"অদ্ভুতুড়ে বাংলো"-পর্ব ০১ | |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম,
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি, আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য একটি কাল্পনিক "অদ্ভুতুড়ে বাংলো"নিয়ে গল্প লিখেছি। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আকাশ একজন সরকারি চাকরিজীবী। তার দুই সন্তান এবং স্ত্রী রয়েছে। তার প্রথম সন্তান রিয়ার বয়স ১০ বছর এবং তার দ্বিতীয় সন্তান রাজুর বয়স ৫ বছর। সব মিলিয়ে আকাশের একটি সুখী পরিবার এবং সুখের সংসার রয়েছে। আকাশ যেহেতু সরকারি চাকরি করে তাই বিভিন্ন কাজের জন্য আকাশকে ট্রন্সফার হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া লাগে। একদিন শীতলপুর নামক এক গ্রামে আকাশের ট্রান্সফার হয়ে যায়। আকাশ তার সন্তান এবং স্ত্রী কে নিয়ে নতুন এই জায়গায় শিফট হয়। কোম্পানি থেকে তাদেরকে পরিবারসহ থাকার জন্য একটি পুরনো বাংলো দেওয়া হয়। বাংলো টি বেশ ভালই পুরনো। বাংলোটি দেখেই বোঝা যাচ্ছিল বহু বছর ধরে এখানে কেউ থাকে না। তো যাই হোক, আকাশ এবং তার পরিবার এক ছুটির দিনে সেই বাড়িটিতে নিজেদেরকে শিফট করে নেই।
বাড়িটি বেশ পুরনো হলেও তাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। এই বাড়িটি একটি নির্জন জায়গায় অবস্থিত। আশেপাশে জনবসতি তেমন নেই বললেই চলে। তবে চারদিকের পরিবেশ বেশ ঠান্ডা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই বিশাল বাংলো টি তাদের কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আকাশ এবং তার পরিবার আনন্দের সাথেই এই বাড়িটিতে থাকতে রাজি হয়। এরপর সবকিছু ভালই যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন আকাশের স্ত্রী কেয়া খেয়াল করে তার ছেলে রাজুকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে। এরপর কেয়া হন্য হয়ে পুরো বাড়িটিতে তার ছেলেকে খুঁজতে থাকে। এরপর কেয়া বাড়ির দোতলায় রাজুকে খোঁজার জন্য যেয়ে দেখে তাদের বাড়ির স্টোর রুমের দরজা খোলা। এরপর কেয়া স্টোর রুমে ঢুকে দেখে স্টোররুমে থাকা পরিত্যক্ত আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে তার ছেলে রাজু যেন কার সাথে কথা বলছে।
কিন্তু কেয়া ভালো করে খেয়াল করে দেখে ঘরে কিন্তু কেউ নেই। তখন কেয়া বেশ অবাক হয়। কেয়া রাজুকে জিজ্ঞেস করে তুমি কার সাথে কথা বলছিলে আর এখানে কি করছো? তখন রাজু অদ্ভুতভাবে বলে ওঠে মা আলমারিতে কেউ রয়েছে। তখন কেয়া ভয়ে ভয়ে আলমারি খুলে, কিন্তু আলমারি খুলে সে কাউকেই দেখতে পাই না। এরপর কেয়া রাজু কে বলে, "তুমি খুব দুষ্টু হয়েছো, এখানে কেউ নেই চলো"। এরপর রাজু এবং কেয়া স্টোর রুম থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর কেয়া যখন স্টোর রুমের দরজা লক করতেই যাবে তখন সে ভেতর থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পাই। তখন কেয়া বেশ চমকে ওঠে। এরপর সে ভয়ে ভয়ে আবার স্টোর রুমের দরজা একটু ফাঁকা করে দেখার চেষ্টা করে যে আসলেই কেউ ঘরে আছে নাকি। কিন্তু কেয়া কিছুই দেখতে পাইনা তাই সে আওয়াজটা কে গুরুত্ব না দিয়ে স্টোর রুমের দরজা লক করে নিচে চলে আসে।
এরপর নিচে এসে কেয়া, রিয়া এবং রাজুকে নাস্তা করে নিতে বলে। কেয়া, রিয়া এবং রাজুর জন্য খাবার আনতে রান্নাঘরে যায়। কেয়া আজ খিচুড়ি রান্না করেছিল তাই রান্নাঘর থেকে সে খিচুড়ি আনতে যায়। খিচুড়ির কড়াই থেকে ঢাকনা তুলতেই সে বুঝতে পারে খিচুড়ি নষ্ট হয়ে গেছে, এর থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। এটা দেখে কেয়া খুব অবাক হয়। কারন সে এইমাত্র খিচুড়ি রান্না করেছে। তা এই ৩০ মিনিটের মধ্যে নষ্ট হওয়া অসম্ভব। কেয়া বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। আজকে সারাদিনে অদ্ভুত কিছু ঘটছে তাদের সাথে সে এই বিষয়টি লক্ষ্য করে। এরপর রাত্রে যখন আকাশ বাসায় আসে তখন কেয়া সবকিছু খুলে বলে।কিন্তু আকাশ ব্যাপারটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। আকাশ বলে হয়তো চালের সমস্যা ছিল তাই ভাত নষ্ট হয়ে গেছে আর স্টোররুমের ব্যাপারটা তেমন কোনো বিষয় নয়। এই বলে তারা রাতে ঘুমাতে চলে যায়। কিন্তু কেয়ার রাতে ঘুম হয় না।
চলবে.........
আমি@Alamin-Islam, আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
https://twitter.com/Alamini15050207/status/1533021620788375553?t=Ut08ai_c1ns-bfYGWFcfHw&s=19
আকাশ ও কেয়ার সাথে নিশ্চয় খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে। কেমন একটা ভূতের কাহিনীর ফিল পেলাম। বাকিটা তাড়াতাড়ি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন আশা করছি। বেশি দেরি করলে গল্পের কাহিনী মাথা থেকে আবার বের হয়ে যায়। হাহা। ধন্যবাদ আপনাকে
সুন্দর মূল্যায়নের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এরকম ভৌতিক গল্প পড়তে ভালো লাগে ভাইয়া। কেয়া যেটা দেখেছে আকাশ হয়তো সেটা বিশ্বাস করছেনা। কিন্তু আকাশ হয়তো নিজের চোখে দেখবে তারপর বিশ্বাস করবে যে এ বাড়িতে কিছু একটা আছে। পুরনো বাংলোগুলাতে এরকম ভৌতিক ঘটনা ঘটে থাকে মাঝে মাঝে। পরের পর্বের অপেক্ষায়
জ্বি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন এরকম ভৌতিক গল্প পড়তে ও লিখতে খুবই ভালোবাসি আমি, সুন্দর মূল্যায়নের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভয়ানক ঘটনা তো। আসলে বাচ্চারা অনেক কিছু দেখতে পায় তাই রাজু দেখেছে। যদিও বানিয়েছেন। তবে এমন অনেক বাস্তব ঘটনাও রয়েছে। তবে বেশি অবাক হয়েছি খিচুড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়া নিয়ে। পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
জ্বি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন অনেক বাস্তব ঘটনাও রয়েছে, সুন্দর মূল্যায়নের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ভাইয়া এই লাইনটিতে একটু মিস আছে।মনে হয় যাচ্ছে না হবে।যাইহোক গল্পটি যখন পড়ছিলাম ভারী ভালো লাগছিলো, মনে হচ্ছিল কোনো মুভির কাহিনী পড়ছি।ভুতের কাহিনী পড়তে বা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।আপনি সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া, ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি আপনি ঠিকই বলেছেন আমার ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
যদিও আমি ভুত বিশ্বাস করি না তবে ভূতের গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে বরাবরই খুব ভালো লাগে। গল্পটি চমৎকারভাবে শুরু করেছেন। নিশ্চয়ই বাড়িটিতে রহস্যময় কিছু আছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি রেখেছেন আমাদের জন্য।
জ্বি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন আমিও ভূত বিশ্বাস করি না কিন্তু এগুলো পড়তে ভিডিও আকারে দেখতে খুবই ভালো লাগে আমার, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।