কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "পাহাড় চূড়ায়" | |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই? আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সাথে আছি। আজ আমি খুবই আনন্দের সাথে আপনাদের মাঝে "পাহাড় চূড়ায়" কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলাম।
আমাদের সকলের প্রিয় ছোট দাদা অর্থাৎ @blacks দাদা খুবই সুন্দর একটি কবিতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। কবিতা প্রতিযোগিতার আয়োজন দেখে ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক অনেক খুশি ও আনন্দিত। আমাদের মাঝে কবিতা প্রতিযোগিতা নিয়ে আসার জন্য ছোট দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা।
কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় কবি সুনীল-গঙ্গোপাধ্যায়ের"পাহাড় চূড়ায়"কবিতা।
কবিতার মূলভাব:
এই কবিতায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মানুষের জীবনে অতিবাহিত শৈশবকাল, যৌবনকাল ও যৌবনকালের পরবর্তী সময় বৃদ্ধ কালকে তুলে ধরেছেন তার কবিতার মাধ্যমে। মানুষ স্থায়ী নয়, সময়ের ব্যবধানে সবকিছু ছেড়েছুড়ে দিয়ে চিরতরে বিদায় নিতে হবে এই পৃথিবী ছেড়ে।
আমি আমার স্বল্প জ্ঞানের আলোকে কবিতার সারমর্ম তুলে ধরব মাত্র কয়েক লাইনে- কবি কবিতার প্রতিটি লাইনের মাধ্যমে আমাদেরকে বোঝাতে চেয়েছেন শৈশব কালে আমরা শৈশবকাল কে বেঁধে রাখতে পারিনি সময়ের কারণে, শৈশব কালকে উপলব্ধি করতে শিখেছি যৌবনে যা আমাদের যৌবনকালে স্মরণ করিয়ে দেয় শৈশবকালের স্মৃতিবিজড়িত দিনগুলোকে, তেমনি ভাবে যৌবনে আমরা যৌবনকালকে বেঁধে রাখতে পারেনি যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যৌবনকালের পরবর্তী সময়ে। যৌবনকালের পরবর্তী সময়টা আমরা বেঁধে রাখতে পারব না স্থায়ীভাবে, সে সময়টা আমাদের ছেড়ে চলে যেতে হবে।
কবি শৈশব কালকে দ্বীপ এর মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, শৈশবে দ্বীপটি ছিল কবির কাছে সবকিছু, সময়ের পরিবর্তনে সবকিছু ছেড়েছুড়ে যৌবনে পাড়ি জমাতে হয়, কবি নদীর মাধ্যমে যৌবনকালকে প্রকাশ করেছেন। ইচ্ছা থাকলেও শৈশবে ফেরা সম্ভব নয়। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কবি চাইলেও যৌবনকালে থাকতে পারবেন না তাই তাকে বেছে নিতে হয়েছে যৌবনকালের পরবর্তী সময় তথা পাহাড় কে।
পাহাড় চূড়ায় – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
অনেকদিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কেনার শখ।
কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে তা জানি না।
যদি তার দেখা পেতাম,
দামের জন্য আটকাতো না।
আমার নিজস্ব একটা নদী আছে,
সেটা দিয়ে দিতাম পাহাড়টার বদলে।
কে না জানে, পাহাড়ের চেয়ে নদীর দামই বেশী।
পাহাড় স্থানু, নদী বহমান।
তবু আমি নদীর বদলে পাহাড়টাই
কিনতাম।
কারণ, আমি ঠকতে চাই।
নদীটাও অবশ্য কিনেছিলামি একটা দ্বীপের বদলে।
ছেলেবেলায় আমার বেশ ছোট্টোখাট্টো,
ছিমছাম একটা দ্বীপ ছিল।
সেখানে অসংখ্য প্রজাপতি।
শৈশবে দ্বীপটি ছিল আমার বড় প্রিয়।
আমার যৌবনে দ্বীপটি আমার
কাছে মাপে ছোট লাগলো। প্রবহমান ছিপছিপে তন্বী নদীটি বেশ পছন্দ হল আমার।
বন্ধুরা বললো, ঐটুকু
একটা দ্বীপের বিনিময়ে এতবড়
একটা নদী পেয়েছিস?
খুব জিতেছিস তো মাইরি!
তখন জয়ের আনন্দে আমি বিহ্বল হতাম।
তখন সত্যিই আমি ভালবাসতাম নদীটিকে।
নদী আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিত।
যেমন, বলো তো, আজ
সন্ধেবেলা বৃষ্টি হবে কিনা?
সে বলতো, আজ এখানে দক্ষিণ গরম হাওয়া।
শুধু একটি ছোট্ট দ্বীপে বৃষ্টি,
সে কী প্রবল বৃষ্টি, যেন একটা উৎসব!
আমি সেই দ্বীপে আর যেতে পারি না,
সে জানতো! সবাই জানে।
শৈশবে আর ফেরা যায় না।
এখন আমি একটা পাহাড় কিনতে চাই।
সেই পাহাড়ের পায়ের
কাছে থাকবে গহন অরণ্য, আমি সেই অরণ্য পার হয়ে যাব, তারপর শুধু রুক্ষ
কঠিন পাহাড়।
একেবারে চূড়ায়, মাথার
খুব কাছে আকাশ, নিচে বিপুলা পৃথিবী,
চরাচরে তীব্র নির্জনতা।
আমার কষ্ঠস্বর সেখানে কেউ শুনতে পাবে না।
আমি ঈশ্বর মানি না, তিনি আমার মাথার কাছে ঝুঁকে দাঁড়াবেন না।
আমি শুধু দশ দিককে উদ্দেশ্য করে বলবো,
প্রত্যেক মানুষই অহঙ্কারী, এখানে আমি একা-
এখানে আমার কোন অহঙ্কার নেই।
এখানে জয়ী হবার বদলে ক্ষমা চাইতে ভালো লাগে।
হে দশ দিক, আমি কোন দোষ করিনি।
আমাকে ক্ষমা করো।
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
https://twitter.com/Alamini15050207/status/1514350074007986182?t=-WjlZ5ZtDRtCYFM0JV7jNg&s=19
খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া আপনার কবিতা আবৃত্তিটা।শুনে ভালো লাগলো।কবিতাটি এমনি খুবই সুন্দর যেন বারবার পড়তে ইচ্ছে করে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার কবিতা আবৃত্তি শুনে দিদি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি অনেক অনেক খুশি ও আনন্দিত, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল দিদি আপনার জন্য। আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার কবিতা আবৃত্তিতে জাস্ট অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। কবিতাটির মূলভাব আপনি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। কবিতাটি পড়ে না বুঝলেও মূল ভাবটি পরে আমি বুঝতে পেরেছি আসল তথ্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে কবিতাটি আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।
আমার কবিতা আবৃতি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে আমি অনেক খুশি হলাম আমার কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে ও পোষ্টের মাধ্যমে মূলভাব আপনি বুঝতে পেরেছেন জেনে আমি আনন্দিত, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
আপনার কন্ঠে কবিতা টি শুনতে খুব অসাধারণ লেগেছে। আপনি খুব ভালো আবৃত্তি করতে পারেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এভাবে আপনার কাছ থেকে প্রায় সময় কবিতা গান শুনতে চাই। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনতে আপনার ভালো লেগেছে জেনে শুনে খুশি হলাম আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
আপনার থাম্বনেইল দেখেই তো আমি আবাক । ভাল ছিল আবৃত্তি । আশাকরি সামনের দিন গুলোতে আরো শুনাবেন। ভাল থাকাটা ইশ্বরের হাতে তাই প্রার্থনা করি আপনার জন্য।
আমার থাম্বনেইল দেখে আপনাকে অবাক করতে পেরে আমি সার্থক, আপনার সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনার কবিতা আবৃত্তি অসাধারণ হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই কবিতা আবৃত্তি করেছেন। আশা করছি ভালো কিছু পাবেন। অনেক সুন্দর করে কবিতা আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ♥️♥️♥️
আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি অনেক অনেক খুশি ও আনন্দিত আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে আমি আমার কাজের প্রতি আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
খুবই চমৎকার করে পাহাড় চূড়ায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা টি আপনি আবৃত্তি করেছেন। যা শুনে আমি রীতিমত অবাক হয়ে গেছি। মুগ্ধ তা ছুঁয়ে গেল আমার প্রাণে। শুভকামনা আপনার জন্য♥♥
আমার কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন জেনে আমি খুশি ও আনন্দিত, আপনার সুন্দর ও উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
খুব চমৎকার আবৃত্তি করেছেন।কবুতর ছন্দের তালমিলের সাথে বিরামচিহ্ন এর সঠিক প্রয়োগ করেছেন।আর এত সুন্দর করে আবৃত্তি করে শুনানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।🖤
ও মুন্না ভাই, কবিতাকে কবিতার বানিয়ে দিয়েছেন যাই হোক সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও মুন্না ভাই, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ও মুন্না ভাই।
আপনি অসাধারণ ভাবে কবিতা আবৃতি করেছেন। শুনে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার কবিতা আপনার ভালোলাগার জন্য আপনাকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পাহাড় চূড়ায় কবিতাটি আবৃতি করে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার কন্ঠে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কবিতাটি অনেক সুন্দর মানিয়েছে। আশা করি এই প্রতিযোগিতায় আপনি ভালো অবস্থান অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
আমার কন্ঠের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পাহাড় চূড়ায় কবিতাটি মানিয়েছে জেনে খুশি হলাম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।