আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

প্রতিদিনের মত আজকেও আমি আপনাদের সাথে আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে খুবই আনন্দের সাথে উপস্থিত হয়েছি। গতকালের বিশেষ হ্যাংআউট ছিল আমার কাছে ও আমাদের সকলের কাছে আনন্দের ঘনঘটা। আনন্দের ঘনঘটা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যমণি ছিলেন আমাদের সকলের প্রিয় তনুজা বৌদি। শুভ জন্মদিন আমাদের সকলের প্রিয় তনুজা বৌদির শুভ জন্মদিন। অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল তনুজা বৌদি দাদা ও পরিবারের জন্য। দোয়া করি দাদার পরিবার সুখে স্বাচ্ছন্দে সারা জীবন হাসিখুশিতে কাটুক।

আমাদের সকলের প্রিয় তনুজা বৌদি এর জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল বিশেষ হ্যাংআউটে আমরা অনেক অনেক আনন্দ গান ও কবিতা আবৃতি করে আনন্দ পেয়েছি অপরদিকে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলকে আনন্দ দিয়েছি। তনুজা বৌদির জন্মদিন উপলক্ষে আমি একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত গিয়েছিলাম, আমারো পরানো যাহা চায়। তনুজা বৌদির জন্মদিনের উইশ করেছিলাম গতকালের হ্যাংআউটে। আজকে আবার তনুজা বৌদির জন্মদিন উপলক্ষে জন্মদিনের কেক কার্ডের মাধ্যমে উইশ করলাম।

উপকরণ সমূহ:

১. রঙিন কাগজ
২. সিজার
৩. আঠা
৪. পুঁথি

ধাপ- ০১

প্রথমে মাপমতো একটি কাগজ কেটে নিয়েছি।

ধাপ-০২

এরপর কাগজটি মাঝ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।

ধাপ-০৩

এরপর কাগজটিতে ছবিতে দেখানো উপায়ে দাগ কেটে নিয়েছি।

ধাপ-০৪

এরপর কাগজটি দাগ বরাবর কেটে মাঝখানের অংশ ভাঁজ করে নিয়েছি।

ধাপ-০৫

এরপর মাঝখানের সেই ভাঁজ করা অংশটিকে বিপরীত পাশ দিয়ে ভেতর দিকে ঢুকিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-০৬

এর ফলে কাগজটি দেখতে ঠিক ছবির মতো হবে।

ধাপ-০৭

এরপর একইভাবে দ্বিতীয় ধাপ কাটার জন্য কাগজটি আগের মতো পেন্সিল দিয়ে দাগ কেটে নিয়েছি।

ধাপ-০৮

এরপর পেন্সিলের দাগ বরাবর দুই পাশে থেকে কাগজটি কেটে নিয়েছি এবং মাঝের অংশ ভিতরের দিকে ঢুকিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-০৯

এরপর ভেতরের অংশ দেখতে ঠিক এমন হয়েছে।

ধাপ-১০

এরপর আবারও তৃতীয় ধাপ কাটার জন্য কাগজটি ঠিক একই ভাবে দাগ কেটে নিয়েছি ।

ধাপ- ১১

এরপর দাগ বরাবর সিজার দিয়ে কেটে নিয়েছি এবং মাঝের ভাঁজ করা অংশ ভেতরের দিকে ঢুকিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-১২

এভাবে মোট তিনটি লেয়ার বানিয়ে নিয়েছি। অর্থাৎ আমি কাগজের সাহায্যে এভাবে তিন লেয়ারের একটি কেক বানিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-১৩

এরপর বার্থডে কার্ড বানানোর জন্য এফোর সাইজের একটি রঙিন পেপার মাঝ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।

ধাপ- ১৪

এরপর কাগজের সাহায্যে বানিয়ে রাখা কেকের কার্ড টি এই রঙিন কার্ডের সাথে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-১৫

এরপর একটি রঙিন কাগজ দিয়ে পেন্সিল এর সাহায্যে এভাবে ডিজাইন করে নিয়েছি।

ধাপ-১৬

এরপর ডিজাইনটি সিজার দিয়ে কেটে নিয়েছি।

ধাপ-১৭

এরপর কাগজ দিয়ে তিনটি মোমবাতি বানিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-১৮

এরপর কেক ডেকোরেশন করার জন্য সবকিছু আঠা দিয়ে কেকের উপর লাগিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-১৯

এরপর রঙিন কাগজ দিয়ে ছোট ছোট করে কিছু লাভ কেটে নিয়েছি।

ধাপ-২০

এরপর লাভ গুলো আঠা দিয়ে কেকের চারিপাশে লাগিয়ে দিয়েছি।

ধাপ- ২১

এরপর কার্ডের উপরের অংশ ডিজাইন করার জন্য একটি সাদা কাগজ অর্ধ বৃত্তের মতো করে কেটে নিয়েছি।

ধাপ-২২

এরপর এই অর্ধ বৃত্তের মতো কেটে নেওয়া অংশটি আঠা দিয়ে কার্ড এর উপরের অংশে লাগিয়ে দিয়েছি।

ধাপ- ২৩

এরপর পুতিতে আঠা লাগিয়ে কার্ড এর উপরের অংশে ডিজাইন করে বসিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-২৪

এরপর রঙিন কাগজ দিয়ে অনেকগুলো লাভ ছোট বড় করে কেটে নিয়েছি।

ধাপ-২৫

এরপর লাভ গুলো কার্ডের উপরের অংশে ছবিতে দেখানো উপায়ে ডিজাইন করে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-২৬

এরপর কার্ডটিতে আমি আমার মনের অন্তস্থল থেকে কিছু কথা লিখে বৌদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছি।

ফলাফল

Device	realme 8
Camera	64 mp
Photo by	Al-Amin

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যবৃন্দকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ, সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। আজকের মত আপনাদের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছি, আগামীকাল আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হব।

ধন্যবাদান্তে,,

আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।

প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-

ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড

---