ভূতের গল্প : মেছো ভূত -অন্তিম পর্ব| |10% Beneficiary To @shy-fox | |

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য মেছো ভূত গল্পের তৃতীয় পর্ব অর্থাৎ অন্তিম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি, গল্পটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

girl-5530348_1280.jpg

Source

হারুন এবং তার বাকি জেলে বন্ধুদের জ্ঞান ফিরে আসার পর তারা নিজেদেরকে নদীর সম্পূর্ণ অন্যপ্রান্তে আবিষ্কার করে এবং ঠিক তার পর মুহূর্তে তারা নদী থেকে ভেসে আসা একটি সুর শুনতে পাই। মনে হচ্ছে কোন মেয়ে যেন কোন এক অদ্ভূত ভাষায় সুরেলা কণ্ঠে গান গাইছে। আর সেই সুরের শব্দে হারুন এবং তার বাকি বন্ধুরা বিভোর হয়ে এক এক করে সবাই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দেয়। এরপর তারা নদীর তলদেশের অদ্ভুত এক রাজ্যে পৌঁছে যায়। সেখানে গিয়ে তারা নদীর তলদেশে এক বিশাল বড় মৎস্য প্রাসাদ দেখতে পায়। এরপর তারা ধীরে ধীরে প্রাসাদের দরজার সামনে এগিয়ে যেতেই প্রাসাদের দরজা খুলে যায় এবং তারা প্রাসাদের ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা প্রাসাদের ভিতরে এক সুন্দরী মৎস্যকন্যা দেখতে পায় ।

মৎস্যকন্যা হারুনের দিকে এক মায়াবী দৃষ্টিতে তাকায় এবং মৎস্য কন্যার সেই চাহনি দেখে হারুন বশ হয়ে যায়। মৎস্য কন্যার সৌন্দর্যৈ হারুন একেবারে মুগ্ধ হয়ে যায়‌ এবং হারুনের বাকি বন্ধুদেরকে মৎসকন্যা তার মায়া শক্তি দ্বারা ঘুম পাড়িয়ে দেয়। এরপর মৎসকন্যা হারুনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। হারুন মৎস্য কন্যার কথাই বশীভূত হয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে যায় । এরপর মৎস্যকন্যা এবং হারুনের বিয়ের আয়োজন করা হয়। এর মাঝে হারুন ভুল করে মৎস প্রাসাদের এক গোপন কক্ষে ভুল করে প্রবেশ করে। আর সেই কক্ষে হারুনের বাকি জেলে বন্ধুদেরকে মৎস্যকন্যা তার মায়াবী শক্তি দ্বারা ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল। এরপর হারুন সেই রুমে প্রবেশ করে তার সেই জেলে বন্ধুদেরকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে হারুনের হুস ফিরে আসে। এরপর হারুন তার বন্ধুদের চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়। এরপর তারা সবাই মিলে মৎস্য কন্যার এই ফাঁদ থেকে বেরোনোর জন্য রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা কোন রাস্তায় খুঁজে পায় না। মৎস্য প্রাসাদ তাদের কাছে গোলকধাঁধায় পরিণত হয়।

এরপর তারা সবাই বুঝতে পারে এভাবে এই প্রাসাদ থেকে বেরোনো কোনোভাবেই সম্ভব নয়, প্রাসাদ থেকে বের হতে হলে সবার আগে মৎস্য কন্যাকে মেরে ফেলতে হবে এবং তার পরে তারা এই প্রাসাদ থেকে বের হতে পারবে। এরপর তারা এই চিন্তা নিয়েই সবাই মিলে মৎস্যকন্যাকে তলোয়ার দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে কিন্তু মৎস্যকন্যা তার মায়াবী শক্তি দ্বারা সবাইকে মাছে পরিণত করে ফেলে ।এরপর মাছ রূপেই হারুন এবং তার বন্ধুরা নদীর উপরে উঠে আসে। আর এভাবেই তাদের জীবন শেষ হয়ে যায়। পরিশেষে এটাই বলা যায়, অতি লোভ একেবারেই ভালো নয়। এই লোভের কারণেই হারুন এবং তার বাকি জেলে বন্ধুরা এই নদীতে মাছ ধরতে এসে তারা তাদের জীবন হারিয়ে ফেলে। এর আগেও হয়তো হারুনের মতো এমন আরো অনেক মানুষ এই নদীতে মাছ ধরতে এসে এভাবে নিজেই মাছে পরিণত হয়েছে।

গল্পটি যদিও কাল্পনিক তবে আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।

IMG_20230325_232520.jpg

আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।

প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-

ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড

ধন্যবাদ সবাইকে।


Sort:  

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 last year 

বাপরে ভূতের গল্প শুনে বেশ গা ছমছম অবস্থা। এধরনের গল্প পড়তে বেশ ভালো লাগে। আপনি বরাবরই চমৎকার সব গল্প লিখে চমকে দেন। দারুন লাগলো গল্পটা পড়ে। এধরনের গল্প আরো লিখার চেষ্টা করুন।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66740.62
ETH 3336.11
USDT 1.00
SBD 2.72