাবাকে এভাবে ফেলে দিলে কেন?
কিন্তু রিয়া কিছু বলে না সে অদ্ভুতভাবে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। এরপর আকাশ আবারো উঠে গিয়ে রিয়ার হাত দুটো জোর করে চেপে ধরে এবং কেয়া কে বলে তুমি তোমার ওড়নাটা দাও রিয়াকে এখনই বেঁধে ফেলতে হবে। এরপর তারা দুজন মিলেই রিয়াকে বেঁধে নিচে নিয়ে যায়। তারা বুঝতে পারে রিয়া কোন কিছু দ্বারা প্রজেস্ট হয়েছে। তাই তারা রিয়াকে বেঁধে রেখেছে।
এরপর আকাশ রিয়াকে তাদের বাসার ড্রয়িং রুমে হাত-পা বেঁধে সোফার ওপর শুয়ে রাখে এবং তার পরিচিত একজন ডাক্তারকে ফোন দেয়। এরপর ডাক্তার এসে রিয়ার এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখে রিয়াকে একটি ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে দেয়। এরপর রিয়া ঘুমিয়ে গেলেই তার হাত পায়ের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়।
চলবে......
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
https://twitter.com/Alamini15050207/status/1533383475239215104?t=J44xwfGeTnd3Q7W2K0lufw&s=19
ভৌতিক একটি ফিল পাচ্ছি ভাই। রিয়ার হাত পায়ের বাধন খুলে দেয়ার পরের কাহিনি শুনার জন্য উৎসুক হয়ে আছি। তাড়াতাড়ি বলে দেন আমাদের এর পরের কাহিনি। ভাল লিখেছেন গল্পটি। চালিয়ে যান। ভালবাসা রইল
অবশ্যই ভাই পরের পর্বের জন্য একটু অপেক্ষা করুন, সুন্দর মূল্যায়নের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।