মুসাপুর ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত ।
সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আজকে আমি আমার পোস্ট শুরু করতেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। আমাদের পাশের উপজেলায় অনেক সুন্দর একটি জায়গা যার নাম হচ্ছে মুসাপুর। সেখানে রয়েছে সমুদ্র সৈকত, ঝাউবাগান এবং অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্য। সেই ভ্রমণের মুহূর্ত গুলি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছি।
অনেকদিন আগে আমরা আমাদের দাগনভূঞা কম্পিউটার সমিতির উদ্যোগে একটি ভ্রমণের উদ্যোগ নিলাম। যেহেতু সবাই ব্যবসায়ী ভাবলাম দূরে কোথাও গেলে অনেক সময় অপচয় হবে এবং ব্যবসায়ের ক্ষতি হবে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের উপজেলা থেকে আশেপাশে সবচেয়ে সুন্দর যে কোন একটি জায়গায় শুক্রবারে আমরা সবাই ভ্রমণে যাব।
পরবর্তীতে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের পার্শ্ববর্তী উপজেলার মুছাপুর সমুদ্র সৈকত দেখার জন্য যাব। আমি ব্যক্তিগতভাবে মুসাপুর সমুদ্র সৈকতে অনেকবার গিয়েছি। ২০০৯ সালে আমি সর্বপ্রথম গিয়েছিলাম এরপর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সময় প্রতি মাসে দুই একবার যাওয়া হয়। আসলে এই জায়গাটি অনেক সুন্দর একটি জায়গা এখানে বারবার যেতে মন চায় এবং যতবার যাই ততবারই ভালো লাগে। একটা আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যতবারই যাই ততবারই মনে হয় যে এখানে নতুন নতুন কিছু দেখতে পারতেছি ।
তো যাই হোক পরবর্তীতে আমাদের উদ্যোগ সফল করার জন্য সবার সাথে যোগাযোগ করলাম এবং সবার সম্মতি ক্রমে আমরা শুক্রবারে রওনা দিলাম মুসাপুর সমুদ্র সৈকতে। যাওয়ার সময় আমরা একটা গাড়ির মধ্যে আমরা ১৫ জন গিয়েছি এবং যাওয়ার সময় আমাদের খাওয়ার সব আইটেম নিয়ে গেলাম। সেখানে গিয়ে আমরা মুসাপুর সমুদ্র সৈকতের পাশে বিশাল একটি বন রয়েছে ওই বনের মধ্যে আমরা রান্না-বান্নার আয়োজন শুরু করলাম। রান্নাবান্না করতে লারকি প্রয়োজন হয় আমরা যাওয়ার সময় কিছুই নিয়ে যাইনি। পরবর্তীতে বনের ভিতর থেকে বিভিন্ন গাছের শুকনো ডালপালা দিয়ে রান্নার কাজ শুরু করে দিয়েছি।
ছবির মধ্যে দেখলে বুঝতে পারবেন আমরা সবাই একসাথে রান্নার কাজে নিয়োজিত। সবাই একজন আরেকজনকে সাহায্য করতেছি রান্নার কাজে। সেখানে আমরা রান্নাবান্না করলাম এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করেছি। খেলার আয়োজনে প্রতিযোগীদের কে আবার আমরা পুরস্কার বিতরণ করেছি। অনেকদিন পর এরকম একটি ভ্রমণ সবাই মিলে অনেক বেশি মজার ছিল এবং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
সর্বশেষ আমরা রান্নাবান্না শেষ করে সবাই সেখানে খাওয়া-দাওয়া করলাম। রান্নাবান্না গুলো অনেক সুস্বাদু হয়েছে এখনো মন চায় সেই আগের মত আর একটি ভ্রমণের উদ্যোগ নেয়ার জন্য। সর্বশেষ আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাই আবার রওনা দিলাম আমাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য। এ ছিল আমার মুসাপুর সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ। আপনাদের সবার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ahp93 |
ডিভাইস | Poco X3-Pro |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম এমরান হোসেন পাটোয়ারী। আমার স্টিমিট অ্যাকাউন্ট @ahp93। আমি ডিসেম্বর 2022 থেকে Steemit ব্যবহার করছি। আমি ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি পছন্দ করি। আমি কাজের ব্যস্ততার মাঝে যখনই সময় পাই ভ্রমণ করি। আমি তথ্য প্রযুক্তিতে খুব আগ্রহী। আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানতে চাই এবং আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে শেখাতে চাই।
https://twitter.com/AHP14338073/status/1662144169450827776?t=uvbeisUfwWpyzHfAKqIOiQ&s=19
মুছাপুর সমুদ্র সৈকতে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া। সমুদ্র সৈকতের প্রকৃতির সৌন্দর্য চমৎকার ভাবে উপভোগ করছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া গল্প গুজব এবং প্রকৃতিক অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করার অনুভূতি সত্যি খুব অসাধারণ। মুসা পুর ভ্রমণে খুবই আনন্দ উপভোগ করেছেন আপনারা । এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
মুসাপুর জায়গাটি তো মনে হয় অনেক সুন্দর। আপনি ২০০৯ সাল এর পর থেকে অনেকবার গিয়েছেন। তবে আপনি ভাল উদ্যোগ নিয়েছেন কম্পিউটার এর সমিতির থেকে আপনারা মুছাপুর ঘুরতে গেলেন। দেখতেছি সবাই খুব মজা করে রান্না করে খেয়েছেন। আসলে একসাথে অনেকজন কোথাও ঘুরতে গেলে এমনি অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আপনারা মুসাপুর জায়গাটিতে খুব সুন্দর ভ্রমন করেছেন। কম্পিউটার সমিতির কিছু লোক সুন্দর বহন করেছেন। দেখতেছি অনেক সুন্দর করে রান্না বান্না করে খেলেন। তবে মুসাপুর জায়গাটিতে আমিও কয়েকবার ঘুরতে গেলাম। ওখানে পরিবেশ সত্যি অনেক সুন্দর। আপনি ২০০৯ সাল থেকে অনেকবার ওখানে ঘুরতে গেলেন। সত্যি একসাথে কয়েকজন গেলে ঘুরতে অনেক ভালোই লাগে।
আপনাদের উদ্যোগটা কিন্তু খুবই সুন্দর ছিল বলতে হয়। মুসাপুর আমারও ব্যক্তিগতভাবে অনেকবার যাওয়া হয়েছে। আপনারা সবাই মিলে সেখানে রান্নার আয়োজন করেছিলেন এটা একটু বেশি ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটা জায়গায় গিয়ে আপনারা তো দেখছি পিকনিক করে ফেলেছেন। বেশ মজা করেই খাওয়া হয়েছিল দেখেই বুঝতে পারছে। কোথাও ঘুরতে গেলে এরকম রান্নাবান্নার আয়োজন করলে কিন্তু খুবই ভালো হয়। সব মিলিয়ে আপনার অনুভূতির পোস্টটা খুব ভালোই উপভোগ করলাম পড়ে।