মিয়াজির ঘাট থেকে ঘুরে আসার কিছু মুহূর্ত।
সবাই কেমন আছেন ? সবাইকে ঈদুল আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আজকে আমি আমার পোস্ট শুরু করতেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করব। অনেকদিন আগে কাজের ব্যস্ততার মাঝে আমি একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম তার কিছু মুহূর্ত আজকে শেয়ার করতেছি।
কাজের ব্যস্ততার মাঝে মাঝেমধ্যে অনেক বোরিং ফিল করি। সব সময় কাজ কর্মে ব্যস্ত থাকতে ভালো লাগে না মাঝেমধ্যে মন চায় বিভিন্ন জায়গা থেকে একটু ঘুরে আসি। ব্যস্ততার মাঝে যখন কোথাও থেকে ঘুরে আসা যায় তখন মন মানসিকতা অনেক বেশি ভালো লাগে। সার্বক্ষণিক কাজে ব্যস্ত থাকলে তখন নিজের কাছে মনে হয় জীবনটা অনেক বিরক্তিকর। তাই আমি মনে করি কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝে একটু সময় নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য ঘুরে আসা অনেক বেশি জরুরী।
অনেকদিন আগের ঘটনা কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝে হঠাৎ করে একদিন বিকেল বেলায় বের হলাম একটু ঘুরে আসার জন্য। পরবর্তীতে ভাবলাম সল্প সময়ের মাঝে কাছে কোথাও থেকে ঘুরে আসি। যেখানে অল্প সময়ের মধ্যে গিয়ে এবং তাড়াতাড়ি চলে আসা যাবে। পরবর্তীতে আমাদের পাশের উপজেলায় একটি জায়গা রয়েছে তার নাম হচ্ছে মিয়াজির ঘাট। ভাবলাম সেই জায়গা থেকে একটু ঘুরে আসি। সেখানে নতুন একটি ব্রিজ হয়েছে এবং তার আশেপাশে ছোটখাটো কিছু রেস্টুরেন্ট হয়েছে এবং চারিদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে অনেক সুন্দর লাগে আমার কাছে।
পরবর্তীতে একটি বাইক নিয়ে চলে গেলাম মিয়াজির ঘাট ঘোরার জন্য। সেখানে গেলাম যাওয়ার পর অনেকক্ষণ বসলাম। ফেনী ছোট নদীর উপর দিয়ে একটি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে এবং ব্রিজের উপর দাঁড়ালেন অনেক বাতাস আসে। নদী থেকে ছোট ছোট ঢেউয়ের ঠান্ডা ঠান্ডা অনেক বাতাস আসে। অনেকক্ষণ রাস্তার পাশে বসে ছিলাম দেখলাম অনেক বাতাস আসছিল তখন গরমের মধ্যে মৃদু মৃদু বাতাস অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
পরবর্তীতে পাশের দোকান থেকে চা অর্ডার করলাম এবং চা পান করলাম। এবং তার পাশাপাশি আশেপাশের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আপনারা ছবির মধ্যে দেখলে বুঝতে পারবেন চারপাশে শুধু বিভিন্ন ধরনের গাছপালা এবং উপরে নীল আকাশ। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর পরবর্তীতে ভাবলাম অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে আবার গন্তব্যস্থলে ফিরে যেতে হবে তাই পরবর্তীতে আবার রওনা দিলাম। কাজের ব্যস্ততার মাঝে এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্য থেকে ঘুরে আসলে নিজের মনটা অনেক বেশি হালকা হয়ে যায়। এই ছিল আমার মিয়াজির ঘাট থেকে ঘুরে আসার কিছু মুহূর্ত। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ahp93 |
ডিভাইস | Poco X3-Pro |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম এমরান হোসেন পাটোয়ারী। আমার স্টিমিট অ্যাকাউন্ট @ahp93। আমি ডিসেম্বর 2022 থেকে Steemit ব্যবহার করছি। আমি ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি পছন্দ করি। আমি কাজের ব্যস্ততার মাঝে যখনই সময় পাই ভ্রমণ করি। আমি তথ্য প্রযুক্তিতে খুব আগ্রহী। আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানতে চাই এবং আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে শেখাতে চাই।
ব্যস্তময় জীবনের মাঝে একটু সময় বের করে প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরে আসলে মনটা অনেক বেশি ভালো হয়ে যায়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/AHP14338073/status/1673868663856988160?t=vP2j7e8ml_J5UDxSOcNGOw&s=19
ভাই প্রথমে জানাই আমার বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম এবং অভিনন্দন আপনি আমার বাংলা ব্লগের রুলস মেনে অতি শীঘ্রই ভেরিফাইড মেম্বার হয়ে যাবেন।মিয়াজির ঘাট থেকে ঘুরে আসার কিছু মুহূর্ত, আপনার মুহূর্ত দেখে আমি বুঝে নিয়েছি আপনি অনেক আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
আসলে সব সময় কাজের মধ্যে থাকতে একেবারেই ভালো লাগেনা। মাঝে মাঝেই প্রকৃতির মাঝে ঘুরাঘুরি করতে ইচ্ছে করে আমারও। আর কাজের ফাঁকে ফাঁকে কোথাও ঘুরতে গেলে মনটাও একেবারে ফ্রেশ থাকে। মিয়াজির ঘাটের জায়গাটিতে আমারও বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে ভাইয়া। এই জায়গাটির পরিবেশ অনেক সতেজ এবং সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার মুহূর্তটা বেশ ভালোই কেটেছিল বুঝতে পারছি। আপনি তাহলে চা ও খেয়েছিলেন এটা শুনে ভালো লাগলো।
ভাইয়া কিছু দিন আগে আমিও নিয়াজের ঘাট ঘুরতে গিয়েছিলাম। তবে ওখানে ব্রিজ দেখতে অনেক ভালোই লাগলো। এবং পাশে যে কাবাব হাউস হয়েছে ওটার পরিবেশও খুব ভালো। আপনি কিন্তু বিকেল বেলা ঘুরতে গিয়েছেন। ওই সময় মনে হয় আবহাওয়া অনেক শীতল ছিল। যাক ওখানে বসে দোকানে চা পান করলেন। আমি নিজেও ওই দোকানে বসে চা পান করলাম। অনেক সুন্দর করে অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ভাইয়া মিয়াজির ঘাটের নাম অনেক শুনেছি এখনো যাওয়া হয়নি। ওখানে খুব সুন্দর একটি ব্রিজ হয়েছে। যাব যাব বলে এখনো যাওয়া হয়নি। তবে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর। বিকেল বেলায় এরকম পরিবেশে কোথাও গেলে এমনি তো অনেক ভালো লাগে। মনে হয় দোকানে চা পান করে অনেক তৃপ্তি পেলেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ব্রিজটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আর এরকম ব্রিজের উপর দাঁড়ালে ঠান্ডা বাতাস এসে শরীরে লাগাটাই স্বাভাবিক। যাহোক মিয়াজির ঘাট ভ্রমণের মুহূর্তটুকু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে খুবই সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। মিয়াজির ঘাট থেকে ঘুরে আসার মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।