কায়কোবাদ নাটক রিভিউ | |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে "কায়কোবাদ" নাটকের রিভিউ শেয়ার করবো।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী:
নাটকের নাম | কায়কোবাদ |
---|---|
পরিচালক | ভিকি জাহেদ |
অভিনয় | আফরান নিশো ও তানজিন তিশা |
নাটকের ধরন | থ্রিলার |
নাটকের দৈর্ঘ্য | ৩৮ মিনিট |
ভাষা | বাংলা |
কান্ট্রি অফ অরিজিন | বাংলাদেশ |
মুক্তির তারিখ | ২২ জুলাই ২০২১ |
নাটকের সারসংক্ষেপ:
নাটকের গল্পের শুরুতে আমরা দেখতে পাই একজন সাংবাদিক মহিলা গল্পের মূল চরিত্র নাবিলা ইয়াসমিন অর্থাৎ তানজিন তিশার ইন্টারভিউ নিচ্ছে। নাবিলা ইয়াসমিন চরিত্রটি হলো তিনি একজন লেখক। এই ইন্টারভিউয়ে দেখা যায় নাবিলা ইয়াসমিন থ্রিলার গল্পের কাহিনী সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
এরপর অন্য একটা দৃশ্যে দেখানো হয় গল্পের মূল চরিত্র আফরান নিশো অর্থাৎ কায়কোবাদ। কায়কোবাদ একজন দরিদ্র কাঠমিস্ত্রি। সে তার কাজ কে খুব ভালোবাসে। তার বানানো কাঠের সোফা বেশ বিখ্যাত। কায়কোবাদ একা জন মানুষ এবং তার চেহারাটা ভালো নয় বলে তার ভীষণ আক্ষেপ। কায়কোবাদের মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী কেউ নেই। এখানে দেখানো হয় এভাবে একা একজন মানুষ একাকীত্বায় ভুগে নানান ধরনের উদ্ভট চিন্তা ভাবনা করতে থাকে এবং সে ধীরে ধীরে মানসিক রোগী তে পরিণত হয়। এরপর তার মাথায় এক অদ্ভুত খেয়াল চড়ে বসে।
কায়কোবাদ কাঠের সোফা বানাতে বানাতে ভাবতে থাকে, আমার বানানো সোফা কত আরামদায়ক এবং কত সুন্দর। এই সোফাতে কত বড় বড় মানুষই না বসে। আমার বানানো এই সোফা বড়লোকদের বাসায় বড়লোকদের আরাম-আয়েশের জন্য সজ্জিত থাকে। আর আমার জায়গা কোথায় ! আমার মতো কুৎসিত ব্যক্তি কখনো বড়লোক হতে পারবে না এবং সারাজীবন আমাকে এভাবেই কাটাতে হবে। এরপর কায়কোবাদ ভাবে সে সোফা বানাবে এবং সেই সোফার ভিতরে তার নিজের থাকার জন্য একটি গোপন চেম্বার বানাবে। তারপর সেই সোফার ভেতরে ঢুকে সোফার সাথেই বড়লোকদের বাসায় যাবে এবং সেখানে দুই তিন দিন থাকবে । এরপর তাদের বাসা থেকে টাকা পয়সা চুরি করে আবার পালিয়ে যাবে। তারপর আবার নতুন একটি সোফা বানিয়ে সেই বাসায় সোফাতে করে যেয়ে দুই তিন দিন থেকে চুরি করে আবার চলে আসে।
এভাবে কায়কোবাদ অনেকদিন ধরে সোফার ভিতরে ঢুকে বড়লোকদের বাসায় যেয়ে খুব সহজেই চুরি করে আবার পালিয়ে চলে আসে। এভাবে চলতে চলতে কায়কোবাদের হঠাৎ একদিন নারীর প্রতি লালসা জন্মায়। কারণ কায়কোবাদ সোফার ভিতরে বসে থাকা অবস্থায় যখন কোনো নারী সোফায় বসতো এবং সোফাতে হাত বুলাতো তখন কায়কোবাদের শরীরে অনুভুতি হতো এবং মেয়েটি যেন তাকে ছুঁয়ে দিচ্ছে তার এমন মনে হতো।
এভাবে চলতে চলতে কায়কোবাদ একদিন একটি মেয়েকে মার্ডার করে ফেলে। তবুও তার কোনো আফসোস বা আক্ষেপ নেই। কারন সে মানসিকভাবে অসুস্থ। সে এগুলোতেই তার জীবনের আনন্দ পেতে থাকে। এ পুরোটাই ছিল কায়কোবাদের স্বীকারোক্তি নাবিলা ইয়াসমিনের কাছে। কায়কোবাদ মেসেঞ্জারে নাবিলা ইয়াসমিনকে এসব স্বীকারোক্তি পাঠায়। মেসেঞ্জার থেকে নাবিলা ইয়াসমিনের গল্প পড়ার মাধ্যমে পুরো কাহিনীটি ফুটিয়ে তোলা হয়। স্বীকারোক্তির এক পর্যায়ে কায়কোবাদ জানাই সে নাবিলা ইয়াসমিনের সোফার ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে অনেক দিন যাবত। কিন্তু সে নাবিলা ইয়াসমিনের বাড়িতে কোন কিছু চুরি করেনি এবং কোন খারাপ কিছুও করেনি। কারণ সে নাবিলা ইয়াসমিনকে ভালোবেসে ফেলেছে।
এ কথা শোনার পরে নাবিলা ইয়াসমিন ভীষণভাবে ভয় পেয়ে যায়। সে কায়কোবাদকে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাই । কায়কোবাদ নাবিলার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে নাবিলা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং পুলিশকে ফোন করে। পুলিশ এসে কাউকে দেখতে পাই না। এবং পুলিশ নাবিলা কে বলে আপনি হয়তো ভুল দেখেছেন। এরপর নাবিলা সেটা কে মনের ভুল ভেবে নিজের রুমে যেয়ে যখন রেস্ট নিতে থাকে তখন সে আবার কায়কোবাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করে। এরপর নাবিলা ইয়াসমিন কলিংবেলের আওয়াজ শুনতে পাই। তার জন্য একটি চিঠি পার্সলে আসে। সেই চিঠিতে লেখা থাকে গল্পের আসল টুইস্ট। এতক্ষন নাবিলা ইয়াসমিন এর সাথে যা যা হচ্ছিল সেটা কোন কিছুই বাস্তব নয়। কায়কোবাদ আসলে তানজিন তিশাকে মেসেঞ্জারে যে গল্পটি পাঠায় সেটা ছিল তার লেখা একটি থ্রিলার গল্প। সেই গল্পটি এতটাই বাস্তবিক যে নাবিলা ইয়াসমীন কে প্রভাবিত করেছিল ।সে এই গল্পটি পড়ে একেবারে গল্পের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। এরপর কায়কোবাদ নাবিলা ইয়াসমিনের সাথে দেখা করতে আসে ,তার এই গল্পটি যেন নাবিলা ইয়াসমিন প্রকাশনায় সাহায্য করে। নাবিলা ইয়াসমিন কায়কোবাদের সাথে দেখা করতে গিয়ে বুঝতে পারে কায়কোবাদ অন্ধ। এরপর দুজনের মধ্যে কথা হয় এবং নাবিলা ইয়াসিন কায়কোবাদের গল্প প্রকাশনায় সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দেয়। এখানেই এই অসাধারণ থ্রিলার গল্পটি সমাপ্ত হয়।
ব্যক্তিগত মতামত:
ব্যক্তিগতভাবে কায়কোবাদ নাটকটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। এই নাটকটিতে আফরান নিশো খুব সুন্দর অভিনয় করেছেন বরাবরের মতো। এই নাটকের শেষের টুইস্ট আমাকে বেশ অবাক করেছিল। নাটকের শেষটা একদম অসাধারণ ছিল।
রেটিং:
আমি নাটকটি কে ৭/১০ দিচ্ছি।
নাটকের লিংক:
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
https://twitter.com/Alamini15050207/status/1489101581924847616?t=6C2ktzEUxeysaA5gT1cg_Q&s=19
অনেক সুন্দর একটা নাটক ভাইয়া আপনি রিভিউ করেছেন। যদিও নাটকটি কখনো দেখিনি কিন্তু পড়ে এতটাই ভাল লাগল যে তা বলে বোঝানো মুশকিল। কায়কোবাদের চুরি করার বিষয়টি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনার রিভিউ পড়ে নাটকটা অনেকটাই আন্দাজ করতে পারলাম দেখলে পুরোটাই বুঝতে পারব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা নাটক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
কায়কোবাদ নাটকটি আমি দেখেছি ভাইয়া । তবে আপনি খুব সুন্দর করে নাটকের রিভিউটি দিয়েছেন। থ্রিলার ধর্মী নাটক বরাবরই অনেক ভালো লাগে । ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
এই নাটক টি আমি প্রায় ৩ মাস আগেই দেখেছি। আমার কাছে নাটকটি অনেক ভালো লেগেছে। কিন্তু নাটকের ফিনিশিং এ কিছুটা গড় মিল লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রিভিউ করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
খুবই চমৎকার একটি নাটকের দিয়েছেন আপনি। এই নাটকটিতে আরফান নিশুর চরিত্র আমার খুবই ভাল লেগেছিল। হৃদয়ে ধারণ করেছিলাম মনে হচ্ছিল আর আরফান নিশোর চরিত্র। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
বেশ ভালো একটি নাটক ছিল। নাটকের কনসেপ্টটি দারুন লেগেছে আমার কাছে এবং সেই সাথে আপনার রিভিউটি ও অসাধারণ। আর এই নাটকে আফরান নিশোর অভিনয় সত্যিই দেখার মতো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে