"ভয়ংকর এক রাত"পর্ব-০১| |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আবারো একটি ভূতের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। এই ভূতের গল্পটি একেবারেই কাল্পনিক।
একদিন রাজুর রাত ২ টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। সে কোন একটা বাজে স্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে উঠে অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। ভয়ে রাজুর গলা শুকিয়ে আসে। তাই সে বিছানার পাশের টেবিল থেকে গ্লাস নিয়ে পানি খেতে যাই কিন্তু সে দেখে গ্লাসে কোন পানি নেই। এরপর সে পানি খাওয়ার জন্য রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে যায়। হঠাৎ সে অনুভব করে রান্নাঘরে কে যেন আছে। কিন্তু রাজু তো বাসায় একাই থাকে। বলে রাখি রাজু এই ফ্ল্যাটটি এক সপ্তাহ যাবত নিয়েছে আর আজি এই ফ্ল্যাটে সে প্রথম রাত কাটাচ্ছে কারণ রাজু একজন পাইলট, এতদিন তার ফ্লাইটের সময় নাইটে হওয়ার কারণে সে দিনে এই বাসাতে সময় কাটিয়েছে তবে রাতে থাকে নি কখনো। তবে আজ তার ছুটি। তাই আজকে প্রথম সেখানে রাত্রি যাপন করছে।
এরপর রাজু যখন অনুভব করে রান্না ঘরে কেউ আছে তখন রাজু ভাবে হয়তো কোন চোর এসেছে। তাই রাজু গ্লাসটি টেবিলে রেখে একটি লাঠি নিয়ে রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে যায় চোর ধরার জন্য। কিন্তু সে যখন রান্নাঘরের লাইট অন করে তখন সে দেখে রান্না ঘরে কেউই নেই। এবার রাজু সেটাকে তার মনের ভুল ভেবে চারিদিকটা ভালোভাবে দেখে পানি নিয়ে রুমে চলে যায় ঘুমানোর জন্য। কিন্তু রাজুর রুমে গিয়ে আর ঘুম আসে না। হঠাৎ সে আবারও নিচ থেকে কোন আওয়াজ শুনতে পায়। এরপর রাজু আবারো নিচে যায়। সে কারো একটি ছায়া মূর্তি দেখতে পায়। ছায়া মূর্তিটি দেখে রাজু অনেকটা ভীত কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করে কে কে ওখানে? কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই সেই ছায়া মূর্তিটি গায়েব হয়ে যায়।
এরপর থেকে রাজুর সাথে ঘটতে থাকে নানারকম ভৌতিক কর্মকাণ্ড। এরপর রাজু আবার তার ওয়াশরুম থেকে পানি পড়ার শব্দ শুনতে পায়। সে ওয়াশরুমে গিয়ে দেখে ট্যাব দিয়ে পানি পড়ছে। কিন্তু তার খুব ভালোভাবে মনে আছে সে ঘুমানোর আগে ভালোভাবে পানির ট্যাব বন্ধ করে ঘুমিয়েছে। তারপরও রাজু অত কিছু না ভেবে পানির ট্যাব ভালোভাবে বন্ধ করে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে। রাজু ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসার সাথে সাথে আবারো পানির ট্যাব চালু হয়ে যায়। এবার রাজু অনেকটা ঘাবড়ে গিয়ে পানি ট্যাব বন্ধ করে। কিন্তু ট্যাব বন্ধ করার সাথে সাথে আবারো চালু হয়ে যায়। তখন রাজু ভয়ে ভয়ে আবারো ট্যাব বন্ধ করে দেয়। ঠিক তখনই সে তার পেছনে কাউকে অনুভব করে। তবে সে পেছনদিকে ফিরতেই কাউকে দেখতে পাই না। ঠিক তারপর মুহূর্তেই রাজু কোন মহিলার কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই। এইবার সে পুরোপুরিভাবে ভয় পেয়ে ঘামতে শুরু করে।
সে ভয়ে ভয়ে সে কান্নার আওয়াজ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে থাকে। সে লক্ষ্য করে এই কান্নার আওয়াজটি স্টোর রুম থেকে আসছে। এরপর রাজু ভয়ে ভয়ে স্টোর রুমে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াই। রুমের কাছে যেতেই কান্নার আওয়াজটা হঠাৎ করে থেমে যায়। এরপর রাজু স্টোর রুমের দরজা খুলবে কি খুলবে না সেই দিধায় পড়ে যায়। তবুও সে সামান্য পরিমাণ সাহস নিয়ে স্টোর রুমের দরজা খুলে ফেলে। এরপর সে স্টোররুমে আস্তে আস্তে ঢুকে পড়ে। স্টোররুমটা তার কাছে বাকি অন্য রুম থেকে অনেকটা ব্যতিক্রম লেগেছে কারন স্টোর রুমের দেয়ালে রয়েছে খুবই ভয়াবহ কিছু আঁকিবুকির ছবি। যার অর্থ রাজু কিছুই বোঝেনি। এরপর রুমের মধ্যেই সে একটি পুরনো আলমারি দেখতে পাই। আলমারিটা তার কাছে বড়ই অদ্ভুত লেগেছে। এরপর রাজু অনেকটা কৌতুহল এবং ভীতি নিয়ে আলমারির কাছে এগিয়ে যায়।
চলবে........।
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
গল্পটি বেশ সুন্দর ছিল এরকম ঘটনা অনেক শুনেছি মুভির দৃশ্য দেখেছি। হয়তো মনের ভয়ে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। ভিতরে ভয় ঢুকে গেলে কোন একটা শব্দ হলেই মনে হয় কে যেন আছে যাই হোক প্রথম পর্ব করে অনেক ভালো লেগেছে।
আমার কাছে কিন্তু গল্প পড়তে খুব বেশি ভালো লাগে। তবে ভৌতিক গল্পগুলো পড়তেও ভালো লাগে। কারণ এখানে টানটান উত্তেজনা নিয়ে পরবর্তীতে কি হচ্ছে, কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা এগুলোই মনে হয়। আর রাজুর ব্যাপারটা পড়ছি আর আমার মনে হচ্ছে যেন আমি সেখানে উপস্থিত রয়েছি। গল্পটা উপলব্ধি করতে পারলেই পড়তে ভালো লাগে। দারুন লিখেছেন ভাই অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য।
গল্প পড়তে পড়তে একবারে গল্পের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিলাম।বেশ ভালোই লাগলো।এই রকম ভয়ের গল্প পড়তে ভালোই লাগে আমরা।কান্না কিসের জন্য হয়, এর পিছনে মনে হয় কোন ঘটনা আছে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি বরাবরই ভালো গল্প লিখেন। আমি আগেও আপনার গল্প পড়েছি, বেশ ভালো লেগেছিল। আজকের ভৌতিক গল্পটা পড়ে ভীষণ ভয় লাগছিলো, মনে হচ্ছিল যেন আমার পাশেও কেউ দাঁড়িয়ে রয়েছে। দূরদান্ত লিখনী ছিল ভাই।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভৌতিক গল্প আমার অনেক ভালো লাগলেও রাতের বেলা পড়তে বা শুনতে একটু হলেও ভয় করে কারণ আমি জানলা খুলে ঘুমাই। ভয়ংকর এক রাত গল্পের প্রথম পর্বটি বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল ভাই। রাজু কোন এক মহিলার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেরেছিল! এমন ঘটনা আমি কয়েকটি মুভি দৃশ্যে দেখেছি।রাজু আলমারির কাছে যাওয়ার পর কি ঘটনা ঘটলো সেটি জানার অপেক্ষায় রইলাম ভাই।