স্বপ্নের গ্রামীণ দৃশ্য
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আমার তৈরিকৃত গ্রামীণ দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আজ আমি আপনাদের সাথে কিভাবে খুব সহজে গ্রামীণ দৃশ্য অঙ্কন করতে হয় তা শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন তাহলে আমি অনুপ্রাণিত হব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক:
উপকরণ:
১. এ ফোর সাইজের সাদা পেপার
২. পেন্সিল
৩. রং পেন্সিল
৪. রাবার
প্রথমে একটি দোচালা ঘর একে নিয়েছি। ঘরের জানালা দরজাও আঁকিয়ে নিয়েছি।
এরপর ঘরের পেছনে একটি বটগাছ আঁকিয়ে নিয়েছি।
এরপর ঘরের পাশ দিয়ে গ্রামের আঁকাবাঁকা একটি রাস্তা এঁকেছি।
ঘরের পিছন দিকে দূর থেকে দেখা যাচ্ছে এমন কিছু পাহাড় এঁকেছি। ঘরের সামনের দিকে নদীর পাড় এঁকেছি।
দূরের পাহাড় গুলোর মাঝ দিয়ে দূর থেকে দেখা যাচ্ছে এমন কিছু গাছ এঁকেছি। তারপর পাহাড়ের কোল ঘেঁষে সূর্য অস্ত যাচ্ছে এমন একটি সূর্য এঁকেছি।
এরপর ঘরের উঠোনে গরুকে খাবার দেওয়ার একটি পাত্র এঁকেছি। ঘরের পাশে একটি মাঠ এঁকেছি এবং মাঠে দুইটি খেরের পালা এঁকেছি। তারপর নদীতে একটি বড় নৌকা এঁকেছি , নদীর পাশ দিয়ে কাশ ফুল এঁকেছি ও একটি পদ্মফুল এঁকেছি।
প্রথমে ঘর রং করে নিয়েছি। ঘরের চালাতে নেভি ব্লু কালার দিয়ে রং করেছি, ঘরের দেয়ালে গোলাপি রং করেছি এবং জানালাও দরজাতে কমলা রং করেছি। গাছ রং করার জন্য প্রথমে সবুজ রং, তারপর হলুদ রং এবং এরপর টিয়া রং ব্যবহার করেছি। সবশেষে গাছে সবগুলো রঙের ওপর আরেক বার করে টিয়া রং দিয়ে সবগুলো কালার মিক্স করে দিয়েছি।
এরপর হলুদ রং দিয়ে পাহাড় গুলো রং করেছি। পাহাড়ের মাঝের গাছ রং করার জন্য সবুজ রং ব্যবহার করেছি। তারপর আকাশ রং করার জন্য প্রথমে নীল রং ব্যবহার করেছি , তারপর নীল রং এর উপরে সাদা রং ব্যবহার করেছি। সূর্য রং করার জন্য লাল ,কমলা, হলুদ রং ব্যবহার করেছি। তারপর আকাশে কালো পেন্সিল রং দিয়ে পাখি এঁকেছি।
এরপর মাঠ রং করার জন্য টিয়া রং ব্যবহার করেছি। খেরের পালা রং করার জন্য হলুদ এবং সোনালী কালার ব্যবহার করেছি। ঘরের সামনে গুরুর খাওয়ার পাত্রটি কালো রং দিয়ে রং করেছি।
এরপর নেভি ব্লু কালার , বাদামি কালার ও কমলা কালার দিয়ে নৌকা রং করেছি। এরপর নদীতে থাকা পদ্মফুল গোলাপী কালার, লাল কালার দিয়ে রং করেছি এবং ফুলের পাতা ও ডালটি সবুজ রং করেছি। নদীর পাশে ঘেরা ফুলে হলুদ রঙ করেছি এবং পাতা সবুজ রং করেছি। নদীর পানি রং করার জন্য আকাশী রং ও সাদা রং ব্যবহার করেছি।
এভাবেই খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেল গ্রামীণ দৃশ্য।
Device | realme 8 |
---|---|
Camera | 64 mp |
Photo by | Al-Amin |
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যবৃন্দকে।
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ওদশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, বর্তমানে আমি সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা করছি,আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
আপনার গ্রামের দৃশ্য অংকন অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভ কামনা।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
বাহ আপনার পেইন্টিং অসাধারণ, আমি এটা ভালবাসি
ধন্যবাদ ভাইয়া