বৃষ্টির দিনে বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার মুহূর্ত ।
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বন্ধুর ছোট বোনের বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলাম সেখানে বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এই পর্যন্ত এই বয়সে অনেক জায়গায় বিভিন্ন ধরনের দাওয়াত খেয়েছি কিন্তু আজকের দাওয়াত খাওয়ার অভিজ্ঞতা বিভিন্ন রকম। সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি।
আমার নিকটস্থ একজন বন্ধু তার নাম হচ্ছে ইসমাইল হোসেন। তিনি একজন ব্যবসায়ী। আমার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক। আমার হচ্ছে কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং তার হচ্ছে মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার। যাই হোক উনি সম্পর্কে খাতিলে উনার ছোট বোনের বিয়েতে দাওয়াত দিল আমাকে। গতকালকে ওনাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম আজকে বর যাত্রীদের কনের সাথে বরদের বাড়িতে দাওয়াত ছিল সেখানে গিয়েছিলাম।
সর্বপ্রথম আমরা সবাই আমাদের বাজারে এসে একত্রিত হলাম। অনেকগুলি গাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। আমাদের জন্য আলাদা করে একটি গাড়ি রাখা হয়েছিল সেই গাড়িতে আমরা ১০-১২ জন বন্ধু উঠলাম। তারপর গাড়ি রওনা দিল বর দের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমাদের গাড়ির মধ্যে কেউই ওই বাড়িটা চিনি না যেহেতু নতুন একটি বাড়ি না চেনারই কথা।
বিয়ের দাওয়াতটি ছিল আমাদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা সেনবাগ উপজেলার একটি গ্রামে। গাড়ি করে যাবার সময় রাস্তা অনেকক্ষণ ফাঁকা রাস্তা গিয়েছিলাম পরবর্তীতে একটা পর্যায়ে মাটির রাস্তায় গিয়ে পৌঁছলাম। মাটির রাস্তা দিয়ে চলাফেরা অনেক কঠিন। গাড়ি নিয়ে মাটির রাস্তা দিয়ে অনেক দূর যাওয়ার পর এমন রাস্তা চোখে পড়ল যেখানে গাড়ি যাওয়া আর সম্ভব না।
পরবর্তীতে গাড়ি থেকে আমরা সবাই নেমে গেলাম এবং ওই কাঁচা রাস্তা দিয়ে বৃষ্টির মধ্যে সবাই হেঁটে হেঁটে গেলাম।প্রায় আধা কিলোমিটার হেঁটে হেঁটে বর দের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আপনার ছবির মধ্যে দেখলে বুঝতে পারবেন রাস্তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কাদা ছিল এবং গুটি গুটি বৃষ্টি পড়ছিল। পরবর্তীতে আধা কিলোমিটার হেঁটে হেঁটে আমরা সবাই ওই বাড়িতে গিয়ে পৌঁছলাম এবং খাওয়া-দাওয়া শুরু করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার সবাই কাদাযুক্ত সেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে গাড়ি পর্যন্ত আসলাম এবং সর্বশেষ গাড়ি করে আবার আমাদের গন্তব্যে ফিরে আসলাম। এই ছিল আমার লাইফে সর্বপ্রথম এরকম একটি বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার অভিজ্ঞতা এরকম দাওয়াত আমি কখনো খাইনি। যত জায়গায় দাওয়াত খেয়েছি গাড়ি করে গিয়ে খেয়ে আবার চলে এসেছে কিন্তু এখানে আধা কিলোমিটার হেঁটে হেঁটে বৃষ্টির মধ্যে কাঁদাযুক্ত রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা অন্যরকম ছিল।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ahp93 |
ডিভাইস | Poco X3-Pro |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম এমরান হোসেন পাটোয়ারী। আমার স্টিমিট অ্যাকাউন্ট @ahp93। আমি ডিসেম্বর 2022 থেকে Steemit ব্যবহার করছি। আমি ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি পছন্দ করি। আমি কাজের ব্যস্ততার মাঝে যখনই সময় পাই ভ্রমণ করি। আমি তথ্য প্রযুক্তিতে খুব আগ্রহী। আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানতে চাই এবং আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে শেখাতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/AHP14338073/status/1670819430312583171?t=xYbnbwOpjsGPF8GJP93Y9w&s=19
বৃষ্টির দিনের বিয়ের দাওয়াত খেতে খুবই ভালো লাগে। আমরা মনে হয় বৃষ্টির মধ্যে বসে খেতে আরো বেশি ভালো লাগবে। অনেকদিন হয়েছে বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয়না। আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে আমি সেখানে যেতে পারলে খুব ভালো লাগতো। খুব সুন্দর মুহূর্তের গল্প শেয়ার করেছেন, পরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? বিয়ে দাওয়াত খাওয়ার অনুভূতি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে বিয়ে দাওয়াত খাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। সবার সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। যদিও বৃষ্টির কারণে একটু কষ্ট হয়েছে আপনাদের। বিয়ের দাওয়াত খাবার এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
বৃষ্টির দিনে বিয়ে গুলো এমনই হয় ৷ বিশেষ করে গ্রামের বিয়ে গুলো , যদি রাস্তা ভালো থাকলো তাহলে তো ভালোই ৷ আর রাস্তা ভালো না থাকলে এভাবে হেঁটে যেতে হয় ৷ এমন বিয়ে আমিও বেশ কয়েকটা খেয়েছি ৷ গাড়ি এক জায়গায় তো বাড়ি আরেক জায়গায় ৷ মাঝ খানের পথ হেটে যেতে হয়েছে ৷ যাই হোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি ৷ ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য